Brahmanbaria ০২:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Last News :
কসবায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা ও ছেলের মৃত্যু! নবীনগরে  ভ্রাম্যমান আদালতের  অভিযান তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ তরী বাংলাদেশ বিজয়নগর উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠন। বিজয়নগরে বাবার বিরুদ্ধে ৯ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির ১৮ জন সদস্যকে সংবর্ধণা প্রদান  সালিশে অভিযোগে নারীকে নির্যাতন,বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্য আটক! নাসিরনগরে যৌন নিপিড়ন মামলার আসামি বাঁচাতে প্রধান শিক্ষকের কৌশল স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রেতাত্মারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: আইনমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৯ মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার! ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের বাৎসরিক কর্ম মূল্যায়ন ও সংবর্ধনা

মাদক ধ্বংস করার সময় পকেটে লুকিয়ে রাখে ইয়াবা,গ্রেফতার মাদক দ্রব্যের কর্মকর্তা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৩৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩
  • ১০০০ Time View
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকদ্রব্য ধ্বংস করার সময় পকেটে ১হাজার ২২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট লুকিয়ে রাখায় গ্রেফতার হয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী প্রসিকিউটর মীর মাহমুদুল হাসান। বৃহস্পতিবার (২৪ আগষ্ট) বিকেলে মামলা দায়েরের পর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। 
          খোঁজ নিয়ে ও আদালত সূত্রে জানা যায়, মাদক দ্রব্যের মামলা আদালতে নিষ্পত্তি করার পর বিভিন্ন সময়েই আাদালত চত্ত¡রে মাদকদ্রব্য ধ্বংস করার আয়োজন করা হয়ে থাকে। গত বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে মাদকদ্রব্য ধ্বংস করার আয়োজন করা হয়।
   এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন বিচার বিভাগের ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। আদালতের মালখানায় জমা থাকা ফেন্সিডিল, স্কফ, বিয়ার, বিদেশি মদ ও ইয়াবা ধ্বংস করতে চত্ত¡রে নিয়ে আসার সময় এক প্যাকেট ইয়াবা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী প্রসিকিউটর মাহমুদুল হাসান নিজ প্যান্টের পকেটে লুকিয়ে ফেলেন। তবে তার প্যান্টের পকেট উঁচু হয়ে থাকায় বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সন্দেহ হয়। ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকা পুলিশ সদস্যদের মাহমুদুল হাসানকে তল্লাশি করতে বলেন। তল্লাশি করে তার প্যান্টের পকেট থেকে ১ হাজার ২২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
     ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম জানান, বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় আদালতের মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সেই সহকারী প্রসিকিউটরকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
  এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতার মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিবেন।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

কসবায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা ও ছেলের মৃত্যু!

মাদক ধ্বংস করার সময় পকেটে লুকিয়ে রাখে ইয়াবা,গ্রেফতার মাদক দ্রব্যের কর্মকর্তা

Update Time : ০৮:৩৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকদ্রব্য ধ্বংস করার সময় পকেটে ১হাজার ২২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট লুকিয়ে রাখায় গ্রেফতার হয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী প্রসিকিউটর মীর মাহমুদুল হাসান। বৃহস্পতিবার (২৪ আগষ্ট) বিকেলে মামলা দায়েরের পর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। 
          খোঁজ নিয়ে ও আদালত সূত্রে জানা যায়, মাদক দ্রব্যের মামলা আদালতে নিষ্পত্তি করার পর বিভিন্ন সময়েই আাদালত চত্ত¡রে মাদকদ্রব্য ধ্বংস করার আয়োজন করা হয়ে থাকে। গত বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে মাদকদ্রব্য ধ্বংস করার আয়োজন করা হয়।
   এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন বিচার বিভাগের ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। আদালতের মালখানায় জমা থাকা ফেন্সিডিল, স্কফ, বিয়ার, বিদেশি মদ ও ইয়াবা ধ্বংস করতে চত্ত¡রে নিয়ে আসার সময় এক প্যাকেট ইয়াবা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী প্রসিকিউটর মাহমুদুল হাসান নিজ প্যান্টের পকেটে লুকিয়ে ফেলেন। তবে তার প্যান্টের পকেট উঁচু হয়ে থাকায় বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সন্দেহ হয়। ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকা পুলিশ সদস্যদের মাহমুদুল হাসানকে তল্লাশি করতে বলেন। তল্লাশি করে তার প্যান্টের পকেট থেকে ১ হাজার ২২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
     ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম জানান, বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় আদালতের মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সেই সহকারী প্রসিকিউটরকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
  এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতার মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিবেন।