ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জে গত শুক্রবার (২৭ জুন) যৌথবাহিনী আওয়ামী লীগ এর নেতা কবিরের বাড়িতে অভিযান দেই। এসময় তল্লাশি করে নগদ ৭ লক্ষ ৮১ হাজার টাকাসহ তাকে গ্রেফতার করে। জিয়াউল এবং টিটুকে পাওয়া যায়নি। তবে যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের প্রাক্কালে কবির নিজেকে জামায়াত ইসলামের সমর্থক বলে দাবী করে এবং তার মেয়ের জামাই ইব্রাহিম খলিল (জামায়াত কর্মী) তাকে জামায়াত এর লোক বলে সাফাই গাইতে থাকে।
জানা যায় ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সে গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও বর্তমানে সে তার মেয়ের জামাই জামায়াত কর্মী ইব্রাহিম খলিল এর মাধ্যমে নিজেকে জামায়াতের সমর্থক দাবী করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনযাপনের চেস্টা করে যাচ্ছে।
অথচ তার বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর হামলার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে। সে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আন্দোলন দমনের হাতিয়ার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল।
তার বাড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযান চলাকালে স্থানীয় জনতা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে জমিজমা, দোকানপাট দখল এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কবিরের অত্যাচার নিপীড়নের হাত থেকে রেহাই পায়নি নিজের মা, ভাই – বোন। কিন্তু কবির সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে নিজের মা ভাই বোনকে পৈত্রিক বসতবাড়ি হতে উচ্ছেদ করে বোনের দোকান দখল করেছে বলে জানা যায়।
এছাড়াও নিজের বৃদ্ধ মায়ের স্বাভাবিক মৃত্যুকে সম্পত্তির লোভে ভাই বোন কর্তৃক হত্যার মিথ্যা মামলা দায়ের করে যা আদালতে প্রমানিত হয়েছে। শান্তিপ্রিয় আশুগঞ্জবাসী তার গ্রেফতারে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানায়।
আটককৃত আসামী কবিরুল ইসলাম কবির কে জব্দকৃত ৭ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা সহ আশুগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খাইরুল আলম বলেন, কবিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারের পর তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।