ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য খলিল মিয়ার একটি অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।ভাইরাল হওয়া অশ্লীল ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর ঐ ইউনিয়নের জনগনের মধ্যে মিশ্র পতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।তবে ঐ ইউ’পি সদস্য খলিল মিয়া দাবি করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে একটি বাড়িতে তাকে আটক করে একটি মেয়ের সাথে ভিডিও ধারন করে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন একটি চক্র।
ওই অশ্লীল আপত্তিকর ভিডিওটি ইউনিয়নবাসীর মোবাইল ফোনের ম্যাসেঞ্জারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
জানাযায়,গত মে মাসে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা শহরের একটি বাসায় একটি মেয়ের সাথে উলঙ্গ অবস্তায় দেখে কিছু লোকজন দেখে ভিডিও ধারন করে রাখেন তারা। ভিডিও তে শোনা যায় মেয়েটি বলছে খলিল মিয়া কে আপনি কিছু বলেন না কেন এরা তো ভিডিও করছে? আরেক পাশ থেকে শোনা যাচ্ছে ভিডিও ধারনকৃত ব্যাক্তিরা খলিল মিয়া কে জিজ্ঞেস করছে তার বাড়ি কোথায়। ভিডিও তে দেখা যায় তারা খাটের উপর বসা উভয়ই উলঙ্গ। ভিডিও ধারনকারী ব্যাক্তিরা সাংবাদিকদের ফেইসবুক আইডির ম্যাসেঞ্জারে সহ এলাকার ম্যাসেঞ্জারে এই ভিডিও পাঠিয়েছেন।একজন জনপ্রতিনিধির এমন আপত্তিকর ভিডিও দেখতে এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসীন্দারা বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি এ রকম কাজ করবেন এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।প্রশাসন যেন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করে আসল অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদান করেন।
এই বিষয়ে ইউ’পি সদস্য খলিল মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে সমাজে সম্মান নষ্ট করার জন্য একটি চক্র এ ঘটনা করিয়েছে। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিসি বাংলা পিছনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে ধরে নিয়ে মেয়েটার সাথে উলঙ্গ করে কয়েকজন যুবক ভিডিও ধারন করে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে।টাকা না দিলে আমরা ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল করবে। আমার মান সম্মানের ভয়ে আমার সাথে থাকা ২ লাখ ১৬ হাজার ৫ শত ৭০ টাকা তারা নিয়ে যায়।পরে আরো টাকা দাবি করলে আমি বিকাশে তাদেরকে ১৫ হাজার টাকা দেয়।বাড়িতে আসার পর আখি আমার কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়।তাদের কথা ছিল এই ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল করবে না।কয়েকদিন পর যাওয়ার তারা আবার টাকা দাবি করলে আমি টাকা দিতে অনিহা প্রকাশ করি।তারপর তারা আমার পরিবারের লোকজনের কাছে ভিডিওটি পাঠায় ম্যাসেঞ্জারে।মেয়েটির কথা জিজ্ঞেস করলে খলিল মিয়া বলেন মেয়েটিকে আমি চিনি না,তবে শিবপুরের রাসেল মিয়ার স্ত্রী আখি আক্তার এই মেয়েটিকে দিয়ে উলঙ্গ করে টাকা আদায় করে।আমি আখি ও রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় অভিযোগ করেছি।
শিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম আর মজিব বলেন,এটার পিছনে ও অনেক বড় ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।গত মে মাসে সে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ব্লাকমেইল করে এই মেয়ের সাথে জোরপূর্বক ভিডিও ধারন করেন।ভিডিও ধারন করে তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন তারা টাকা না দিলে তার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেবে বলেও হুমকি দেয়।ইউপি সদস্য খলিল তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা ও দিয়েছে।যারা ব্লাকমেইল করেছে তারা আমার কাছে আসে বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার জন্য।আমি বলছি ইউপি সদস্য খলিল মিয়া আইনগত ব্যাবস্থা নিবে এটা আইন বুঝবে।