Brahmanbaria ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Last News :
অবৈধ পথে ভারতে যাওয়ার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই নারীসহ শিশু আটক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ১২ হাজার ভারতীয় ইয়াবাসহ ২ মাদক ব্যবসায়িক আটক নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক লতিফ আটক বিজয়নগরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হেনস্থা বন্ধসহ শ্রেণীকক্ষের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে অভিনব পন্থায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় ছাত্রদল নেতা নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্র্যাক এরিয়া সেলস্ সেন্টারের কৃত্রিম প্রজনন সেবাকর্মীর মৃত্যুর চেক প্রধান বিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের দাবীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে লাঞ্চিত করার ঘটনায় তদন্ত শুরু

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩
  • ৮৯২ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তত্বাবধায়কের সাথে আবাসিক চিকিৎসকদের বিরোধের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের ৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল এই তদন্ত শুরু করেছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের তিনজন চিকিৎসক তত্ত্বাবধায়ক ওয়াহীদুজ্জামানের কক্ষে আসেন। এসময় তারা বলেন তিনদিন বহি:বিভাগের রোগী দেখবেন এবং তিনদিন বৈকালিক সেবা দিবেন। এসময় তত্ত্বাবধায়ক তাদের বলেন, বহি:বিভাগ বন্ধ থাকলে রোগীরা চিকিৎসক না পেলে অসন্তোষ হবেন। তখন তত্ত্বাবধায়ক বহি:বিভাগ সপ্তাহে ৬দিনই খোলা রাখা হোক, আর বৈকালিক সেবা প্রয়োজনে কমিয়ে করতে বলেন। তখন তারা বলেন আগে যেভাবে চলে আসছিল সেভাবেই আমরা করবো, আমরা মানবো না। তখন চক্ষু বিভাগের চিকিৎসক ওবায়দুল্লাহ উচ্চবাচ্য করেন। তিনি তত্ত্বাবধায়কের দরজায় জোরে ধাক্কা দিয়ে ভেঙে বাইরে চলে যায়। এরআগে, চলতি মাসে আবাসিক চিকিৎসক রানা নূরুস শামস ও ফাইজুর রহমান নিয়মিত দায়িত্ব পালন না করায় তাদের বেতন বন্ধ রাখতে তত্ত্বাবধায়ক চিঠি দেন উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে। এই নিয়ে দুজন আরএমও ক্ষুব্ধ ছিলেন। চিকিৎসক ওবায়দুল্লাহ ওই দুইজন আরএমও’র কাছে যান৷ রানা নূরুস শামস ও ওবায়দুল্লাহ সহ তিনজন চিকিৎসক তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে আসেন। রানা নূরুস শামস তত্ত্বাবধায়কের সাথে দুর্ব্যবহার করে লাঞ্চিত করার চেষ্টা করেন এবং হুমকি দেন। পরবর্তীতে অন্যান্য চিকিৎসকদের সাথে মিটিং করেন। এরপর তারা দলবদ্ধ হয়ে বাইরে থেকে সিসি ক্যামেরার লাইন বন্ধ করে আবার তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে যান। এসময় আরএমও রানা নূরুস শামস তত্ত্বাবধায়ককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি চিকিৎসকদের হয়রানি করেন এবং আমরা আপনার আদেশ মানবো না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Al Mamun

জনপ্রিয় খবর

অবৈধ পথে ভারতে যাওয়ার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই নারীসহ শিশু আটক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে লাঞ্চিত করার ঘটনায় তদন্ত শুরু

Update Time : ০২:০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তত্বাবধায়কের সাথে আবাসিক চিকিৎসকদের বিরোধের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের ৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল এই তদন্ত শুরু করেছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের তিনজন চিকিৎসক তত্ত্বাবধায়ক ওয়াহীদুজ্জামানের কক্ষে আসেন। এসময় তারা বলেন তিনদিন বহি:বিভাগের রোগী দেখবেন এবং তিনদিন বৈকালিক সেবা দিবেন। এসময় তত্ত্বাবধায়ক তাদের বলেন, বহি:বিভাগ বন্ধ থাকলে রোগীরা চিকিৎসক না পেলে অসন্তোষ হবেন। তখন তত্ত্বাবধায়ক বহি:বিভাগ সপ্তাহে ৬দিনই খোলা রাখা হোক, আর বৈকালিক সেবা প্রয়োজনে কমিয়ে করতে বলেন। তখন তারা বলেন আগে যেভাবে চলে আসছিল সেভাবেই আমরা করবো, আমরা মানবো না। তখন চক্ষু বিভাগের চিকিৎসক ওবায়দুল্লাহ উচ্চবাচ্য করেন। তিনি তত্ত্বাবধায়কের দরজায় জোরে ধাক্কা দিয়ে ভেঙে বাইরে চলে যায়। এরআগে, চলতি মাসে আবাসিক চিকিৎসক রানা নূরুস শামস ও ফাইজুর রহমান নিয়মিত দায়িত্ব পালন না করায় তাদের বেতন বন্ধ রাখতে তত্ত্বাবধায়ক চিঠি দেন উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে। এই নিয়ে দুজন আরএমও ক্ষুব্ধ ছিলেন। চিকিৎসক ওবায়দুল্লাহ ওই দুইজন আরএমও’র কাছে যান৷ রানা নূরুস শামস ও ওবায়দুল্লাহ সহ তিনজন চিকিৎসক তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে আসেন। রানা নূরুস শামস তত্ত্বাবধায়কের সাথে দুর্ব্যবহার করে লাঞ্চিত করার চেষ্টা করেন এবং হুমকি দেন। পরবর্তীতে অন্যান্য চিকিৎসকদের সাথে মিটিং করেন। এরপর তারা দলবদ্ধ হয়ে বাইরে থেকে সিসি ক্যামেরার লাইন বন্ধ করে আবার তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে যান। এসময় আরএমও রানা নূরুস শামস তত্ত্বাবধায়ককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি চিকিৎসকদের হয়রানি করেন এবং আমরা আপনার আদেশ মানবো না।