প্রতিবেদকঃ মোঃ রিমন খান
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ঘোষপাড়া ও নাথপাড়ার সরকারি একটি রাস্তা দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালী এক ব্যক্তি বাড়ী নির্মাণ করেছে।
জানা যায়, মোহাম্মদ আলী নামের প্রভাবশালী ব্যক্তি তার ৭৯৫৭ দাগের বসতবাড়ীর পশ্চিম পাশ দিয়ে অতিবাহিত স্থানীয় সরকারের জন চলাচলের ১৩ ফুট প্রশস্থ ও ৬৯০ ফুট লম্বা বিশিষ্ট গ্রামীণ রাস্তাটি জোর পূর্বক অন্যায় ভাবে দখল করে সেখানে পাকা বাড়ী নির্মাণ করেছে। ১৩ ফুট প্রশস্থের ঐ রাস্তার ৬ ফুট দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করই সে ক্ষান্ত হয়নি উপরন্ত পাকা ঘরের ছাদ রাস্তার উপরের খোলা অংশে প্রসারিত করে নিজের আয়ত্বে রেখেছে। রাস্তাটি সংকুচিত করার কারণে দুটি পাড়ার জনসাধারণ তাদের দৈনন্দিন চলাফেরাসহ বিয়ে শাদীর অনুষ্ঠান করা অথবা মরদেহ নিয়ে তীর্থস্থানে যাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। প্রভাবশালী মোহাম্মদ আলী গংরা সরকারি রাস্তা অন্যায়ভাবে দখল করে যেটুকু জায়গা অবিশিষ্ট ছিল সেটি পাকা করনের জন্য চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এলজিইডি বরাদ্দ থেকে টেন্ডার হয়ে ঠিকাদাররা কাজ করতে গেলে মোহাম্মদ আলী গংরা ঠিকাদারসহ লেবারদের উপর চড়াও হয় এবং তাদেরকে নাজেহাল করে ফলে বাধ্য হয় তারা ফেরত আসে।
তারা এতই প্রভাবশালী যে, তাদের চতুর্দিকে প্রত্যেকটি বাড়ীর মানুষের সীমানা সংলগ্ন জায়গা পেশীশক্তিতে দখল করে রেখেছে। তাদের ভয়ে নিরীহ সাধারণ মানুষেররা প্রতিবাদ করতে পারে না। গত কয়েকদিন আগে সরাইল বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন উক্ত রাস্তায় বিদ্যুতিক খুঁটি বসাতে গেলেও তাঁরা বাধা প্রদান করেছে। এদিকে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা সরকারী রাস্তা দখল মুক্ত করাসহ তাদের অন্যায় অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই দিতে জেলা প্রশাসক বরাবর গত ৭/৫/২৩ তারিখে লিখিত আবেদন জানিয়েছে। উল্লেখ মোহাম্মদ আলী গংরা আগে থেকেই প্রভাবশালী হওয়ায় সরকারী রাস্তা উদ্ধারের জন্য ২০০২ সাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রেক্ষিতে ২২/১১/২০০২ তারিখে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরিত চিঠিতে সহকারী কমিশনার ভূমিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারণে সেটি আলোর মুখ দেখেনি।
রাস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ আলী বলেন, এটা কোনো রেকর্ডের জায়গা না আমাদের পারিবারিক রাস্তা।
স্থানীয় মেম্বার অরবিন্দ দত্ত বলেন, জায়গাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের ছিল পরে মোহাম্মদ আলী কিনে মালিক হয়েছে, আগে জায়গার দাম ছিল না এমনিতে মানুষ চলাচল করত এটা রাস্তার ছিল না। বর্তমান রেকর্ডে রাস্তা উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা বলেন, বিষয়টি অবগত হলাম আমি আমার নায়েবের মাধ্যমে তদন্ত করে সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাই নাই, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।