ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তত্বাবধায়কের সাথে আবাসিক চিকিৎসকদের বিরোধের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের ৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল এই তদন্ত শুরু করেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের তিনজন চিকিৎসক তত্ত্বাবধায়ক ওয়াহীদুজ্জামানের কক্ষে আসেন। এসময় তারা বলেন তিনদিন বহি:বিভাগের রোগী দেখবেন এবং তিনদিন বৈকালিক সেবা দিবেন। এসময় তত্ত্বাবধায়ক তাদের বলেন, বহি:বিভাগ বন্ধ থাকলে রোগীরা চিকিৎসক না পেলে অসন্তোষ হবেন। তখন তত্ত্বাবধায়ক বহি:বিভাগ সপ্তাহে ৬দিনই খোলা রাখা হোক, আর বৈকালিক সেবা প্রয়োজনে কমিয়ে করতে বলেন। তখন তারা বলেন আগে যেভাবে চলে আসছিল সেভাবেই আমরা করবো, আমরা মানবো না। তখন চক্ষু বিভাগের চিকিৎসক ওবায়দুল্লাহ উচ্চবাচ্য করেন। তিনি তত্ত্বাবধায়কের দরজায় জোরে ধাক্কা দিয়ে ভেঙে বাইরে চলে যায়। এরআগে, চলতি মাসে আবাসিক চিকিৎসক রানা নূরুস শামস ও ফাইজুর রহমান নিয়মিত দায়িত্ব পালন না করায় তাদের বেতন বন্ধ রাখতে তত্ত্বাবধায়ক চিঠি দেন উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে। এই নিয়ে দুজন আরএমও ক্ষুব্ধ ছিলেন। চিকিৎসক ওবায়দুল্লাহ ওই দুইজন আরএমও’র কাছে যান৷ রানা নূরুস শামস ও ওবায়দুল্লাহ সহ তিনজন চিকিৎসক তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে আসেন। রানা নূরুস শামস তত্ত্বাবধায়কের সাথে দুর্ব্যবহার করে লাঞ্চিত করার চেষ্টা করেন এবং হুমকি দেন। পরবর্তীতে অন্যান্য চিকিৎসকদের সাথে মিটিং করেন। এরপর তারা দলবদ্ধ হয়ে বাইরে থেকে সিসি ক্যামেরার লাইন বন্ধ করে আবার তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে যান। এসময় আরএমও রানা নূরুস শামস তত্ত্বাবধায়ককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি চিকিৎসকদের হয়রানি করেন এবং আমরা আপনার আদেশ মানবো না।