জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার উদ্যোগে শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রবীন্দ্র- নজরুল জন্মজয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে।এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ শাখাওয়াত হোসেন এবং ওস্তাদ আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল। অতিথিদের নিয়ে প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এসময় সংগঠনের শিল্পীবৃন্দ সমবেত কণ্ঠে আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে গানটি পরিবেশন করেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল দুজনেই আমাদের প্রাণের কবি। বঙ্গবন্ধু দুই কবির দর্শনকে প্রাণে ও চেতনায় লালন করেছেন। তাঁদের কবিতা ও সঙ্গীত আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা জুগিয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ উর রহমান স্বাগত বক্তব্যে সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি বছরের শেষ দিকে দুই দিনব্যাপী রবীন্দ্রমেলা আয়োজন করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন এবং তাতে সম্মানিত অতিথিবৃন্দের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। সম্মানিত অতিথিবৃন্দ সেই আয়োজনকে সুন্দর ও অর্থবহ করতে পাশে থাকবেন বলে জানান এবং প্রধান অতিথিও এই আয়োজনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং সর্বোতভাবেই সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন আসিফ ইকবাল খান,অমিতা দেবনাথ,অনিন্দিতা দেব,প্রিয়ম আচার্য , অনন্যা কর্মকার। নজরুলসঙ্গীত পরিবেশন করেন পীযুষ কান্তি আচার্য,তনুজা দেবনাথ,শাকিল আহমেদ আলমাস, দুর্জয় বণিক, কৃত্তিকা সাহা, সৌম্য সরকার। এছাড়া সম্মেলক গান হিসাবে রবীন্দ্রনাথের “ওই মহামানব আসে” এবং নজরুলের “এ কী অপরূপ রূপে মা তোমার” গান দুটি পরিবেশন করে রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের বিভিন্ন বয়সী শিল্পীবৃন্দ। পিনপতন নীরবতায় সবাই যখন সঙ্গীতে মগ্ন ছিল তখন সবাইকে আবার আবৃত্তির মাধ্যমে জাগিয়ে তুলেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিচালক,বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী মো. মনির হোসেন।তবলায় ছিলেন সুদীপ্ত সাহা মিঠু ও বাবুল মালাকার,মন্দিরায় রাজু মালাকার এবং গিটারে আব্দুর রাহীম। সঞ্চালনায় ছিলেন সহ-সভাপতি ডা.অরুনাভ পোদ্দার এবং সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য চন্দনা চৌধুরী। সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন পীযুষ কান্তিআচার্য, মনিকা আচার্য ও আসিফ ইকবাল খান। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কোষাধ্যক্ষ জামিনুর রহমান।