Brahmanbaria ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমিটি পুনঃ বহাল না হলে রেলপথ ও সড়ক পথ অবোরধের হুঁশিয়ারি কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
  • ১৮৪ Time View
শুক্রবার (২৯ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি এক সপ্তাহের মধ্যে পুনর্বহালের দাবিতে জেলা কমিটিকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে দাবি না মানলে প্রয়োজনে রেলপথ ও মহাসড়ক অবরোধেরও ঘোষণা দেওয়া হয়।
জানানো হয়, জেলা কমিটি বিলুপ্ত করলেও সেটি গঠনতান্ত্রিক না হওয়ায় এই কমিটিই কসবাতে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। জেলা কমিটি যেখানে এক বছরের বদলে সাত বছর ধরে চলছে সেখানে উপজেলা কমিটিকে মেয়াদোত্তীর্ণ বলার বিষয়টি হাস্যকর বলে উল্লেখ করা হয়। বুধবার গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারন সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 
কমিটি বিলুপ্তের প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মসূচিতে গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে জড়ো হতে থাকে। সকাল থেকেই সেখানে জেলা কমিটির বিরুদ্ধে নানা ধরণের শ্লোগান দেওয়া হয়। পরে ছাত্রলীগ নেতা এস এম শাফায়েত হৃদয়ের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সাবেক পৌর মেয়র মো. এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারমান মো. মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক পলাশ, সুমন রানা, মো. ইব্রাহিম, শ্যামল ভ‚ঁইয়া, সাইফুল ইসলাম, ফজলে রাব্বি, আজমীর গাজী, বশির আহমেদ, আমিনুল হক তুহিন, বিল্লাল মুন্সী, পাশা আলী, রিফাত খাঁ, মো. নাঈম, মো. আলাউদ্দিন, হৃদয় শীল, আনোয়ার আলম প্রমুখ।
অনেকে অভিযোগ করেছেন, পাশের আখাউড়াসহ জেলার একাধিক উপজেলায় মেয়াদোত্তীর্ণ ও সাংগঠনিক কার্যক্রমহীন কমিটি রয়েছে। অথচ সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু কসবা উপজেলা কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া উদ্দেশ্যমূলক। এ নিয়ে ওই এলাকার সংসদ সদস্য তথা আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কিংবা স্থানীয় অন্য কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও পরামর্শ করা হয়নি বলে জেলা কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।
বিলুপ্ত ঘোষিত কমিটির আহবায়ক আফজাল হোসেন খান রিমন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্যে কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আলাদা সুনাম আছে। মন্ত্রী মহোদয়সহ স্থানীয় নীতিনির্ধারকদের কারো সঙ্গে কোনো ধরণের পরামর্শ না করে, সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা না দিয়ে জেলা করা হয়েছে সেটা কোনোভাবেই ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ি হয়নি। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এ ঘটনার প্রতিবাদে পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সকল ইউনিট কর্মসূচি পালন করে।
জেলা ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, কসবা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করতে একটা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের একটা নির্দেশনা ছিলো। এরই আলোকে এটা করা হয়েছে। তবে এটা সত্য যে ওই এলাকার সংসদ সদস্য তথা মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সেটা সম্ভব হয়নি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, তিনমাস মেয়াদি কমিটির বয়স হলো ছয় বছর। এ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা একজন বিদেশ চলে গেছে, একজন কাজী হয়েছেন। আবার অনেকে চাকরি পেয়েছেন ও বিয়ে করেছেন। এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

কমিটি পুনঃ বহাল না হলে রেলপথ ও সড়ক পথ অবোরধের হুঁশিয়ারি কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের

Update Time : ১০:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
শুক্রবার (২৯ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি এক সপ্তাহের মধ্যে পুনর্বহালের দাবিতে জেলা কমিটিকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে দাবি না মানলে প্রয়োজনে রেলপথ ও মহাসড়ক অবরোধেরও ঘোষণা দেওয়া হয়।
জানানো হয়, জেলা কমিটি বিলুপ্ত করলেও সেটি গঠনতান্ত্রিক না হওয়ায় এই কমিটিই কসবাতে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। জেলা কমিটি যেখানে এক বছরের বদলে সাত বছর ধরে চলছে সেখানে উপজেলা কমিটিকে মেয়াদোত্তীর্ণ বলার বিষয়টি হাস্যকর বলে উল্লেখ করা হয়। বুধবার গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারন সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 
কমিটি বিলুপ্তের প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মসূচিতে গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে জড়ো হতে থাকে। সকাল থেকেই সেখানে জেলা কমিটির বিরুদ্ধে নানা ধরণের শ্লোগান দেওয়া হয়। পরে ছাত্রলীগ নেতা এস এম শাফায়েত হৃদয়ের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সাবেক পৌর মেয়র মো. এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারমান মো. মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক পলাশ, সুমন রানা, মো. ইব্রাহিম, শ্যামল ভ‚ঁইয়া, সাইফুল ইসলাম, ফজলে রাব্বি, আজমীর গাজী, বশির আহমেদ, আমিনুল হক তুহিন, বিল্লাল মুন্সী, পাশা আলী, রিফাত খাঁ, মো. নাঈম, মো. আলাউদ্দিন, হৃদয় শীল, আনোয়ার আলম প্রমুখ।
অনেকে অভিযোগ করেছেন, পাশের আখাউড়াসহ জেলার একাধিক উপজেলায় মেয়াদোত্তীর্ণ ও সাংগঠনিক কার্যক্রমহীন কমিটি রয়েছে। অথচ সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু কসবা উপজেলা কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া উদ্দেশ্যমূলক। এ নিয়ে ওই এলাকার সংসদ সদস্য তথা আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কিংবা স্থানীয় অন্য কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও পরামর্শ করা হয়নি বলে জেলা কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।
বিলুপ্ত ঘোষিত কমিটির আহবায়ক আফজাল হোসেন খান রিমন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্যে কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আলাদা সুনাম আছে। মন্ত্রী মহোদয়সহ স্থানীয় নীতিনির্ধারকদের কারো সঙ্গে কোনো ধরণের পরামর্শ না করে, সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা না দিয়ে জেলা করা হয়েছে সেটা কোনোভাবেই ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ি হয়নি। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এ ঘটনার প্রতিবাদে পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সকল ইউনিট কর্মসূচি পালন করে।
জেলা ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, কসবা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করতে একটা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের একটা নির্দেশনা ছিলো। এরই আলোকে এটা করা হয়েছে। তবে এটা সত্য যে ওই এলাকার সংসদ সদস্য তথা মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সেটা সম্ভব হয়নি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, তিনমাস মেয়াদি কমিটির বয়স হলো ছয় বছর। এ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা একজন বিদেশ চলে গেছে, একজন কাজী হয়েছেন। আবার অনেকে চাকরি পেয়েছেন ও বিয়ে করেছেন। এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।