Brahmanbaria ১২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Last News :
কসবায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা ও ছেলের মৃত্যু! নবীনগরে  ভ্রাম্যমান আদালতের  অভিযান তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ তরী বাংলাদেশ বিজয়নগর উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠন। বিজয়নগরে বাবার বিরুদ্ধে ৯ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির ১৮ জন সদস্যকে সংবর্ধণা প্রদান  সালিশে অভিযোগে নারীকে নির্যাতন,বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্য আটক! নাসিরনগরে যৌন নিপিড়ন মামলার আসামি বাঁচাতে প্রধান শিক্ষকের কৌশল স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রেতাত্মারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: আইনমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৯ মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার! ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের বাৎসরিক কর্ম মূল্যায়ন ও সংবর্ধনা

সরকারি জায়গায় অবৈধ পাখি-মুরগীর খামার দিলেন জনস্বাস্থ্যের হাজিরা কর্মচারী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৪১:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩
  • ১০৪৪ Time View
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের জায়গায় কোন প্রকার অনুমতি ছাড়া কবুতর, পাখি ও মুরগীর খামার দিয়েছেন দৈনিক হাজিরার কর্মচারী।সেই খামারের বজ্যের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই খামারে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ রোগ রাণীক্ষেত। আশপাশের বাড়িঘরে তা ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই নিজেদের গৃহপালিত হাঁস-মুরগী নিয়ে আতঙ্কে আছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উত্তর দিকে এই অফিসের মালিকানাধীন একটি পুকুর রয়েছে। সেই পুকুরের পাড়ে টিন দিয়ে কয়েকটি ঘর তুলা হয়েছে। ওই ঘরের চারপাশে টিন ও প্লাস্টিকের চটের বেস্টনি দেওয়া। উপরে দেওয়া প্লাস্টিকের জাল। এর ভেতরে কবুতর, বাজিঘর পাখি ও মুরগীর খামার দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, দাড়িওয়ালা এক ব্যক্তি কবুতর ও মুরগীকে খাবার দিচ্ছেন এবং ঔষধ ছোটাচ্ছেন। তার নাম জিজ্ঞেস করতেই জানালেন ওলিউল্লাহ। দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে কাজ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয়ে।

ওলিউল্লাহ জানান, এখানে বর্তমানে ৮০টি বিভিন্ন জাতের কবুতর, ৪০টি বাজিঘর পাখি ও ৪০টির মুরগী রয়েছে। বর্তমানে এখানে রানীক্ষেত রোগ আক্রমণ করেছে। অনেক কবুতর, পাখি ও মুরগী মারা গেছে। অনেক গুলো সংক্রমিত হয়ে অসুস্থ। তাই কেউ ক্রয় করতে আসলেও এগুলো বিক্রয় করছেন না। তার দাবি, এটা খামার না। অফিসের সবাই বিষয়টি জানেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আজাদ মিয়া বলেন, আমার বাসার সাথেই এই পশু-পাখির খামারটি, খামারের দুর্গন্ধে জানালা বন্ধ করে রাখতে হয় ও আশে-পাশে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য অফিসের নির্বাহীর কাছে আমি নিজে গিয়ে মৌখিক এ বিষয়ে জানিয়েছি। তখন ওনি বলেন মুরগী ও কবুতর পালতেই পারে। শুধু আপনার অসুবিধা হচ্ছে আর কেউ তো বলে নাই।

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা এনায়েত খান বলেন, ‘এই পশু-পাখির খামারের দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ। আমার বিল্ডিংয়ের নিচতলার দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখতে হয়। দুতলায়ও গন্ধ আসে।’

মোঃ কালু মিয়া নামের আরেকজন বলেন, ‘খামারটি সড়কের পাশে হওয়ায় পথচারীরাও দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ। বারবার বলেও কোন কাজ হয়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. বজলুর রহমান বলেন, রানীক্ষেত একটি সংক্রমিত রোগ। এই রোগে কোন হাস-মুরগী বা পশু আক্রান্ত হলে তা বাতাসে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এর থেকে আশপাশের হাস, মুরগী ও পাখি সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।’

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান তালুকদার মুঠোফোনে বলেন, ‘সেখানে আমাদের অফিসের কেউ খামার দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। আমাদের কেউ খামার দেওয়ার কথা না। আমি বিষয়টি অবগত নই। আমি খোঁজ নিব।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

কসবায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা ও ছেলের মৃত্যু!

সরকারি জায়গায় অবৈধ পাখি-মুরগীর খামার দিলেন জনস্বাস্থ্যের হাজিরা কর্মচারী

Update Time : ০৭:৪১:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের জায়গায় কোন প্রকার অনুমতি ছাড়া কবুতর, পাখি ও মুরগীর খামার দিয়েছেন দৈনিক হাজিরার কর্মচারী।সেই খামারের বজ্যের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই খামারে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ রোগ রাণীক্ষেত। আশপাশের বাড়িঘরে তা ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই নিজেদের গৃহপালিত হাঁস-মুরগী নিয়ে আতঙ্কে আছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উত্তর দিকে এই অফিসের মালিকানাধীন একটি পুকুর রয়েছে। সেই পুকুরের পাড়ে টিন দিয়ে কয়েকটি ঘর তুলা হয়েছে। ওই ঘরের চারপাশে টিন ও প্লাস্টিকের চটের বেস্টনি দেওয়া। উপরে দেওয়া প্লাস্টিকের জাল। এর ভেতরে কবুতর, বাজিঘর পাখি ও মুরগীর খামার দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, দাড়িওয়ালা এক ব্যক্তি কবুতর ও মুরগীকে খাবার দিচ্ছেন এবং ঔষধ ছোটাচ্ছেন। তার নাম জিজ্ঞেস করতেই জানালেন ওলিউল্লাহ। দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে কাজ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয়ে।

ওলিউল্লাহ জানান, এখানে বর্তমানে ৮০টি বিভিন্ন জাতের কবুতর, ৪০টি বাজিঘর পাখি ও ৪০টির মুরগী রয়েছে। বর্তমানে এখানে রানীক্ষেত রোগ আক্রমণ করেছে। অনেক কবুতর, পাখি ও মুরগী মারা গেছে। অনেক গুলো সংক্রমিত হয়ে অসুস্থ। তাই কেউ ক্রয় করতে আসলেও এগুলো বিক্রয় করছেন না। তার দাবি, এটা খামার না। অফিসের সবাই বিষয়টি জানেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আজাদ মিয়া বলেন, আমার বাসার সাথেই এই পশু-পাখির খামারটি, খামারের দুর্গন্ধে জানালা বন্ধ করে রাখতে হয় ও আশে-পাশে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য অফিসের নির্বাহীর কাছে আমি নিজে গিয়ে মৌখিক এ বিষয়ে জানিয়েছি। তখন ওনি বলেন মুরগী ও কবুতর পালতেই পারে। শুধু আপনার অসুবিধা হচ্ছে আর কেউ তো বলে নাই।

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা এনায়েত খান বলেন, ‘এই পশু-পাখির খামারের দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ। আমার বিল্ডিংয়ের নিচতলার দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখতে হয়। দুতলায়ও গন্ধ আসে।’

মোঃ কালু মিয়া নামের আরেকজন বলেন, ‘খামারটি সড়কের পাশে হওয়ায় পথচারীরাও দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ। বারবার বলেও কোন কাজ হয়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. বজলুর রহমান বলেন, রানীক্ষেত একটি সংক্রমিত রোগ। এই রোগে কোন হাস-মুরগী বা পশু আক্রান্ত হলে তা বাতাসে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এর থেকে আশপাশের হাস, মুরগী ও পাখি সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।’

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান তালুকদার মুঠোফোনে বলেন, ‘সেখানে আমাদের অফিসের কেউ খামার দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। আমাদের কেউ খামার দেওয়ার কথা না। আমি বিষয়টি অবগত নই। আমি খোঁজ নিব।’