Brahmanbaria ০৫:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপ থেকে পুনরায় গ্যাস উত্তোলন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:১৮:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
  • ৪১৫ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপ থেকে পুনরায় গ্যাস উত্তোলনের জন্য ওয়ার্কওভার কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে ওয়ার্কওভার কাজের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ফজলুল হক।

আগামী দুই মাসের মধ্যেই ওয়ার্কওভার কাজ শেষে ওই কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে অন্তত ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হবে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের সবচেয়ে পুরোনো তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ২৩টি কূপ থেকে প্রতিদিন ৩৯২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। তবে নানা কারণে বন্ধ রয়েছে চারটি কূপ। এরমধ্যে ২০০০ সালে খনন করা ২৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ১৪ নম্বর কূপটি থেকে অতিমাত্রায় পানি ওঠায় ২০২১ সালের ১ নভেম্বর থেকে গ্যাস উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

শুধু তিতাসই নয়, বিজিএফসিএলের অন্য গ্যাস ফিল্ডগুলোর বেশ কয়েকটি কূপ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তাই গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা গ্যাস ফিল্ডের বন্ধ থাকা সাতটি গ্যাস কূপ ওয়ার্কওভারে ৫২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিজিএফসিএল।

প্রকল্প পরিচালক ইসমাইল মোল্লা জানান, সাতটি কূপের মধ্যে চারটি কূপের ওয়ার্কভার কাজ করবে বাপেক্স। দ্রুত গ্যাস উত্তোলনের স্বার্থে বাকি কূপগুলোর ওয়ার্কওভার কাজ করবে বিদেশি প্রতিষ্ঠান। তিতাসের ১৪ নম্বর কূপের কাজ শেষে করে পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোর কাজ শুরু হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যেই তিতাসের ১৪ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে অন্তত ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হবে।

বিজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ফজলুল হক জানান, গত ৫৫ বছরে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের কূপগুলো থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ টিসিএফ (ট্রিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। তবে কূপগুলোতে গ্যাস চাপ কমে যাওয়ায় উৎপাদনও কমছে। গ্যাসের চাপ স্বাভাবিক রাখতে কয়েকটি কূপে ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপন করা হয়েছে। বন্ধ কূপগুলোর ওয়ার্কওভার শেষ হলে বিজিএফসিএলের গ্যাস ফিল্ডগুলো থেকে গ্যাসের উৎপাদন আরও বাড়বে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Al Mamun

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপ থেকে পুনরায় গ্যাস উত্তোলন

Update Time : ০২:১৮:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপ থেকে পুনরায় গ্যাস উত্তোলনের জন্য ওয়ার্কওভার কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে ওয়ার্কওভার কাজের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ফজলুল হক।

আগামী দুই মাসের মধ্যেই ওয়ার্কওভার কাজ শেষে ওই কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে অন্তত ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হবে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের সবচেয়ে পুরোনো তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ২৩টি কূপ থেকে প্রতিদিন ৩৯২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। তবে নানা কারণে বন্ধ রয়েছে চারটি কূপ। এরমধ্যে ২০০০ সালে খনন করা ২৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ১৪ নম্বর কূপটি থেকে অতিমাত্রায় পানি ওঠায় ২০২১ সালের ১ নভেম্বর থেকে গ্যাস উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

শুধু তিতাসই নয়, বিজিএফসিএলের অন্য গ্যাস ফিল্ডগুলোর বেশ কয়েকটি কূপ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তাই গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা গ্যাস ফিল্ডের বন্ধ থাকা সাতটি গ্যাস কূপ ওয়ার্কওভারে ৫২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বিজিএফসিএল।

প্রকল্প পরিচালক ইসমাইল মোল্লা জানান, সাতটি কূপের মধ্যে চারটি কূপের ওয়ার্কভার কাজ করবে বাপেক্স। দ্রুত গ্যাস উত্তোলনের স্বার্থে বাকি কূপগুলোর ওয়ার্কওভার কাজ করবে বিদেশি প্রতিষ্ঠান। তিতাসের ১৪ নম্বর কূপের কাজ শেষে করে পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোর কাজ শুরু হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যেই তিতাসের ১৪ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে অন্তত ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হবে।

বিজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ফজলুল হক জানান, গত ৫৫ বছরে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের কূপগুলো থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ টিসিএফ (ট্রিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। তবে কূপগুলোতে গ্যাস চাপ কমে যাওয়ায় উৎপাদনও কমছে। গ্যাসের চাপ স্বাভাবিক রাখতে কয়েকটি কূপে ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপন করা হয়েছে। বন্ধ কূপগুলোর ওয়ার্কওভার শেষ হলে বিজিএফসিএলের গ্যাস ফিল্ডগুলো থেকে গ্যাসের উৎপাদন আরও বাড়বে।