Brahmanbaria ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Last News :
কসবায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা ও ছেলের মৃত্যু! নবীনগরে  ভ্রাম্যমান আদালতের  অভিযান তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ তরী বাংলাদেশ বিজয়নগর উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠন। বিজয়নগরে বাবার বিরুদ্ধে ৯ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির ১৮ জন সদস্যকে সংবর্ধণা প্রদান  সালিশে অভিযোগে নারীকে নির্যাতন,বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্য আটক! নাসিরনগরে যৌন নিপিড়ন মামলার আসামি বাঁচাতে প্রধান শিক্ষকের কৌশল স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রেতাত্মারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: আইনমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৯ মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার! ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের বাৎসরিক কর্ম মূল্যায়ন ও সংবর্ধনা

দর্জির কাজ, কাঁথা সেলাই ও প্রাভেট পড়িয়ে এসএসসিতে ‘এ প্লাস’ পেয়েছে সুমাইয়া

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৫৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩
  • ৮৩৪ Time View
মমিনুল হক রুবেল: দারিদ্র্যতাও থামাতে পারেনি সুরাইয়াকে। কঠোর পরিশ্রমেও সাফল্যে পৌঁছা যায় তা দেখিয়েছে সুরাইয়া। বাড়িতে পড়ার জায়গা না থাকায়, চাচার প্রতিষ্টিত পাঠাগারে বসে প্রায় সময় পড়ালেখা করতেন সুরাইয়া।দর্জির কাজ, কাঁথা সেলাই ও প্রাইভেট পড়িয়ে এবার এসএসসিতে ‘এ প্লাস’ পেয়েছে সুমাইয়া আক্তার। সুরাইয়া আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর পৌর শহরের সুহাতা এলাকার জীবন মিয়ার মেয়ে। সে এবার উপজেলার ভোলাচং হাই স্কুল থেকে মানবিক শাখা থেকে এ প্লাস পেয়েছেন।
জানা যায়, সুরাইয়া আক্তার নবীনগর পৌর শহরের সুহাতা এলাকার জীবন মিয়ার মেয়ে। সুরাইয়া আক্তাররা দুই বোন। সে বড়, ছোট বোন উন্মে হানি চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। সুরাইয়ার পিতা পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক। তার পিতা প্রায় সময় অসুস্হ থাকেন। সুরাইয়ার মা পারভীন আক্তার গৃহিনী পাশাপাশি কাঁথা সেলাই করে পরিবার চালান। সুরাইয়া মার সাথে কাঁথা সেলাই করতেন। পাশপাশি দর্জির কাজ ও প্রাইভেট পড়াতেন। চাচা স্বপন মিয়ার প্রতিষ্ঠিত গুঞ্জন পাঠাগাড়েই প্রায় সময় বসে নিরবে লেখাপড়া করতেন সুরাইয়া। কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি সে প্রতিদিন গড়ে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা পড়া লেখা করতেন। সে ভবিষ্যৎতে একজন শিক্ষক হতে চান।
সুরাইয়ার চাচা স্বপন মিয়া জানান, সুরাইয়াকে কখনোই চাপ দেই নি যে এ প্লাস পেতে হবে। তাকে বলতাম সার্টিফিকেটের এ প্লাস না পেয়ে তোমার নিজের মধ্যে এ প্লাস এর যোগ্যতা অর্জন কর। সে সেভাবেই লেখাপড়া করেছে। সুরাইয়া প্রচুর পরিশ্রম করত, কাজের ফাঁকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ ঘন্টা নিয়মিত লেখাপড়া করতো। তিনি আরো জানান, পাঠাগারে সাধারণত রাতে ছেলেরা আসতো, সে মেয়ে হয়েও নিজের মতো করে নিরবে বসে পড়ালেখা করতো। তার মধ্যে কোন দ্বিধা থাকত না, সে নিজের মতো করেই পড়ার পরিবেশটা তৈরি করে নিতো। তিনি আরো জানান, আমাদের পরিবার থেকে এই প্রথম কেউ এ প্লাস পেয়েছে, এটি খুব সম্মানের। আমি তার জন্য সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করি। সুরাইয়া যেনো ভবিষ্যৎতে একজন ভালো মানুষ হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। সুমাইয়া গুঞ্জন পাঠাগারের আবৃত্তি বিভাগের পরিচালকও।
সুরাইয়া জানান, আমার চাচা স্বপন মিয়া পড়ালেখার ব্যাপারে সাহায্য সহযোগিতা করেছে। নিয়মিত ৬ থেকে ৭ ঘন্টা পড়ালেখা করেছি। স্কুলের শিক্ষকরা আমার পড়ালেখার খোঁজখবর নিতো। সে ভবিষ্যতে একজন শিক্ষক হতে চায়, সেই জন্য সকলের দোয়া কামনা করেছেন
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

কসবায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা ও ছেলের মৃত্যু!

দর্জির কাজ, কাঁথা সেলাই ও প্রাভেট পড়িয়ে এসএসসিতে ‘এ প্লাস’ পেয়েছে সুমাইয়া

Update Time : ০৯:৫৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩
মমিনুল হক রুবেল: দারিদ্র্যতাও থামাতে পারেনি সুরাইয়াকে। কঠোর পরিশ্রমেও সাফল্যে পৌঁছা যায় তা দেখিয়েছে সুরাইয়া। বাড়িতে পড়ার জায়গা না থাকায়, চাচার প্রতিষ্টিত পাঠাগারে বসে প্রায় সময় পড়ালেখা করতেন সুরাইয়া।দর্জির কাজ, কাঁথা সেলাই ও প্রাইভেট পড়িয়ে এবার এসএসসিতে ‘এ প্লাস’ পেয়েছে সুমাইয়া আক্তার। সুরাইয়া আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর পৌর শহরের সুহাতা এলাকার জীবন মিয়ার মেয়ে। সে এবার উপজেলার ভোলাচং হাই স্কুল থেকে মানবিক শাখা থেকে এ প্লাস পেয়েছেন।
জানা যায়, সুরাইয়া আক্তার নবীনগর পৌর শহরের সুহাতা এলাকার জীবন মিয়ার মেয়ে। সুরাইয়া আক্তাররা দুই বোন। সে বড়, ছোট বোন উন্মে হানি চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। সুরাইয়ার পিতা পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক। তার পিতা প্রায় সময় অসুস্হ থাকেন। সুরাইয়ার মা পারভীন আক্তার গৃহিনী পাশাপাশি কাঁথা সেলাই করে পরিবার চালান। সুরাইয়া মার সাথে কাঁথা সেলাই করতেন। পাশপাশি দর্জির কাজ ও প্রাইভেট পড়াতেন। চাচা স্বপন মিয়ার প্রতিষ্ঠিত গুঞ্জন পাঠাগাড়েই প্রায় সময় বসে নিরবে লেখাপড়া করতেন সুরাইয়া। কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি সে প্রতিদিন গড়ে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা পড়া লেখা করতেন। সে ভবিষ্যৎতে একজন শিক্ষক হতে চান।
সুরাইয়ার চাচা স্বপন মিয়া জানান, সুরাইয়াকে কখনোই চাপ দেই নি যে এ প্লাস পেতে হবে। তাকে বলতাম সার্টিফিকেটের এ প্লাস না পেয়ে তোমার নিজের মধ্যে এ প্লাস এর যোগ্যতা অর্জন কর। সে সেভাবেই লেখাপড়া করেছে। সুরাইয়া প্রচুর পরিশ্রম করত, কাজের ফাঁকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ ঘন্টা নিয়মিত লেখাপড়া করতো। তিনি আরো জানান, পাঠাগারে সাধারণত রাতে ছেলেরা আসতো, সে মেয়ে হয়েও নিজের মতো করে নিরবে বসে পড়ালেখা করতো। তার মধ্যে কোন দ্বিধা থাকত না, সে নিজের মতো করেই পড়ার পরিবেশটা তৈরি করে নিতো। তিনি আরো জানান, আমাদের পরিবার থেকে এই প্রথম কেউ এ প্লাস পেয়েছে, এটি খুব সম্মানের। আমি তার জন্য সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করি। সুরাইয়া যেনো ভবিষ্যৎতে একজন ভালো মানুষ হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। সুমাইয়া গুঞ্জন পাঠাগারের আবৃত্তি বিভাগের পরিচালকও।
সুরাইয়া জানান, আমার চাচা স্বপন মিয়া পড়ালেখার ব্যাপারে সাহায্য সহযোগিতা করেছে। নিয়মিত ৬ থেকে ৭ ঘন্টা পড়ালেখা করেছি। স্কুলের শিক্ষকরা আমার পড়ালেখার খোঁজখবর নিতো। সে ভবিষ্যতে একজন শিক্ষক হতে চায়, সেই জন্য সকলের দোয়া কামনা করেছেন