সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উত্তর দিকে এই অফিসের মালিকানাধীন একটি পুকুর রয়েছে। সেই পুকুরের পাড়ে টিন দিয়ে কয়েকটি ঘর তুলা হয়েছে। ওই ঘরের চারপাশে টিন ও প্লাস্টিকের চটের বেস্টনি দেওয়া। উপরে দেওয়া প্লাস্টিকের জাল। এর ভেতরে কবুতর, বাজিঘর পাখি ও মুরগীর খামার দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, দাড়িওয়ালা এক ব্যক্তি কবুতর ও মুরগীকে খাবার দিচ্ছেন এবং ঔষধ ছোটাচ্ছেন। তার নাম জিজ্ঞেস করতেই জানালেন ওলিউল্লাহ। দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে কাজ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয়ে।
ওলিউল্লাহ জানান, এখানে বর্তমানে ৮০টি বিভিন্ন জাতের কবুতর, ৪০টি বাজিঘর পাখি ও ৪০টির মুরগী রয়েছে। বর্তমানে এখানে রানীক্ষেত রোগ আক্রমণ করেছে। অনেক কবুতর, পাখি ও মুরগী মারা গেছে। অনেক গুলো সংক্রমিত হয়ে অসুস্থ। তাই কেউ ক্রয় করতে আসলেও এগুলো বিক্রয় করছেন না। তার দাবি, এটা খামার না। অফিসের সবাই বিষয়টি জানেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আজাদ মিয়া বলেন, আমার বাসার সাথেই এই পশু-পাখির খামারটি, খামারের দুর্গন্ধে জানালা বন্ধ করে রাখতে হয় ও আশে-পাশে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য অফিসের নির্বাহীর কাছে আমি নিজে গিয়ে মৌখিক এ বিষয়ে জানিয়েছি। তখন ওনি বলেন মুরগী ও কবুতর পালতেই পারে। শুধু আপনার অসুবিধা হচ্ছে আর কেউ তো বলে নাই।
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা এনায়েত খান বলেন, ‘এই পশু-পাখির খামারের দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ। আমার বিল্ডিংয়ের নিচতলার দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখতে হয়। দুতলায়ও গন্ধ আসে।’
মোঃ কালু মিয়া নামের আরেকজন বলেন, ‘খামারটি সড়কের পাশে হওয়ায় পথচারীরাও দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ। বারবার বলেও কোন কাজ হয়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. বজলুর রহমান বলেন, ‘রানীক্ষেত একটি সংক্রমিত রোগ। এই রোগে কোন হাস-মুরগী বা পশু আক্রান্ত হলে তা বাতাসে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এর থেকে আশপাশের হাস, মুরগী ও পাখি সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান তালুকদার মুঠোফোনে বলেন, ‘সেখানে আমাদের অফিসের কেউ খামার দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। আমাদের কেউ খামার দেওয়ার কথা না। আমি বিষয়টি অবগত নই। আমি খোঁজ নিব।’