ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডাবল রেললাইনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ট্রেন চলাচলে উপযোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা। আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে এই রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ৩২১ কিলোমিটারের মধ্যে ১১৮ কিলোমিটার আগে থেকেই ডাবল লাইন ছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে আরও ১৩১ কিলোমিটার ডাবল লাইন নির্মাণ করা হয়। বাকি ৭২ কিলোমিটার রেলপথ ডুয়েল গেজ লাইনে উন্নীত করার জন্য ৬ হাজার ৫০৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যায়ে ২০১৪ সালে লাকসাম-আখাউড়া ডাবল লাইন প্রকল্প নেয় রেলওয়ে। প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন, বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন ও ম্যাস্ক ইনফ্রাকস্ট্রাকচার। কুমিল্লা থেকে লাকসাম পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার প্রকল্পের কাজ আগেভাগে শেষ হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা রেলস্টেশনের কাজ ও সালদা নদী রেল সেতুর কাজ ভারতের সাথে সীমান্ত জটিলতার কারণে বিএসএফ এর বাধায় আটকে থাকে র্দীঘদিন। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা জটিলতার কারনে প্রকল্পের কাজ ধীরগতির কারনে মেয়াদ বাড়ানো হয়। পরে চলতি বছরের মার্চ সীমান্ত জটিলতায় নিরসন করলে গতি বাড়িয়ে র্দীঘ সাড়ে ৮ বছরে এই রেলপথে নির্মান কাজ শেষ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সুবক্তগীন জানান, এ লাইনটি চালু হলে ডাবল লাইনে রূপান্তর হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেন রুট। এতে এই রুটে ৭০ জোড়া ট্রেন চলাচলের সক্ষমতা তৈরি হবে। একই সাথে মালবাহী কনটেইনার চলাচলেরও সক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়বে।