Brahmanbaria ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Last News :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ১২ হাজার ভারতীয় ইয়াবাসহ ২ মাদক ব্যবসায়িক আটক নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক লতিফ আটক বিজয়নগরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হেনস্থা বন্ধসহ শ্রেণীকক্ষের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে অভিনব পন্থায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় ছাত্রদল নেতা নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্র্যাক এরিয়া সেলস্ সেন্টারের কৃত্রিম প্রজনন সেবাকর্মীর মৃত্যুর চেক প্রধান বিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের দাবীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামীলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি

কসবা ও আখাউড়ায় পানি আরো কমেছে, বন্দর দিয়ে আগরতলায় যাত্রী পারাপার শুরু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হয়েছে। আজ রবিবারও পানি কমেছে দুই উপজেলাতেই। কসবায় কিছু সড়কে পানি থাকলেও বেশিরভাগ জায়গার বাড়ি-ঘর থেকে পানি সরে গেছে। আখাউড়ায় বন্যার পানি না থাকলেও কিছু বাড়িতে জলাবদ্ধতার কারণে পানি দেখা যায়।
পানি শুকিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্যার ক্ষতচিহ্ন বের হচ্ছে। আখাউড়ার কেন্দুয়াই, রাজেন্দ্রপুর, খলাপাড়া, ইটনা, আইড়ল, কর্ণেল বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বেশি কিছু বাড়ি-ঘর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভাসতে শুরু করেছে ডুবে যাওয়া জমি। তবে এসব জমিতে লাগানো বেশিরভাগ ধানের চারা একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। একই অবস্থা কসবা উপজেলাতেও।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রবিবার বিকেল থেকে যাত্রী পারাপার শুরু হয়েছে। বন্যার কারণে যারা ভারতে কিংবা বাংলাদেশে আটকা পড়েছিলেনে তাদের ভিসা শেষ হয়ে থাকলেও বিশেষ বিবেচনায় যেতে দেওয়া হচ্ছে। তবে গাজীর বাজার এলাকায় সেতু ভাঙা থাকায় সহসাই আমদানি-রপ্তানি চালু করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবন পানিতে ডুবে থাকায় গত চারদিন ধরে সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ ছিলো।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি জানান, এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তবে কয়েকটি বাড়িতে জলাবদ্ধতা রয়েছে। জলবদ্ধতার কারণ নিরসন করে পানি সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কসবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, ‘এখানকার বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে চলেছে। তবে কিছু সড়কে এখনো পানি রয়ে গেছে। যে কারণে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে লোকজন এখনই বাড়ি ফিরতে পারছেন না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে পর্যাপ্ত ত্রান বিতরণ হয়।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Al Mamun

জনপ্রিয় খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ১২ হাজার ভারতীয় ইয়াবাসহ ২ মাদক ব্যবসায়িক আটক

কসবা ও আখাউড়ায় পানি আরো কমেছে, বন্দর দিয়ে আগরতলায় যাত্রী পারাপার শুরু

Update Time : ০৩:৪১:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হয়েছে। আজ রবিবারও পানি কমেছে দুই উপজেলাতেই। কসবায় কিছু সড়কে পানি থাকলেও বেশিরভাগ জায়গার বাড়ি-ঘর থেকে পানি সরে গেছে। আখাউড়ায় বন্যার পানি না থাকলেও কিছু বাড়িতে জলাবদ্ধতার কারণে পানি দেখা যায়।
পানি শুকিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্যার ক্ষতচিহ্ন বের হচ্ছে। আখাউড়ার কেন্দুয়াই, রাজেন্দ্রপুর, খলাপাড়া, ইটনা, আইড়ল, কর্ণেল বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বেশি কিছু বাড়ি-ঘর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভাসতে শুরু করেছে ডুবে যাওয়া জমি। তবে এসব জমিতে লাগানো বেশিরভাগ ধানের চারা একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। একই অবস্থা কসবা উপজেলাতেও।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রবিবার বিকেল থেকে যাত্রী পারাপার শুরু হয়েছে। বন্যার কারণে যারা ভারতে কিংবা বাংলাদেশে আটকা পড়েছিলেনে তাদের ভিসা শেষ হয়ে থাকলেও বিশেষ বিবেচনায় যেতে দেওয়া হচ্ছে। তবে গাজীর বাজার এলাকায় সেতু ভাঙা থাকায় সহসাই আমদানি-রপ্তানি চালু করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবন পানিতে ডুবে থাকায় গত চারদিন ধরে সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ ছিলো।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি জানান, এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তবে কয়েকটি বাড়িতে জলাবদ্ধতা রয়েছে। জলবদ্ধতার কারণ নিরসন করে পানি সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কসবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, ‘এখানকার বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে চলেছে। তবে কিছু সড়কে এখনো পানি রয়ে গেছে। যে কারণে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে লোকজন এখনই বাড়ি ফিরতে পারছেন না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে পর্যাপ্ত ত্রান বিতরণ হয়।