ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগরে জামিনে মুক্তি পেয়ে একটি অপহরন মামলার আসামি হুমকি দিচ্ছেন বাদীকে। প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বাদী আবু কাউসার। গত সোমবার (৯অক্টোবর) দুপুরে বিজয়নগর থানায় তিনি জিডি করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার মামলা নং ১৯,৭/৩০ ধারায় নারী- শিশু ও অপহরন মামলার একটি মামলা হয় বিজয়নগর থানায়। মামলা পরে বিজয়নগর থানা পুলিশ ৪নং আসামী হরষপুর ইনিয়নের বুল্লা গ্রামের আব্দুল আহাদ (৫৫) নামের একজনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করে থানা পুলিশ। আসামী আব্দুল আহাদ গত রবিবার (৮ অক্টোবর) জেল হাজত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েই বেপরোয়া হয়ে যাই।
আরও জানা যায়, আসামী আব্দুল আহাদ তার ক্যাডার বাহিনীকে নিয়ে বাদী আবু কাউসার মিয়াকে নিজ গ্রামের বুল্লা বাজারে মামলা তুলে নিতে প্রাণ নাশের হুমকি দেন।
এ বিষয়ে বাদী আবু কাসার জানান, হরষপুর ইনিয়নের বুল্লা গ্রামের বুল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যানরত আমার মেয়ে ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। প্রতিদিনের মত স্কুলের আশার পথে মহসিন মিয়া (২০) নামের বখাটে ছেলে আমার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে আমার মেয়ে অরুনা ইসলাম (১৪) রাজি না হলে উঠিয়ে নেওয়ার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে কিছুদিন পর আমার মেয়েকে স্কুল থেকে বাসায় আসার পথে মহসিন মিয়া তার দলবল নিয়ে জোর পূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যাই।
পরে তিনি বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় নারী-শিশু ও অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পরেই আসামী আব্দুল আহাদকে বিজয়নগর থানা পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েই আসামী আব্দুল আহাদ তার দলবল নিয়ে মামলা তুলে নিতে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকে দেন। আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি। আমাকে যে কোন সময় মেরে ফেলতে পারে মর্মে আমি বিজয়নগর থানায় আমার নিরাপত্তার জন্য সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রাজু আহম্মেদ বলেন, হুমকির বিষয়টি আমরা তদন্ত করে আইনে ব্যবস্হা নিচ্ছি। অরুনাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন আসামীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।