Brahmanbaria ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাসিরনগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:১৪:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪
  • ১০৮ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ফান্দাউক গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হয়। সে সময় খেলা চলাকালীন দুই তরুণের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়ায়। এর পর সংঘর্ষের বিষয়টি বড়দের কাছে পৌঁছায়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এর মধ্যে একটি পক্ষকে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আওয়াল ও অপর পক্ষটিকে মো. রিপন মিয়া সমর্থন দেয়। পরে বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে বিচার-সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তির আলোচনাও হয়।

ঈদের পরদিন শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়তে সাধুপাড়া নূরে মদিনা মসজিদে যায় আওয়াল মিয়ার পক্ষের লোকজন। নামাজ থেকে বের হওয়ার পর আওয়াল মিয়ার পক্ষের লোকদের উপর অতর্কিত হামলা করে রিপন মিয়ার লোকজন। এ সময় বিষয়টি দ্রুত গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে নারীসহ দুই পক্ষের ২০ জন আহত হয়। পরে উভয় পক্ষের আহতদের পুলিশ পাহাড়ায় নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

আহতরা হলো- মো. নূরে আলম, মো. সজল, নাছির মিয়া, সাগর মিয়া, শিমুল মিয়া, তফু মিয়া, দিদার মিয়া, কাজল মিয়া, ফসাল শিয়া, হৃদয় মিয়া ও নূরেম বেগম,গোলাম নূর, রুবেল মিয়া, আলা উদ্দিন, শাহনাজ বেগম, জিনিয়া বেগম, ফাতেমা বেগম ও রুজিনা বেগম।

আব্দুল আওয়াল বলেন, ছোট বাচ্চাদের ক্রিকেট খেলা নিয়ে সামান্য বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয়ভাবে বিচার-সালিশের ব্যবস্থাও হয়। কিন্তু আজ শুক্রবার নামাজ পড়তে গেলে রিপন মিয়ার পক্ষের লোকজন আমাদের পক্ষের লোকদের উপর হামলা করে।

রিপন মিয়ার পক্ষের মো. রাজা মিয়া বলেন, ঈদের দিন ছোট ছেলেদের মধ্যে মারামারি হয়। এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মাতব্বররা শেষ কইরা দিব বলছিল। কিন্তু শুক্রবার নামাজ থেকে বের হইবার পর আওয়াল মিয়ার লোকজন আমাদের উপর হামলা করে। এর বেশি আমি কিছু জানিনা।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহাগ রানা বলেন, উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

নাসিরনগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

Update Time : ০৬:১৪:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ফান্দাউক গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হয়। সে সময় খেলা চলাকালীন দুই তরুণের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়ায়। এর পর সংঘর্ষের বিষয়টি বড়দের কাছে পৌঁছায়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এর মধ্যে একটি পক্ষকে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আওয়াল ও অপর পক্ষটিকে মো. রিপন মিয়া সমর্থন দেয়। পরে বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে বিচার-সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তির আলোচনাও হয়।

ঈদের পরদিন শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়তে সাধুপাড়া নূরে মদিনা মসজিদে যায় আওয়াল মিয়ার পক্ষের লোকজন। নামাজ থেকে বের হওয়ার পর আওয়াল মিয়ার পক্ষের লোকদের উপর অতর্কিত হামলা করে রিপন মিয়ার লোকজন। এ সময় বিষয়টি দ্রুত গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে নারীসহ দুই পক্ষের ২০ জন আহত হয়। পরে উভয় পক্ষের আহতদের পুলিশ পাহাড়ায় নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

আহতরা হলো- মো. নূরে আলম, মো. সজল, নাছির মিয়া, সাগর মিয়া, শিমুল মিয়া, তফু মিয়া, দিদার মিয়া, কাজল মিয়া, ফসাল শিয়া, হৃদয় মিয়া ও নূরেম বেগম,গোলাম নূর, রুবেল মিয়া, আলা উদ্দিন, শাহনাজ বেগম, জিনিয়া বেগম, ফাতেমা বেগম ও রুজিনা বেগম।

আব্দুল আওয়াল বলেন, ছোট বাচ্চাদের ক্রিকেট খেলা নিয়ে সামান্য বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয়ভাবে বিচার-সালিশের ব্যবস্থাও হয়। কিন্তু আজ শুক্রবার নামাজ পড়তে গেলে রিপন মিয়ার পক্ষের লোকজন আমাদের পক্ষের লোকদের উপর হামলা করে।

রিপন মিয়ার পক্ষের মো. রাজা মিয়া বলেন, ঈদের দিন ছোট ছেলেদের মধ্যে মারামারি হয়। এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মাতব্বররা শেষ কইরা দিব বলছিল। কিন্তু শুক্রবার নামাজ থেকে বের হইবার পর আওয়াল মিয়ার লোকজন আমাদের উপর হামলা করে। এর বেশি আমি কিছু জানিনা।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহাগ রানা বলেন, উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।