Brahmanbaria ০২:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাসিরনগরে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা একরামুজ্জামান

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:২৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
  • ৪৪৫ Time View
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ নাসিরনগরের আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: শাহগীর আলমের কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। সম্প্রতি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি তাকে বিশ্বাসঘাতক অভিহিত করে দল থেকে বহিষ্কার করে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি নিজ জায়গা থেকে বিশ্বাসঘাতক বলতেই পারে, আমি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস পেয়ে নির্বাচনে এসেছি। নির্বাচনে অংশগ্রহণের চাপ ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে একরামুজ্জামান জানান, তার উপর অন্য চাপ না, তবে এলাকার জনগনের চাপ ছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আরএকে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একরামুজ্জামানের পক্ষে মো. বকুল মিয়া নামে দলীয় এক কর্মী একরামুজ্জামানের পক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এ ঘটনায় পরদিন (২৮ নভেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ এবং দলের প্রাথমিক সদস্যের পদ থেকে একরামুজ্জামানকে বহিস্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এর পর বুধবার (২৯ নভেম্বর) জেলা বিএনপি ও নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বিশ্বাস ঘাতক আখ্যা দিয়ে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সদ্য বহিস্কৃত বিএনপি চেয়ারর্সান বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান বলেন, বিএনপি নিজ জায়গা থেকে বিশ্বাসঘাতক বলতেই পারে, আমি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস পেয়ে নির্বাচনে এসেছি। নির্বাচনে অংশগ্রহণের চাপ ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে একরামুজ্জামান জানান, তার উপর অন্য চাপ না, তবে এলাকার জনগনের চাপ ছিল।
এদিকে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য নূরে আলম ছিদ্দিকী বলেন, ‘একরামুজ্জামান কখনোই দলের আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন না। তিনি দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাই তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে’।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

নাসিরনগরে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা একরামুজ্জামান

Update Time : ১০:২৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ নাসিরনগরের আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: শাহগীর আলমের কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। সম্প্রতি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি তাকে বিশ্বাসঘাতক অভিহিত করে দল থেকে বহিষ্কার করে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি নিজ জায়গা থেকে বিশ্বাসঘাতক বলতেই পারে, আমি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস পেয়ে নির্বাচনে এসেছি। নির্বাচনে অংশগ্রহণের চাপ ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে একরামুজ্জামান জানান, তার উপর অন্য চাপ না, তবে এলাকার জনগনের চাপ ছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আরএকে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একরামুজ্জামানের পক্ষে মো. বকুল মিয়া নামে দলীয় এক কর্মী একরামুজ্জামানের পক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এ ঘটনায় পরদিন (২৮ নভেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ এবং দলের প্রাথমিক সদস্যের পদ থেকে একরামুজ্জামানকে বহিস্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এর পর বুধবার (২৯ নভেম্বর) জেলা বিএনপি ও নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বিশ্বাস ঘাতক আখ্যা দিয়ে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সদ্য বহিস্কৃত বিএনপি চেয়ারর্সান বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান বলেন, বিএনপি নিজ জায়গা থেকে বিশ্বাসঘাতক বলতেই পারে, আমি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস পেয়ে নির্বাচনে এসেছি। নির্বাচনে অংশগ্রহণের চাপ ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে একরামুজ্জামান জানান, তার উপর অন্য চাপ না, তবে এলাকার জনগনের চাপ ছিল।
এদিকে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য নূরে আলম ছিদ্দিকী বলেন, ‘একরামুজ্জামান কখনোই দলের আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন না। তিনি দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাই তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে’।