“স্মার্ট ভূমি সেবা স্মার্ট নাগরিক” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে ও আয়োজনে শনিবার (৮ জুন) থেকে আগামী শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪ পর্যন্ত সারা দেশে ‘ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২৪’ উদযাপনের অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়“ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২৪” এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে “ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২৪” এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক মো: হাবিবুর রহমান জেলা প্রশাসক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)।
মো: সাইফুল ইসলাম।বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র নায়ার কবির, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সমাজকর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, ছাত্র-শিক্ষকবৃন্দ ও সেবা গ্রহীতারা।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান শেষে উপকারভোগীদের মধ্যে কবুলিয়ত দলিল ও নামজারি খতিয়ান বিতরণ করা হয়। এছাড়াও তাৎক্ষনিকভাবে নাগরিকদের মাঝে নামজারি খতিয়ান, ভূমি উন্নয়ন করের দাখিলা সরবরাহ করা হয়। সর্বশেষ উপজেলা ভূমি প্রশাসনের কর্মচারীদের মধ্যে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা স্মারক বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, “মাটির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। মানুষের আর্থ-সামাজিক কাঠামোর আবর্তন। দেশে যত দ্বন্দ্ব-বিরোধ, মামলা-মোকদ্দমা তার বেশির ভাগই ভূমিকেন্দ্রিক। আর সীমিত সীমানায় বিপুল জনগোষ্ঠীর প্রত্যাশিত মানুষের চাহিদা পূরণ মোটেও সহজ নয় এর জন্য প্রয়োজন দক্ষ ও সৃজনশীল ব্যবস্থাপনা। অফিসে না এসেই ডাক যোগে ভুমি সেবা, ভূমি সেবায় ডিজিটাল পেমেন্ট এবং কল সেন্টারের মাধম্যে ঘরে বসেই ভূমি সেবা গ্রহণ অর্থাৎ ডিজিটাল ভূমি সেবা গ্রহণ করছে জনগণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জমির মালিকানা সংক্রান্ত সামাজিক ও পারিবারিক সমস্যার অবসান এবং ঝামেলামুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে ভূমি ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তর করতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে জনগনের দোরগোড়ায় ভূমি সেবা পৌছে দিতে সারাদেশে ডিজিটাল ভূমি সেবা চালু হয়েছে।”
সরাসরি অফিসে উপস্থিত না হয়ে অনলাইনে জমির নামখারিজ, নামজারি, বিভিন্ন ফি জমা, রশিদ উত্তোলনসহ জমি সংক্রান্ত সকল সেবাই মোবাইল অপশনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারছেন সেবা প্রত্যাশীরা। ফলে সেবা গ্রহীতারা মুক্তি পেয়েছে দীর্ঘ দিনের মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দৌরাত্ম্য থেকে সেবা গ্রহীতাসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই মনে করছেন, এটি কেবল সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতির কারণেই আর এতে করে শুধু ভূমি সেবা গ্রহণ সহজই হয়নি, ভূমি সংরক্ষণেও এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন।