ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার ২নং চান্দুরা ইউনিয়নে অতিপ্রাক্তন আমতলী বাজার অনির্বাচিত কমিটির নিয়ম বহির্ভূত কার্যকলাপে বিরুদ্ধে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাজারের বিশিষ্ট মালিক ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের আবেদন করেন।
রবিবার (২৩ জুন) বাজারের ৭জন বিশিষ্ট মালিকের স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্র বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে দাখিল করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমতলী বাজারে প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অনির্বাচিত কমিটি দ্বারা পরিচালনা করিয়া আসিতেছে। যাহার কারণে বাজারে ক্রেতা বিক্রেতা ও সাধারণ জনগণ বিভিন্ন সমস্যায় সম্মুখীন হচ্ছে। বাজার কমিটি তাদের ইচ্ছামত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে বাজারের আয় ব্যয় গোপন রাখা হয়।
বিশেষ করে আমতলী মাছ বাজার বছরের পর বছর জলাবদ্ধতায় ক্রেতা-বিক্রেতার বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বিক্রেতারা অপারগতায় সন্ধ্যার পর মেইন রোডে যান চলাচলের রাস্তায় মাছ বিক্রিতে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি করে।
বাজারের পূর্ব পাশে ও ডাকনা বিহীন ও অনিরাপদ ড্রেইন যেমন বিপদজনক তেমনি আবর্জনাতে ভরে ড্রেইনের রূপ বদলে তার কার্যকারিতার ব্যাঘাত ঘটছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, পশার চাঁদ ও সাতগাঁও রোড জলাবদ্ধতা ও ছোট ছোট গর্ত ও উঁচানেচায় জন চলাচলের দুর্ভোগ সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পানিতে পরিণত হয়। কমিটির এতই নিষ্ক্রিয় দায়িত্ব বিভিন্ন সময় বাজারের দোকান গুলোতে চুরি হলেও জবাবদিহিতা ও দায়িত্ববান পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। যার কারণে বারবার চুরি হচ্ছে। কমিটি তাদের ইচ্ছামত চাঁদা উঠিয়ে বাজারের অকেজু নামমাত্র সিসি ক্যামেরা লাগালেও কোন কার্যকরী উপকার পাওয়া যায়নি।
অভিযোগকারীদের দাবি, সকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে নির্বাচনের প্রক্রিয়া অবলম্বন করে, নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে।
এলাকাবাসী বলেন, আমতলী বাজারে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত,বাজারে চলাফেরার মত নয়। মাছ বাজারে নোংরা পানি জমাটের কারণে যেতে পারছেনা।
এ বিষয়ে বর্তমান আমতলী বাজারের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন মুঠো ফোনে কোন প্রশ্নের জবাব দিতে অনীহা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহাবুবুল হক বলেন, আমতলী বাজারের সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ জুলাই মাসে নেওয়া হবে।