ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একই দিনে সদর, বিজয়নগর, নাসিরনগর ও নবীনগর উপজেলায় ৪টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
আজ বুধবার দুপুরে ৪ জনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। মারা যাওয়াদের মধ্যে তিনজন নারী ও একজন পুরুষ।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানায়, সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের সাদেকপুর গ্রামে মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে সাজু মিয়া (৪৩) বুধবার সকাল ৬টার দিকে আতাফল গাছের সঙ্গে রশি লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ধারণা করা হচ্ছে, মানসিক অস্থিরতা ও হতাশাগ্রস্ত হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানায়, বুধবার দুপুরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের দত্তল খলা গ্রামের রাজু মিয়ার স্ত্রী মালেকা বেগম (৪৫) নামের এক নারী কেঁরি ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওইখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মালেকাকে মৃত ঘোষণা করে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহর ও মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন থাকার দরুন কেঁরি ট্যাবলেট খেয়ে মালেকা আত্মহত্যা করেছেন।
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা জানায়, উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের বেরুইন গ্রামের লালচান সরকারের স্ত্রী শুকলা রানী বিশ্বাস (৩০) নামের এক নারী আম গাছের সঙ্গে রশি লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু কি কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা জানা যায়নি। তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, আজকে ভোররাতে শুকলা রানী বিশ্বাস গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম জানায়, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চিতনাগুথ ইউনিয়নের পাটণী পাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের মেয়ে রুবিনা আক্তার (১৫) নবীনগর পৌরসভার মাঝিকারা গ্রামের পশ্চিম পাড়া এক বাড়িতে কাজের মেয়ে হিসেবে থাকতেন। গতকাল রাতে রুবিনা বাথরুমে রশি লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ওইখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রুবিনাকে মৃত ঘোষণা করে। কি কারনে আত্মহত্যা করেছে পুলিশ তা জানার চেষ্টা করতেছে।