মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংস্থা এআরডি এবং নারীপক্ষের যৌথ আয়োজনে নার্সিং ইনস্টিটিউট ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারীর উপর সহিংসতা প্রতিরোধ: তথ্যপ্রযুক্তিতে তরুণ ও যুব নারীর ঝুঁকি ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এআরডি’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান রেজভীর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস্) সোনহর আলী।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এআরডি’র নির্বাহী পরিচালক ইয়াসমিন জাহান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা.শাখাওয়াত হোসেন, নার্সিং ইনস্টিটিউট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইনচার্য সালাউদ্দিন মাধবর, বিটিভি ও দৈনিক ইত্তেফাক এর জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ আরজু মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো: আবু হোরায়রাহ, এডাব ব্রহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি এস.এম. শাহীন।
এআরডি’র কর্মসূচী সমন্বয়কারী জান্নাতুল ফেরদৌস এর উপস্থাপনায় অন্যন্যদের মধ্যে বক্ত্য রাখেন মনির হোসেন প্রশিক্ষক জেল মহিলা বিষয়ক কার্যালয়, ইউনূস আলী, প্রোগ্রাম অফিসার ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল,প্রদীপ বল্লভ ব্যবস্থাপক ওয়ার্ল্ড কনসার্ন বাংলাদেশ, মাসুমা আক্তার সদস্য এআরডি-তরুননারী দল প্রমুখ।
একবিংশ শতাব্দীতে তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে সবকিছু মানুষের কাছে সহজলভ্য হয়েছে। ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে অপরাধের নতুন ধরণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে সাইবার অপরাধ যেমন: নারীর উপর সহিংসতা, যৌন হয়রানী, হ্যাকিং, তথ্যফাঁস, ব্ল্যাকমেইল, প্রতারণা ও অপপ্রচার ইত্যাদি। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভে এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্র’র ২০২১ সালের তথ্য মতে, মোট সাইবার অপরাধের নথিভুক্ত কেসের মধ্যে নারী ভুক্তভোগী ৭০শতাংশ।
উন্মুক্ত আলোচনায় উপস্থিত তরুন ও যুব নারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের ও সমস্যা সর্ম্পকে সমাধান ও পরামর্শ প্রদান করেন প্রধান অতিথি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস্) সোনহর আলী।
তিনি নারীরা কিভাবে ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকবে এবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি এআরডি ও নারী পক্ষকে ধন্যবাদ জানান এধরনের সেমিনারের আয়োজনের জন্য।
সেমিনারে সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা,সাংবাদিক,আইনজীবী, সাবেক জনপ্রতিনিধি, সমাজ, মানবাধিকার ও এনজিও কর্মীসহ গন্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।