Brahmanbaria ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Last News :
কসবায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা ও ছেলের মৃত্যু! নবীনগরে  ভ্রাম্যমান আদালতের  অভিযান তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ তরী বাংলাদেশ বিজয়নগর উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠন। বিজয়নগরে বাবার বিরুদ্ধে ৯ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির ১৮ জন সদস্যকে সংবর্ধণা প্রদান  সালিশে অভিযোগে নারীকে নির্যাতন,বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্য আটক! নাসিরনগরে যৌন নিপিড়ন মামলার আসামি বাঁচাতে প্রধান শিক্ষকের কৌশল স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রেতাত্মারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: আইনমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৯ মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার! ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের বাৎসরিক কর্ম মূল্যায়ন ও সংবর্ধনা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় বর্তমান-সাবেক চেয়ারম্যানসহ আটক ৩৮

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৩৪:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩
  • ৬৩৫ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তার ও বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধের জের ধরে ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সদস্যের অনুসারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

এ সময় ২০টি বাড়ি ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ৩৭ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এ ঘটনায় পুলিশ বর্তমান চেয়ারম্যান, সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৩৮ জনকে আটক করেছে। আহতরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল ও স্থানীয় বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়।

সোমবার (১৩ নভেম্বর ) সকালে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহআলমের অনুসারীদের সাথে একই ইউনিয়নের বাসিন্দা ও জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বাবুল মিয়ার অনুসারীদের এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ইউপি চেয়ারম্যান শাহআলমের গ্রুপে রয়েছেন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন ও ইউপি সদস্য মোঃ আরজু মিয়ার অনুসারীরা। অপরদিকে জেলা পরিষদের সদস্য বাবুল মিয়ার গ্রুপে রয়েছেন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল কাইয়ূমের অনুসারীরা।

জানা গেছে, গত কয়েকদিন আগে চেয়ারম্যান মোঃ শাহআলম গ্রুপের বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক শওকতের ছেলে মিল্লাতকে মারধোর করে বাবুল মিয়ার অনুসারীরা। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। গত রোববার রাতে পুনরায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক শওকত এবং তার ছেলে মিল্লাতকে আবারো মারধোর করে বাবুলের অনুসারীরা। এই ঘটনায় গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করলে বিষয়টি মিমাংসার জন্য সোমবার সকালে উভয়পক্ষকে সদর থানায় ডাকা হয়। এরমধ্যেই বেলা সাড়ে ১১টার সময় দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলাকালে দাঙ্গাবাজরা ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও উভয়পক্ষের ২০টি বাড়ি ভাংচুর করে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ফিরোজ মিয়া (৫০), বিল্লাল মিয়া (৩৫), সাকিব মিয়া (২৫), হানিফ মিয়া (৩৫) ও বাবু মিয়া মিয়া (২২) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। বাকিরা গ্রেপ্তারের ভয়ে শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি ও চিকিৎসা নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাঠিপেটা, ১ রাউন্ড টিয়ারশেল এবং ৩৭ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলমের অনুসারীদের সাথে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল মিয়ার অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। আমরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান, সাবেক দুইজন চেয়ারম্যান, বর্তমান একজন ইউপি সদস্য, সাবেক ইউপি সদস্যসহ ৩৮ জনকে আটক করেছি। এর মধ্যে ২৩ জন পুরুষ ও ১৫ জন মহিলা রয়েছে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে ১ রাউন্ড টিয়ারশেল এবং ৩৭ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাতেই আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

কসবায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা ও ছেলের মৃত্যু!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় বর্তমান-সাবেক চেয়ারম্যানসহ আটক ৩৮

Update Time : ০৬:৩৪:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তার ও বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধের জের ধরে ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সদস্যের অনুসারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

এ সময় ২০টি বাড়ি ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ৩৭ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এ ঘটনায় পুলিশ বর্তমান চেয়ারম্যান, সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৩৮ জনকে আটক করেছে। আহতরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল ও স্থানীয় বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়।

সোমবার (১৩ নভেম্বর ) সকালে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহআলমের অনুসারীদের সাথে একই ইউনিয়নের বাসিন্দা ও জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বাবুল মিয়ার অনুসারীদের এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ইউপি চেয়ারম্যান শাহআলমের গ্রুপে রয়েছেন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন ও ইউপি সদস্য মোঃ আরজু মিয়ার অনুসারীরা। অপরদিকে জেলা পরিষদের সদস্য বাবুল মিয়ার গ্রুপে রয়েছেন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল কাইয়ূমের অনুসারীরা।

জানা গেছে, গত কয়েকদিন আগে চেয়ারম্যান মোঃ শাহআলম গ্রুপের বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক শওকতের ছেলে মিল্লাতকে মারধোর করে বাবুল মিয়ার অনুসারীরা। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। গত রোববার রাতে পুনরায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক শওকত এবং তার ছেলে মিল্লাতকে আবারো মারধোর করে বাবুলের অনুসারীরা। এই ঘটনায় গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করলে বিষয়টি মিমাংসার জন্য সোমবার সকালে উভয়পক্ষকে সদর থানায় ডাকা হয়। এরমধ্যেই বেলা সাড়ে ১১টার সময় দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলাকালে দাঙ্গাবাজরা ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও উভয়পক্ষের ২০টি বাড়ি ভাংচুর করে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ফিরোজ মিয়া (৫০), বিল্লাল মিয়া (৩৫), সাকিব মিয়া (২৫), হানিফ মিয়া (৩৫) ও বাবু মিয়া মিয়া (২২) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। বাকিরা গ্রেপ্তারের ভয়ে শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি ও চিকিৎসা নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাঠিপেটা, ১ রাউন্ড টিয়ারশেল এবং ৩৭ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলমের অনুসারীদের সাথে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল মিয়ার অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। আমরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান, সাবেক দুইজন চেয়ারম্যান, বর্তমান একজন ইউপি সদস্য, সাবেক ইউপি সদস্যসহ ৩৮ জনকে আটক করেছি। এর মধ্যে ২৩ জন পুরুষ ও ১৫ জন মহিলা রয়েছে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে ১ রাউন্ড টিয়ারশেল এবং ৩৭ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাতেই আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।