Brahmanbaria ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Last News :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপুল পরিমান ভারতীয় মোবাইল আটক! ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক গ্রামীন নারী দিবস পালিত আখাউড়ায় ভারতীয় নাগরিকসহ ২ জন আটক! ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন সভাপতি এম এ খালেক ও সম্পাদক শ্যামল  বিজয়নগরে পরকিয়ার নামে মিথ্যা প্রচারের দাবি ভুক্তভোগীর! ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেলটা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানীর স্বামীর মৃত্যুর দাবীর চেক প্রধান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেতু এন্টারপ্রাইজ প্রাইজমানি ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনালে কসবা বিজয়ী ভারতে যাওয়ার সময় মা-ছেলে আটক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহে আলোচনা  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার

জমে উঠেছে লালপুরের শুটকী পল্লী 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:০৬:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৫৬৮ Time View
জমে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লালপুরের শুটকী পল্লী। তিতাস, মেঘনা নদীসহ বিস্তির্ণ হাওড়াঞ্চল থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সংগ্রহের প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরী হচ্ছে শুটকী। এসব শুটকী ভারত ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানী হয়।
শুটকী প্রক্রিয়াকরণের সাথে জড়িতরা জানান, উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও শুটকীর দাম না বাড়ায় বর্তমানে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতির আশঙ্কায় । সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি প্রতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ২ শ কোটি টাকার শুঁটকী উৎপাদন হবে যার অর্ধেকই লালপুরের শুটকী পল্লী থেকে উৎপাদিত হবে। 
মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, শুটকী ব্যবসাকে লাভবান করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার কথা। বাংলাদেশে মিঠা পানির শুটকীর একটি বড় অংশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলায় উৎপাদিত হয়। জেলা সদর ছাড়াও নাসিরনগন ও আশুগঞ্জ উপজেলার প্রায় আড়াইশ মাচায় এখন চলছে শুটকী প্রক্রিয়াকরনের কাজ। এর মধ্যে লাল পুরে রয়েছে প্রায় ৯০টি মাচা। তিতাস, মেঘনা নদীসহ বিস্তির্ণ হাওড়াঞ্চল থেকে সংগৃহীত মাছ প্রক্রিয়া করণের মাধ্যমে এখানে তৈরী হচ্ছে পুঁটি, শৈল, গজার, বাইম, বজুরি,
টেংরা, বোয়াল সহ জাতের শুটকী। এসব শুটকী তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সহস্রাধিক নারী-পুরুষ।
প্রক্রিয়াকরনের সাথে জড়িতরা জানালেন,  আশ্বিন থেকে শুরু করে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত প্রায় ছয় মাস ধরে চলে এখানে শুটকী তৈরীর কাজ।
এখানকার শুটকী নিরাপদ হওয়ায় সারা দেশের পাশাপাশি দেশের বাইরেও এর কদর রয়েছে।
ক্ষুদ্র্ঋন ও দাদনের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় পুঁজি সংকটে ভুগছে এ পেশায় জড়িতরা।
পাশিাপাশি বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশী দামে মাছ কিনতে হচ্ছে। এছাড়া শুটকী প্রকিয়াকরণের অন্যতম উপাদান লবণসহ অন্যান্য উপকরণের দামও বেড়ে গেছে। এতে কাঙ্খিত লাভ না হওয়ায় বর্তমানে এ পেশায় টিকে থাকতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
মৎস্য অফিস জানিয়েছে, মৎস্য খাতকে কৃষি ঋন নীতিমালার আওতাভূক্ত করে এ পেশায় নিয়োজিতদের ঋন সহায়তার বিষয়টি প্রক্রিয়ধীন রয়েছে।২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জেলায় প্রায় ২ হাজার মেঃ টন শুটকী উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে টাকার অংকে যা প্রায় ২শ কোটি টাকা।
নিরপাদ শুটকী তৈরীর পাশাপাশি শুটকী ব্যবসায়ীদের লাভবান করতে বি পে অফঃ শুটকী উৎপাদনকারীদের নানা সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্টরা উদ্যোগী হবেন এমনটাই প্রত্যাশা ।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Al Mamun

জনপ্রিয় খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপুল পরিমান ভারতীয় মোবাইল আটক!

জমে উঠেছে লালপুরের শুটকী পল্লী 

Update Time : ০৬:০৬:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪
জমে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লালপুরের শুটকী পল্লী। তিতাস, মেঘনা নদীসহ বিস্তির্ণ হাওড়াঞ্চল থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সংগ্রহের প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরী হচ্ছে শুটকী। এসব শুটকী ভারত ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানী হয়।
শুটকী প্রক্রিয়াকরণের সাথে জড়িতরা জানান, উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও শুটকীর দাম না বাড়ায় বর্তমানে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতির আশঙ্কায় । সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি প্রতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ২ শ কোটি টাকার শুঁটকী উৎপাদন হবে যার অর্ধেকই লালপুরের শুটকী পল্লী থেকে উৎপাদিত হবে। 
মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, শুটকী ব্যবসাকে লাভবান করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার কথা। বাংলাদেশে মিঠা পানির শুটকীর একটি বড় অংশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলায় উৎপাদিত হয়। জেলা সদর ছাড়াও নাসিরনগন ও আশুগঞ্জ উপজেলার প্রায় আড়াইশ মাচায় এখন চলছে শুটকী প্রক্রিয়াকরনের কাজ। এর মধ্যে লাল পুরে রয়েছে প্রায় ৯০টি মাচা। তিতাস, মেঘনা নদীসহ বিস্তির্ণ হাওড়াঞ্চল থেকে সংগৃহীত মাছ প্রক্রিয়া করণের মাধ্যমে এখানে তৈরী হচ্ছে পুঁটি, শৈল, গজার, বাইম, বজুরি,
টেংরা, বোয়াল সহ জাতের শুটকী। এসব শুটকী তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সহস্রাধিক নারী-পুরুষ।
প্রক্রিয়াকরনের সাথে জড়িতরা জানালেন,  আশ্বিন থেকে শুরু করে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত প্রায় ছয় মাস ধরে চলে এখানে শুটকী তৈরীর কাজ।
এখানকার শুটকী নিরাপদ হওয়ায় সারা দেশের পাশাপাশি দেশের বাইরেও এর কদর রয়েছে।
ক্ষুদ্র্ঋন ও দাদনের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় পুঁজি সংকটে ভুগছে এ পেশায় জড়িতরা।
পাশিাপাশি বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশী দামে মাছ কিনতে হচ্ছে। এছাড়া শুটকী প্রকিয়াকরণের অন্যতম উপাদান লবণসহ অন্যান্য উপকরণের দামও বেড়ে গেছে। এতে কাঙ্খিত লাভ না হওয়ায় বর্তমানে এ পেশায় টিকে থাকতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
মৎস্য অফিস জানিয়েছে, মৎস্য খাতকে কৃষি ঋন নীতিমালার আওতাভূক্ত করে এ পেশায় নিয়োজিতদের ঋন সহায়তার বিষয়টি প্রক্রিয়ধীন রয়েছে।২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জেলায় প্রায় ২ হাজার মেঃ টন শুটকী উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে টাকার অংকে যা প্রায় ২শ কোটি টাকা।
নিরপাদ শুটকী তৈরীর পাশাপাশি শুটকী ব্যবসায়ীদের লাভবান করতে বি পে অফঃ শুটকী উৎপাদনকারীদের নানা সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্টরা উদ্যোগী হবেন এমনটাই প্রত্যাশা ।