নাসিরনগরে হত্যা মামলার বাদী- স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন করেন নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা।
নিহত রনির ভাই রাণা জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওরসে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে প্রতিবেশী রিফাত মিয়া (১৩) ও লিটন (১৭) সঙ্গে বের হয় রনি। রনির সঙ্গে থাকা একটি মোবাইল ফোনের জন্য তাকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ডুবিয়ে রাখে তারা। পরে ঘটনার তিন দিন পর আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি পুকুর থেকে শিশু রনির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে আসামী করে গত ২ মার্চ নাসিরনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত রনির মা ছুলেমা বেগম। পরে ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্ধি দেন রিফাত ও লটন।
পরবর্তীতে আসামীদের বাচাঁতে বাদী, স্বাক্ষীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গত ২৬জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে লুটপাটের একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন আসামী রিফাতের বড় ভাই আলমগীর মিয়া। আদালতে না যেতে দেওয়া হচ্ছে হুমকি।
মামলারবাদী ও নিহত রনির মা ছুলেমা বেগম জানান, তারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। হত্যার পর তারা দায় স্বীকার করে আাদালতে জবানবন্ধী দিয়েছে। ছেলে হত্যা করেছে উল্টো আমার মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধেই করা হয়েছে মিথ্যা মামলা। হত্যাকারী রিফাতের মামা সরাইল উপজেলার কুট্টপাড়ার বাসিন্দা আলাল মিয়া হুমকি দিচ্ছে আদালতে গেলে মেরে লাশ গুম করে ফেলা হবে।
রনি হত্যা মামলার স্বাক্ষী রাসেল মিয়া বলেন, আসামীরা আমাকে হুমকি দিচ্ছে স্বাক্ষী না দেওয়ার জন্য। আদালতে যেতে চাইলে সরাইল বিশ্বরোড পার হবার আগেই গুম করার হুমকি দিচ্ছে আসামীর মামা আলাল। এখন আমি ভয়ে আছি।
আসামীদের করা মামলারবাদী আলমগীর মিয়া জানান, আমরা কাউকে হুমকি দেয়নি। আমাদের বিরুদ্ধে করা এসব অভিযোগ মিথ্যা।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ওরসে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশুটি। পরে রনির মরদেহটি একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। তদন্তেই বের হবে সত্য ঘটনা কি, কোন ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানি করার সুযোগ নেই।