ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক লাখ ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের টাওয়ার থেকে এক যুবককে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুর ১২টার দিকে তিতাস নদী এলাকায় নাসির উদ্দিন (৩০) নামের ওই যুবককে মাইকে আজান শুনিয়ে নামিয়ে আনা হয়। নাসির উদ্দিন নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ইয়ারপুর গ্রামের সিরাজ বাবুর্চির ছেলে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রুবায়েদ বলেন, ‘৯টার দিকে খবর পেয়ে এসে দেখি একজন যুবক বিদ্যুতের উঁচু টাওয়ারের ওপরে বসে জোরে জোরে আল্লাহু, আল্লাহু করছে। টাওয়ারটি দিয়ে তিতাস সেতুর উত্তর-দক্ষিণে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন চলে গেছে। কৃষিজমিতে স্থাপিত টাওয়ারটির উচ্চতা প্রায় ১৭০ ফুট। এ লাইন দিয়ে সঞ্চালিত হয় এক লাখ ৩০ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ। যুবকটি টাওয়ারে বসেই জিকির করেন। সবাই তাকে নেমে আসার অনুরোধ করলেও তিনি নামেননি।’ নাসির উদ্দিন দাবি করেন, জিনে তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গাছে ওঠায়, টাওয়ারে ওঠায় আবার কখনো পানিতে চুবায়। রক্ত খায়, মারে, কষ্ট দেয়। আজান দিলে ছেড়ে দেয়।
আখাউড়া উপজেলা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা মুনিম সারেয়ার বলেন, ‘স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি এক যুবক ভোরে বিদ্যুতের টাওয়ারের ওপরে উঠে বসে আছেন। সকালের দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী নাজমুল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে টাওয়ার থেকে নেমে আসতে বলেন। পরে মোবাইল থেকে হ্যান্ড মাইকে আজান বাজালে তিনি টাওয়ার থেকে নেমে আসেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল বিকেলেও ওই যুবক টাওয়ারে উঠেছিলেন। আমরা তাকে নামিয়ে এনেছি। ২০ দিন আগেও জেলার সদর উপজেলার বরিশাল এলাকায় বিদ্যুতের টাওয়ারে উঠেছিলেন। তার মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে মনে হয়।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী প্রকৌশলী সাইমুন আলম বলেন, ‘টাওয়ারটির উচ্চতা ১৭০ ফুট। এখানে জাতীয় গ্রিডের এক লাখ ৩০ হাজার কেবির বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন গেছে। বিদ্যুতের তার অনেক দূরে থাকে। কেউ চাইলেও সেখানে যেতে পারবেন না। আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো কীভাবে টাওয়ারে উঠলো।’