মমিনুল হক রুবেল:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ৩ মে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এসডিজি বাস্তবায়নে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে মতবিনিময় সভায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদিকের সঞ্চালনায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫ ( নবীনগর) মোহাম্মদ এবাদুল করিম, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আখতার হোসেন মুখ্য সম্মনয়ক (এসডিজি) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুয়েনা আজিজ সাবেক মুখ্য সম্মনয়ক (এসডিজি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ডঃ মোঃ কাউসার আহাম্মদ সদস্য সচিব পরিকল্পনা কমিশন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ , মোঃ মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম সচিব (এসডিজি) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নবীনগর সার্কেল, মোঃ নাসির উদ্দিন সদস্য জেলা পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শিউলি রহমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নবীনগর, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার দেব কাজী ইয়াবের হাসান জামিল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম নজু,উপ প্রচার সম্পাদক প্রণয় কুমার ভদ্র পিন্টুসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রথম স্বাধীনতার পর সরকারিভাবে নবীনগর উপজেলায় চারজন সচিব পদমর্যাদার ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে নবীনগরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের যে অভীষ্ট লক্ষ্য তা মানুষের কাছে উপস্থাপন করার জন্য একসাথে উপস্থিত হয়েছেন। সকলেই এসডিজির যে লক্ষ্যমাত্রা তা সুন্দর ও সাবলীল ভাবে সকলের নিকট উপস্থাপন করেন। (এসডিজির) উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যসমূহ মানুষের নিকট উপস্থাপন করার জন্য সকল প্রতিনিধিদেরকে বলা হয়। যাহাতে সকলেই সমন্বিতভাবে কাজ করে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার কাজটি ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হবে। মত বিনিময় সভায় বক্তারা বলেছেন এসডিজি জাতিসংঘের একটা এজেন্ড কিন্তু ১৯৭৪ সালে ২৫ শে সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের প্রথম অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলা ভাষণে তিনি বলেছিলেন এমন এক দৃশ্য ব্যবস্থাপনায় বাঙালি জাতি শরিক হবে, যেখানে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। আর এই কথাটি হল এসডিজির ১৬ নম্বর গোল। এছারাও তিনি খুদা,দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, শান্তি, স্বাস্থ্য, এগুলা নিয়ে কথা বলে তখন বিশ্ব নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন যাহা আজকে আমরা এসডিজির বিভিন্ন গোলের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করছি। তাই আমরা বলতে পারি এসডিজি জাতিসংঘের এজেন্ডা নয় এটি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রেখে যাওয়া এজেন্ডা।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল এমপি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে আমরা নবীনগরবাসী সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করছি এবং করব। ছাত্র-শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, ডাক্তার, কৃষক আমরা সকলেই সকলের অবস্থান থেকে এক যুগে কাজ করতে হবে, আমাদের লক্ষ্য হলো আমরা বাংলাদেশে একটি মেগা ভিলেজ করে গড়ে তুলব। যেখানে জেলাগুলোর মধ্যে যোগাযোগব্যবস্থা খুব সহজ হবে, শিক্ষার মান উন্নয়ন হলে, তবেই আমরা উন্নতি অর্জন করতে পারব।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (এসডিজি) মুখ্য সমন্বয়ক মোঃ আখতার হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে জাতিসংঘের অধিবেশনে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলেন ঐ সকল বিষয়গুলো এসডিজির অন্তর্গত। তাই সকল শ্রেণী পেশার লোকজনকে আহবান, এসডিজি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হবে। যেখানে নারী পুরুষ বৈষম্য থাকবে না, গরিব বড়লোকের মধ্যে ভেদাভেদ থাকবে না।এসডিজি বাস্তবায়নের অর্থ শুধু প্রবৃদ্ধি অর্জন আর বেকারত্ব দূর করা নয়। বরং এর অর্থ হলো একটি বসবাসযোগ্য পৃথিবী তৈরি করা। শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কর্মস্থল তৈরি করা। নারীদের জন্য সহায়ক কর্মপরিবেশ তৈরি করা। বেসরকারি খাতের জন্য বিনিয়োগ সহায়ক অবকাঠামো তৈরি করা এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা। এ বিষয়গুলো করতে হলে সবার সম্মিলিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।