ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পুলিশের উপর হামলা ও গুলিতে আইয়ুব নূর (৫০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজয়নগর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সেলিম উদ্দিন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, আদমপুর গ্রামের আইয়ুব নূরের পরিবারের প্রায় সবাই মাদক ব্যবসায়ী। এরমধ্যে আইয়ুব নূরের নামে ৫টি, তার দুই ছেলে আরিফ নূরের নামে ৫টি, তোফাজ্জলের নামে ১০টি পুলিশের উপর হামলা ও মাদক মামলা রয়েছে৷ আরিফ নূরের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে এসআই সাঈদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আরিফকে গ্রেপ্তার করতে যায়। আরিফকে গ্রেপ্তারের পর নিয়ে আসার সময় তার পরিবারের সদস্যরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে পুলিশকে চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলে। দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ পুলিশের ওপর হামলা করে হ্যান্ডকাফসহ আরিফকে ছিনিয়ে যায়। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষায় রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পুলিশের ছোড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় আইয়ুব নূর, সালমা বেগম ও ইমন নামের এক কিশোর। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতরা জেলা সদর হাসপাতালে আসলে তাদের ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ঢাকায় নেওয়া হলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান আইয়ুব নূর। অপর দিকে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ১০জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এরমধ্যে তুষার নামে একজন কনস্টেবলকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের উপর হামলা করা হয়। এসময় আত্মরক্ষার জন্যে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে আইয়ুব নূর নামের এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত ও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়। অপর দিকে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ১০জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এই ঘটনায় রাতেই থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সেলিম উদ্দিন বাদি হয়ে ১৮জন মাদক ব্যবসায়ীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫২জন সহ ৭০জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।