“শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড” শিক্ষকতা একটা মহান পেশা, সেই পেশা যখন ব্যবসায় পরিণত হয় তখন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অবস্থা হবে নাজুক ও বিপর্যস্ত। সরকারের বিভিন্ন রকম পদক্ষেপে স্কুলের পাশে অথবা কোচিং, প্রাইভেট পড়ানোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এসব নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো পাঠদান না করে। শিক্ষার গুণগতমান ফাঁকি দিয়ে চলছে ইচ্ছামতো প্রাইভেট পড়ানো কোচিংয়ের রমরমা ব্যবসা। কিছু সংখ্যক অসাধু শিক্ষক/শিক্ষিকার এমন আচরণে গন্তব্যে পৌঁছার আগেই নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তান দারিদ্র্যতায় ও অতিরিক্ত ব্যয় বহনে ঝরে যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলায়, পাহাড়পুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাসরুমে শিক্ষকের ঘোষণা প্রাইভেট না পড়িলে, পরীক্ষায় ফেইল করে দিব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, অত্র বিদ্যালয়ের বিফিইডি শিক্ষক আব্দুলবারি বিদ্যালয়ের ক্লাসে ছাত্র ছাত্রীদের ঘোষণা দেয়, আমার কাছে প্রাইভেট না পড়িলে ফেইল করে দিব। তিনি স্কুলের পাশে পরিত্যক্ত দোকান ভাড়া করে ৫-৭ টা বেঞ্চ বিছিয়ে ৩০-৪০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে প্রতিদিন বিকাল ৪টায় ক্লাসে পর্যাপ্ত পাঠদান না করে কোচিং সেন্টারে ক্লাস করেন।
শিক্ষার্থী আরও বলেন, আমারা গরিব পরিবারের সন্তান প্রয়োজন না থাকলেও বাধ্য হয়ে আমার প্রাইভেট পড়তে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছলে দেখা যায় শিক্ষক আব্দুলবারি তার কোচিং সেন্টারে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের ছুটি দিয়ে তার কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে সাংবাদিককে থুপের মুখে ফেলেন। এমন আচরন তাৎক্ষণিক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষক অবগত করানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলী হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, আমার কাছে এমন অভিযোগ আসছে শিক্ষকরা নাকি ক্লাসে ঘোষণা দিয়েছে প্রাইভেট পড়ার জন্য, অন্যতায় তাদেরকে ফেইল করে দেওয়া হবে এবং তারা স্কুলের পাশে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে পরিত্যক্ত দোকান ভাড়া করে কোচিং সেন্টারে পরিণত করেছেন। অন্য এক শিক্ষক শফিকুল ইসলাম তিনিও নজরপুর এলাকায় কোচিং খুলেছেন। এ বিষয়ে আমি আগামী ম্যানেজিং কমিটির মিটিংয়ে আলোচনা করব।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিধন চন্দ্র সরকারের নিকট মিডিয়া প্রতিনিধি জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষক আব্দুলবারীকে বারণ করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আল মামুন বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি, আমি বিষয়টা খতিয়ে দেখছি। এমন হওয়া মোটেও কাম্য নয়।তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।