Brahmanbaria ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের উদ্যোগে বর্ষাবন্দনা ও কৃতী সম্মাননা অনুষ্ঠিত

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:০৩:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩
  • ১৫৫৩ Time View
রোববার (২৫ জুন) জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ্ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার  উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ হলে বর্ষাবন্দনা ও কৃতী সম্মাননা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক  মানবর্দ্ধন পাল। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান। 
জাতীয় শিক্ষাসপ্তাহ’২৩ -এ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিনিধি হয়ে বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে যারা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে তাদেরকে  প্রথমবারের মত সম্মিলন পরিষদের পক্ষ থেকে সম্মননা প্রদান করা হয়। কৃতী শিল্পীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন সংগঠনের উপদেষ্টা প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ,সভাপতি মানবর্দ্ধন পাল, সহসভাপতি সঞ্জীব কুমার দেবনাথ,  ডাঃ অরুনাভ পোদ্দার এবং সাধারণ সম্পাদক মাসুদ উর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্রের সভাপতি ওসমান গনি সজীব, তিতাস আবৃতি সংসদের পরিচালক মনির  হোসেন, এবং তরী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি শামীম আহমেদ।
বরাবরের মতোই আগুনের পরশমণি  ছোঁয়াও প্রাণে এ সম্মেলক গানটি গাওয়ার মধ্যে দিয়ে  অতিথিদের নিয়ে প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়।  তার পরই ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বিশিষ্ট নজরুলসঙ্গীত শিল্পী  ডা. আফরোজা মোমেন দুটি নজরুলসঙ্গীত গেয়ে শোনান। এছাড়া সম্মাননা প্রাপ্ত শিল্পীদের মধ্যে একটি করে বর্ষার গান পরিবেশন করেন তনুজা দেবনাথ, প্রিয়ম আচার্য,সাজ্জাদ হোসেন খান প্রান্ত, প্রান্তিকা সাহা প্রথা, অর্পিতা রায়,উপমা দেবনাথ,ইতি ঘোষ,অনন্যা কর্মকার অদিতি। আবৃত্তি পরিবেশন করেন সম্মাননা প্রাপ্ত কৃতী আবৃত্তি শিল্পী রেজা এ রাব্বি। জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্রসঙ্গীতে প্রথম হওয়া তনুজা দেবনাথ যখন এই উদাসী হাওয়ার পথে পথে গানটি পরিবেশন করছিলেন তখন পিনপতন নীরবতা নেমে এসেছিল পুরো মিলনায়তনে। মন্ত্রমুগ্ধের মত উপভোগ করেছেন শতাধিক দর্শক শ্রোতা।
কী-বোর্ডে ছিলেন আব্দুর রাহীম এবং তবলায় সুদীপ্ত সাহা মিঠু। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কোষাধ্যক্ষ জামিনুর রহমান এবং সংগঠনের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আসিফ ইকবাল খান।
অংশগ্রহণকারী সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন –
১. তনুজা দেবনাথ (ঘ – গ্রুপ)
রবীন্দ্রসংগীত ও হামদ-নাতে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম।
২. প্রিয়ম আচার্য (খ – গ্রুপ)
রবীন্দ্রসংগীতে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম।
৩.প্রান্তিকা সাহা প্রথা (ক – গ্রুপ)
রবীন্দ্রসংগীতে জেলা পর্যায়ে প্রথম।
৪.উপমা দেবনাথ  (গ গ্রুপ)
নজরুল ও উচ্চাঙ্গসংগীতে জেলা পর্যায়ে প্রথম।
৫.অনন্যা কর্মকার অদিতি (ক গ্রুপ)
দেশাত্মবোধক গানে বিভাগীয় পর্যায়ে দ্বিতীয়।
৬.ইতি ঘোষ (ঘ – গ্রুপ)
উচ্চাঙ্গসংগীতে জেলা পর্যায়ে প্রথম।
৭.সাজ্জাদ হোসেন খান প্রান্ত (ঘ গ্রুপ)
নজরুলসঙ্গীতে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম।
৮. অর্পিতা রায় (গ-বিভাগ)
রবীন্দ্রসংগীতে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম।
৯.রেজা এ রাব্বী
আবৃত্তি  (ঘ-গ্রুপ) বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের উদ্যোগে বর্ষাবন্দনা ও কৃতী সম্মাননা অনুষ্ঠিত

Update Time : ১২:০৩:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩
রোববার (২৫ জুন) জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ্ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার  উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ হলে বর্ষাবন্দনা ও কৃতী সম্মাননা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক  মানবর্দ্ধন পাল। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান। 
জাতীয় শিক্ষাসপ্তাহ’২৩ -এ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিনিধি হয়ে বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে যারা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে তাদেরকে  প্রথমবারের মত সম্মিলন পরিষদের পক্ষ থেকে সম্মননা প্রদান করা হয়। কৃতী শিল্পীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন সংগঠনের উপদেষ্টা প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ,সভাপতি মানবর্দ্ধন পাল, সহসভাপতি সঞ্জীব কুমার দেবনাথ,  ডাঃ অরুনাভ পোদ্দার এবং সাধারণ সম্পাদক মাসুদ উর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্রের সভাপতি ওসমান গনি সজীব, তিতাস আবৃতি সংসদের পরিচালক মনির  হোসেন, এবং তরী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি শামীম আহমেদ।
বরাবরের মতোই আগুনের পরশমণি  ছোঁয়াও প্রাণে এ সম্মেলক গানটি গাওয়ার মধ্যে দিয়ে  অতিথিদের নিয়ে প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়।  তার পরই ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বিশিষ্ট নজরুলসঙ্গীত শিল্পী  ডা. আফরোজা মোমেন দুটি নজরুলসঙ্গীত গেয়ে শোনান। এছাড়া সম্মাননা প্রাপ্ত শিল্পীদের মধ্যে একটি করে বর্ষার গান পরিবেশন করেন তনুজা দেবনাথ, প্রিয়ম আচার্য,সাজ্জাদ হোসেন খান প্রান্ত, প্রান্তিকা সাহা প্রথা, অর্পিতা রায়,উপমা দেবনাথ,ইতি ঘোষ,অনন্যা কর্মকার অদিতি। আবৃত্তি পরিবেশন করেন সম্মাননা প্রাপ্ত কৃতী আবৃত্তি শিল্পী রেজা এ রাব্বি। জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্রসঙ্গীতে প্রথম হওয়া তনুজা দেবনাথ যখন এই উদাসী হাওয়ার পথে পথে গানটি পরিবেশন করছিলেন তখন পিনপতন নীরবতা নেমে এসেছিল পুরো মিলনায়তনে। মন্ত্রমুগ্ধের মত উপভোগ করেছেন শতাধিক দর্শক শ্রোতা।
কী-বোর্ডে ছিলেন আব্দুর রাহীম এবং তবলায় সুদীপ্ত সাহা মিঠু। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কোষাধ্যক্ষ জামিনুর রহমান এবং সংগঠনের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আসিফ ইকবাল খান।
অংশগ্রহণকারী সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন –
১. তনুজা দেবনাথ (ঘ – গ্রুপ)
রবীন্দ্রসংগীত ও হামদ-নাতে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম।
২. প্রিয়ম আচার্য (খ – গ্রুপ)
রবীন্দ্রসংগীতে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম।
৩.প্রান্তিকা সাহা প্রথা (ক – গ্রুপ)
রবীন্দ্রসংগীতে জেলা পর্যায়ে প্রথম।
৪.উপমা দেবনাথ  (গ গ্রুপ)
নজরুল ও উচ্চাঙ্গসংগীতে জেলা পর্যায়ে প্রথম।
৫.অনন্যা কর্মকার অদিতি (ক গ্রুপ)
দেশাত্মবোধক গানে বিভাগীয় পর্যায়ে দ্বিতীয়।
৬.ইতি ঘোষ (ঘ – গ্রুপ)
উচ্চাঙ্গসংগীতে জেলা পর্যায়ে প্রথম।
৭.সাজ্জাদ হোসেন খান প্রান্ত (ঘ গ্রুপ)
নজরুলসঙ্গীতে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম।
৮. অর্পিতা রায় (গ-বিভাগ)
রবীন্দ্রসংগীতে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম।
৯.রেজা এ রাব্বী
আবৃত্তি  (ঘ-গ্রুপ) বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম।