Brahmanbaria ০৩:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরাইলে রামকুমার সড়কের বেহাল দশা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৪৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩
  • ৮৯০ Time View
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদরের পূর্ব কুট্টাপাড়া রামকুমারের ১ কিলোমিটার সড়কই ভাঙা। দীর্ঘদিন ধরে ওই সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং (পিচ) উঠে গিয়ে সড়কের বেহাল দশা। চার বছরের অধিক সময় ধরে এ সড়কে সংস্কার না করায় জন দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এ কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি উপজেলা সদর ইউনিয়ন পূর্ব কুট্টাপাড়া গ্রামের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
সড়কের বিভিন্ন স্থানে লাল ইট যেন পথচারীদের বিপদ সংকেত দিচ্ছে। সড়কের কোথাও পিচের ঢালাই আছে, আবার কোথাও নেই। সামান্য বৃষ্টিতে ময়লা পানি ও কাদায় একাকার হয়ে যায় সড়ক। কাদাপানি ছিটে কাপড় নষ্ট হয়। এর মধ্যেই দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছে পথচারী ও এলাকার মানুষ। উপজেলার ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জেলা শহরে যাতায়াতের একমাত্র পথ এই সড়ক।
কুট্টাপাড়া গ্রামের জহিরুল ইসলাম বাদল বলেন, সড়কটি এখন আমাদের এলাকার দুঃখে পরিণত হয়েছে। গর্ত থাকায় এই সড়কে কোনো রিকশা বা অটো সহজে এই সড়ক দিয়ে আসতে চায় না। কোনো মালামাল আনা-নেয়া করা সম্ভব হয় না। প্রায় সময়ই উল্টে যায় যানবাহন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা সিলেট মহাসড়ক থেকে নেমে প্রায় ১কিলোমিটার সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। কোনো কোনো গর্ত দেখে মনে হয়, যেন ছোটখাটো জলাশয়। কিছু গর্ত দেড় থেকে দুই ফুট পর্যন্ত গভীর। ভাঙা সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। বেরিয়ে পড়েছে ইটের খোয়া, সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তে পানি জমে আছে।
এলাকাবাসী জানান, সড়কটি ভাঙাচোরা হলেও আগে চলাচল করা যেত। এখন সড়কের ওপর পানি জমে থাকায় এ সড়ক দিয়ে হাঁটাও যায় না। গত সৃষ্টি হওয়া খানাখন্দগুলো রূপ নিয়েছে বড় বড় গর্তে। গাড়ির চাকার চাপে ভাঙতে ভাঙতে গর্তগুলো আরো প্রশস্ত হয়েছে। সিএনজি, ইজিবাইক, রিকশা, মোটরসাইকেল, বিভিন্ন যানবাহন প্রায় সময়ই উল্টে যায়।
পূর্ব কুট্টাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আওয়াল খান বলেন, কয়েক বছর ধরে সড়কের এই অংশটুকু দেখছি ভাঙা এবং খুবই নাজুক। বৃষ্টি হলে গর্ত বড় হয়ে যায়। সড়ক দিয়ে চলাচল খুবই কষ্ট হয়। প্রায় সময়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয় মেম্বার মনিরুল ইসলাম শ্যামল বলেন, সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এলজিইডির কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, রামকুমার রাস্তাটি পিচ ডালাই করলে গাড়ী যাতায়াতে অতি তারাতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমি নিজে রাস্তাটি রড দিয়ে আরসিসি করার জন্য কাগজ পত্র জমা দিয়েছি। খুব শীঘ্রই রাস্তাটির মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরাইল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান ভুইয়া বলেন, রামকুমার রাস্তাটি অবস্থা খুবই শোচনীয়, এটা আমরা ননমিউনিপল সাপট প্রজেক্টের প্রাক্কলন করে পাঠিয়েছি। আসা করি কিছুদিনের মধ্যেই অনুমোদন হয়ে যাবে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের সক্ষম হব এবং এলাকার লোকজনের এতদিনের দুঃখ দুর্দশা লাঘব হবে ইনশাআল্লাহ।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Al Mamun

সরাইলে রামকুমার সড়কের বেহাল দশা

Update Time : ০৪:৪৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদরের পূর্ব কুট্টাপাড়া রামকুমারের ১ কিলোমিটার সড়কই ভাঙা। দীর্ঘদিন ধরে ওই সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং (পিচ) উঠে গিয়ে সড়কের বেহাল দশা। চার বছরের অধিক সময় ধরে এ সড়কে সংস্কার না করায় জন দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এ কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি উপজেলা সদর ইউনিয়ন পূর্ব কুট্টাপাড়া গ্রামের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
সড়কের বিভিন্ন স্থানে লাল ইট যেন পথচারীদের বিপদ সংকেত দিচ্ছে। সড়কের কোথাও পিচের ঢালাই আছে, আবার কোথাও নেই। সামান্য বৃষ্টিতে ময়লা পানি ও কাদায় একাকার হয়ে যায় সড়ক। কাদাপানি ছিটে কাপড় নষ্ট হয়। এর মধ্যেই দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছে পথচারী ও এলাকার মানুষ। উপজেলার ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জেলা শহরে যাতায়াতের একমাত্র পথ এই সড়ক।
কুট্টাপাড়া গ্রামের জহিরুল ইসলাম বাদল বলেন, সড়কটি এখন আমাদের এলাকার দুঃখে পরিণত হয়েছে। গর্ত থাকায় এই সড়কে কোনো রিকশা বা অটো সহজে এই সড়ক দিয়ে আসতে চায় না। কোনো মালামাল আনা-নেয়া করা সম্ভব হয় না। প্রায় সময়ই উল্টে যায় যানবাহন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা সিলেট মহাসড়ক থেকে নেমে প্রায় ১কিলোমিটার সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। কোনো কোনো গর্ত দেখে মনে হয়, যেন ছোটখাটো জলাশয়। কিছু গর্ত দেড় থেকে দুই ফুট পর্যন্ত গভীর। ভাঙা সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। বেরিয়ে পড়েছে ইটের খোয়া, সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তে পানি জমে আছে।
এলাকাবাসী জানান, সড়কটি ভাঙাচোরা হলেও আগে চলাচল করা যেত। এখন সড়কের ওপর পানি জমে থাকায় এ সড়ক দিয়ে হাঁটাও যায় না। গত সৃষ্টি হওয়া খানাখন্দগুলো রূপ নিয়েছে বড় বড় গর্তে। গাড়ির চাকার চাপে ভাঙতে ভাঙতে গর্তগুলো আরো প্রশস্ত হয়েছে। সিএনজি, ইজিবাইক, রিকশা, মোটরসাইকেল, বিভিন্ন যানবাহন প্রায় সময়ই উল্টে যায়।
পূর্ব কুট্টাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আওয়াল খান বলেন, কয়েক বছর ধরে সড়কের এই অংশটুকু দেখছি ভাঙা এবং খুবই নাজুক। বৃষ্টি হলে গর্ত বড় হয়ে যায়। সড়ক দিয়ে চলাচল খুবই কষ্ট হয়। প্রায় সময়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয় মেম্বার মনিরুল ইসলাম শ্যামল বলেন, সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এলজিইডির কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, রামকুমার রাস্তাটি পিচ ডালাই করলে গাড়ী যাতায়াতে অতি তারাতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমি নিজে রাস্তাটি রড দিয়ে আরসিসি করার জন্য কাগজ পত্র জমা দিয়েছি। খুব শীঘ্রই রাস্তাটির মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরাইল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান ভুইয়া বলেন, রামকুমার রাস্তাটি অবস্থা খুবই শোচনীয়, এটা আমরা ননমিউনিপল সাপট প্রজেক্টের প্রাক্কলন করে পাঠিয়েছি। আসা করি কিছুদিনের মধ্যেই অনুমোদন হয়ে যাবে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের সক্ষম হব এবং এলাকার লোকজনের এতদিনের দুঃখ দুর্দশা লাঘব হবে ইনশাআল্লাহ।