ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে যুবলীগ নেতা জনি মিয়াকে (৩৫) ছুরিকাঘাতে পায়ের রগ কেটে হত্যার ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছেলে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
বুধবার (১৬ আগষ্ট) রাতে নিহতের পিতা মকসেন মিয়া বাদী হয়ে উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ আবু সামা ও তার ছেলে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আমির হোসেনসহ ১৫জনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন। পিতা-পুত্র দুজনই আওয়ামীলীগ নেতা এবং দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এ ঘটনায় রাত সাড়ে ১১টায় পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে। তারা হলেন তালশহর গ্রামের আজহার শেখের ছেলে আজিম শেখ (৩৫) ও একই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ (৩২)।
এর আগে গত সোমবার রাতে উপজেলার তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নের তালশহর বাজারের অদূরে ওই গ্রামের মকসেন মিয়ার ছেলে তালশহর ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক জনি মিয়া ও তার চাচাত ভাই আওয়াল মিয়া (৪৭) দুইজনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এসময় তারা জনি মিয়ার দুই পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে এবং আওয়ালকেও কুপিয়ে আহত করে। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় পাঠান। ঢাকায় যাওয়ার পথে রাত ২টার দিকে নরসিংদীতে জনি মিয়া মারা যান।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ জানান, ১৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।