ব্রাহ্মণবাড়িয়া ০৩:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
বিজয়নগরে জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির আত্মহত্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেলটা লাইফ ইনসিওরেন্স কোঃ লিঃ এর বীমার মেয়াদ পূর্তির ১৫ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার চেক পেলেন ডাঃ রানা নুরুস শামস  মহানবী (সাঃ)কে কটুক্তি নাসিরনগরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন UPG’s Pioneering Role in Building a Sustainable Future in 2025 ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেলটা লাইফ ইনসিওরেন্স কোঃ লিঃ এর বীমার মেয়াদ পূর্তির ১৫ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার চেক পেলেন ডাঃ তোফায়েল হক মাছিহাতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতাকে ছাড়াতে ওয়ার্ড বিএনপির নেতার দৌড়ঝাঁপ ঢাকা সিলেট বিশ্বরোড মোড়ে যানজট নিরেশনে সেনাবাহিনী বিজয়নগরে ১৬০ কেজি গাজা ৭৫ বোতল ফেনসিডিল জব্দ! ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদ যাত্রায় নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর চেকপোষ্ট ও মোবাইল কোর্ট সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরবর্তী ১৪টি গ্রাম

আখাউড়ায় বিয়ের ৮দিন পর স্ত্রীর হাতে হত্যার শিকার হলেন স্বামী

Oplus_16908288

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিয়ের মাত্র আট দিনের মাথায় স্ত্রীর হাতে নির্মম হত্যার শিকার হলেন স্বামী মেহেদী হাসান (২৭)। গত শুক্রবার দিনগত মধ্যরাতে পৌরশহরের মসজিদ পাড়ায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। সে পৌরশহরের মসজিদ পাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
এ ঘটনায় পুলিশ স্ত্রী জান্নাত আক্তারকে (১৭) আটক করেছে।  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে জান্নাত আক্তার। মেহেদী হাসান মৃত জলফু মিয়ার ছেলে। তার পৈত্রিক বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়। গত ২০/২৫ বছর ধরে মাকে নিয়ে মসজিদপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত ৯ মে পারিবারিকভাবে মেহেদি হাসানের সঙ্গে মসজিদ পাড়ার আল আমিনের মেয়ে জান্নাত আক্তারের বিয়ে হয়। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মেহেদী হাসান রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরে। ভোর রাতে নিহতের স্ত্রী বাড়ির মালিককে ডেকে বলে তার স্বামী অসুস্থ। বাড়ির মালিক ও আশেপাশের লোকজন গিয়ে দেখে মেহেদী হাসান ঘরের মেঝেতে অচেতন অবস্থায় পরে আছে। তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের আগ থেকেই অন্য এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো জান্নাত আক্তারের। বিয়ের পরও সেই সম্পর্ক অব্যাহত ছিল। প্রেমের সম্পর্কের কারণেই স্বামীকে হত্যা করেছে। নিহত মেহেদী হাসানের মা বকুল বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আট দিন হইছে আমার ছেলেরে বিয়ে করাইছি। অন্য ছেলের সাথে বউয়ের প্রেম ছিল। সে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই। বউয়ের ফাঁসি চাই।
নিহতের বড় ভাই আবুল কালাম বলেন, আমার ছোট ভাই একটি ওষুধের দোকানে চাকরী করতো। সে খুব শান্ত স্বভাবের ছিল। তার স্ত্রী ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জান্নাত আক্তার তার স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। বিয়ের আগে এক ছেলের সাথে জান্নাত আক্তারের প্রেম ছিল। বিয়ের পর থেকে  সে তার স্বামীকে মেনে নিতে পারছিল না। গত রাতে স্বামীকে তার ঘুম আসছে না বলে স্বামীকে দিয়ে ঘুমের টেবলেট আনায়। পরে কোকের সাথে ৬টি ঘুমের টেবলেট খাইয়ে অচেতন করে স্বামীকে অচেতন করে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Mamun

Popular Post

বিজয়নগরে জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির আত্মহত্যা

আখাউড়ায় বিয়ের ৮দিন পর স্ত্রীর হাতে হত্যার শিকার হলেন স্বামী

Update Time : ১২:৫৬:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিয়ের মাত্র আট দিনের মাথায় স্ত্রীর হাতে নির্মম হত্যার শিকার হলেন স্বামী মেহেদী হাসান (২৭)। গত শুক্রবার দিনগত মধ্যরাতে পৌরশহরের মসজিদ পাড়ায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। সে পৌরশহরের মসজিদ পাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
এ ঘটনায় পুলিশ স্ত্রী জান্নাত আক্তারকে (১৭) আটক করেছে।  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে জান্নাত আক্তার। মেহেদী হাসান মৃত জলফু মিয়ার ছেলে। তার পৈত্রিক বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়। গত ২০/২৫ বছর ধরে মাকে নিয়ে মসজিদপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত ৯ মে পারিবারিকভাবে মেহেদি হাসানের সঙ্গে মসজিদ পাড়ার আল আমিনের মেয়ে জান্নাত আক্তারের বিয়ে হয়। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মেহেদী হাসান রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরে। ভোর রাতে নিহতের স্ত্রী বাড়ির মালিককে ডেকে বলে তার স্বামী অসুস্থ। বাড়ির মালিক ও আশেপাশের লোকজন গিয়ে দেখে মেহেদী হাসান ঘরের মেঝেতে অচেতন অবস্থায় পরে আছে। তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের আগ থেকেই অন্য এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো জান্নাত আক্তারের। বিয়ের পরও সেই সম্পর্ক অব্যাহত ছিল। প্রেমের সম্পর্কের কারণেই স্বামীকে হত্যা করেছে। নিহত মেহেদী হাসানের মা বকুল বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আট দিন হইছে আমার ছেলেরে বিয়ে করাইছি। অন্য ছেলের সাথে বউয়ের প্রেম ছিল। সে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই। বউয়ের ফাঁসি চাই।
নিহতের বড় ভাই আবুল কালাম বলেন, আমার ছোট ভাই একটি ওষুধের দোকানে চাকরী করতো। সে খুব শান্ত স্বভাবের ছিল। তার স্ত্রী ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জান্নাত আক্তার তার স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। বিয়ের আগে এক ছেলের সাথে জান্নাত আক্তারের প্রেম ছিল। বিয়ের পর থেকে  সে তার স্বামীকে মেনে নিতে পারছিল না। গত রাতে স্বামীকে তার ঘুম আসছে না বলে স্বামীকে দিয়ে ঘুমের টেবলেট আনায়। পরে কোকের সাথে ৬টি ঘুমের টেবলেট খাইয়ে অচেতন করে স্বামীকে অচেতন করে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।