ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলায় জঘন্যতম অপরাধ মানব পাচার এর অভিযোগে চান্দুরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এ এম শামিউল হক চৌধুরী সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ মামলা রুজু করা হয়েছে।
বুধবার (১১ই সেপ্টেম্বর) বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের সাতগাঁও গ্রামের মৃত আ: রহমান এর ছেলে আলম মিয়া (৪৫) বাদী হয়ে ৫/২৪ নং মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রধান আসামি চান্দুরা ইউপি চেয়ারম্যান এম শামিউল হক চৌধুরী (৫০), নুরু মিয়ার ছেলে গাজী মিয়া (৩৮), নিলুফা বেগম (৩০), মকবুল মিয়া (৩৫), রহিছ মিয়া (৫০), কালু মিয়ার ছেলে কাউসার মিয়া (৩৫), জেলার আখাউড়া গঙ্গানগর এর রেশমা বেগম (৩০) ও সম্পৃক্ত এন এম এস এস ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্সির দায়িত্বরত মজিবুর রহমান (৪০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৯ সালে বাদী আলম মিয়ার অপ্রাপ্তবয়স্কা কন্যা (ভিকটিম) সালমা বেগম (১৫) কে ঢাকায় বাসা বাড়ির কাজ দিবে বলে আসামি রেসমা বেগম ভিকটিমের সৎ মা এর প্ররোচনায় ও আসামি মজিবুর রহমান (ট্রাভেল এজেন্সির) এর যুগসাজসে বাদীর (পিতা) অনিচ্ছায় ও অগোচরে আসামী ইউপি চেয়ারম্যান ভিকটিমের বয়স বর্ধিত করে পাসপোর্ট বানাতে সাহায্য করে।
গরিব বাবা অসহায়ত্বের তাগিদে ঢাকায় বাসার কাজে দেওয়ার আপত্তি না থাকলেও, জানেনা তার কন্যা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। সূত্রে আরও জানা যায়, কোন না কোন উপায়ে বিদেশ পাচারের কথা জানতে পেরে ভিকটিমকে ফিরিয়ে আনতে আসামিগণকে অনুরোধ করলে, আসামিগন ১লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়েও ভিকটিমকে ফেরাতে ব্যর্থ। বর্তমানে ভিকটিম প্রায় ৫বছর যাবত সৌদি আরবে নিখোঁজ অবস্থায় রয়েছে মর্মে ভিকটিমের বাবা আদালতে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করলে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সি আই ডি তদন্তে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে এ এম শামিউল হক চৌধুরী জানান, আমি এই ব্যাপারে কিছু জানে না, বাদীর গ্রামের মুগল আলী /মুগবুল আলীর মাধ্যমে বিদেশ পাঠায়ছে। আমি জানিও না। টাকা দেওয়ার সময়ও কিছু জানি না। পরে শুনেছি মেয়েটা মারা গেছে। মেয়ের মা বাবা এজেন্সির কাছ হইতে ক্ষতিপূরণ নিয়েছে। এজেন্সির কাছে তাদের স্টাম্প ও ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। আমাকে ফয়সাল নামের এক ব্যক্তি মিথ্যা মামলায় জরিয়েছে। এ ছাড়া আমি কিছু জানিনা।