Brahmanbaria ০৪:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারীপক্ষের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৫৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৫৩৮ Time View
কর্মক্ষেত্রে দিনকে দিন নারীর অংশগ্রহন বাড়ছে। কৃষি জমি থেকে শুরু করে প্রবাস পর্যন্ত ঠিক একই রকম চিত্র। বাংলাদেশ জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ি, ১৯৯১ সাল থেকে ২০২৩ সাল নাগাদ ১১ লাখ ৪২ হাজার ৩৩৫ জন নারী প্রবাসে গেছেন। বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ২০১১ সালের তথ্য অনুযায়ি ৭০ ভাগ নারী সরাসরি কৃষি বিপণন, ৮০ ভাগ খাদ্য উৎপাদন ও ১০ ভাগ খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে জড়িত। 
আজ বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আয়োজিত ‘ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় সরবরাহ করা ‘নারীবাদী আন্দোলনের দাবিনামা’ নামে একটি বই থেকে এসব তথ্য জানা যায়। নারীপক্ষ নামে একটি সংগঠন এ বইটি প্রকাশ করেছেন।
নারীপক্ষের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলীস্থ স্বপ্নতরী নামে একটি সংগঠনের মিলনায়তনে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও চাঁদপুরের সাংবাদিকরা এ মতবিনিময় সভায় অংশ গ্রহণ করেন।।
মতবিনময় সভায় জানানো হয়, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়। একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। নারীকে কর্মে বিশেষায়িত করার জন্য মতবিনিময় আহবান জানানো হয়।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন দুর্বার নামে একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান ইয়াছমিন জাহান, নারী পক্ষের সভাপতি গীতা দাস, সদস্য কামরুন্নাহার ও ফেরদৌসি আখতার। সাংবাদিকদের মধ্যে আলোচনা করেন, মো. আরজু, মো. মহিউদ্দিন মোল্লা, বিশ্বজিৎ পাল বাবু, মো.শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Al Mamun

নারীপক্ষের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা

Update Time : ০২:৫৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
কর্মক্ষেত্রে দিনকে দিন নারীর অংশগ্রহন বাড়ছে। কৃষি জমি থেকে শুরু করে প্রবাস পর্যন্ত ঠিক একই রকম চিত্র। বাংলাদেশ জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ি, ১৯৯১ সাল থেকে ২০২৩ সাল নাগাদ ১১ লাখ ৪২ হাজার ৩৩৫ জন নারী প্রবাসে গেছেন। বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ২০১১ সালের তথ্য অনুযায়ি ৭০ ভাগ নারী সরাসরি কৃষি বিপণন, ৮০ ভাগ খাদ্য উৎপাদন ও ১০ ভাগ খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে জড়িত। 
আজ বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আয়োজিত ‘ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় সরবরাহ করা ‘নারীবাদী আন্দোলনের দাবিনামা’ নামে একটি বই থেকে এসব তথ্য জানা যায়। নারীপক্ষ নামে একটি সংগঠন এ বইটি প্রকাশ করেছেন।
নারীপক্ষের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলীস্থ স্বপ্নতরী নামে একটি সংগঠনের মিলনায়তনে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও চাঁদপুরের সাংবাদিকরা এ মতবিনিময় সভায় অংশ গ্রহণ করেন।।
মতবিনময় সভায় জানানো হয়, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়। একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। নারীকে কর্মে বিশেষায়িত করার জন্য মতবিনিময় আহবান জানানো হয়।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন দুর্বার নামে একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান ইয়াছমিন জাহান, নারী পক্ষের সভাপতি গীতা দাস, সদস্য কামরুন্নাহার ও ফেরদৌসি আখতার। সাংবাদিকদের মধ্যে আলোচনা করেন, মো. আরজু, মো. মহিউদ্দিন মোল্লা, বিশ্বজিৎ পাল বাবু, মো.শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।