Brahmanbaria ০৮:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Last News :
সৌদি আরবে এক বাংলাদেশিকে গলা কেটে হত্যা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির কামনায় বিজয়নগর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা  বিজয়নগরে সাড়ে ৪ কোটির অধিক মূল্যের ভারতীয় শাড়ীসহ ট্রাক আটক প্রেসক্লাব বিজয়নগর এর পক্ষ থেকে সদ্য বদলিকৃত ইউএনও এর বিদায় সংবর্ধনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গভ. মডেল গার্লস হাইস্কুলে নানা অনিয়ম দুনীর্তির অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ভুয়া সাংবাদিক আটক ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রফেসর ডাঃ ইব্রাহিম এর ৩৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত বিজয়নগরে হিন্দু থেকে সেচ্ছায় মুসলমান হলেন এক যুবক পৃথক ২টি অভিযানে হত্যা ও নাশকতা মামলার ২ জন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার  ভুয়া র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজি করার সময় গ্রেফতার ২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গরু,খাসি ও মুরগীর মাংস

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:১২:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • ৯৭৬ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র রমজান মাস আসার আগেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন বাজারে বেড়েছে গরু,খাসি ও মুরগীর মাংসের দাম।তবে দেশি, সোনালি ও বয়লার মুরগির দাম গত দুই সপ্তাহ ধরেই বেশি।

বুধবার (২২ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের আনন্দবাজার, মেড্ডাবাজার, ফারুকি বাজার, বর্ডারবাজার ও কাউতলী বাজার  ঘুরে দেখা যায়গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে। আর খাসির মাংসের দর প্রতি কেজি ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, ফার্মের মুরগি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, সোনালি জাতের ককমুরগি ৩৬০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ নিয়ে ক্রেতারা বলছেন, রমজানের শুরুতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হয়, তাই এবার মাংস বিক্রেতারা রমজানের আগেই ব্যবসয়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলছেন বেশি দামে গরু,খাসি,মুরগি কেনার কারণে বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে।

বর্ডার বাজারের মাংস বিক্রেতা ঈমাম হোসেন বলেন, শবেবরাতের আগে ৭০০ টাকা দরে গরুর মাংস বিক্রি করেছি, গরুর দাম বেড়েছে তাই ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করছি।

মেড্ডাবাজারের বিসমিল্লাহ মাংসের দোকানের মালিক বুট্টু মিয়া জানান, ক্রেতা কম, গরুর দাম বেশী হওয়ায় বিক্রিও বেশি দামে করতে হচ্ছে।

মুরগী বিক্রেতা নুর নবী জানান,গ্রামে গ্রামে ঘুরে পেরেশান হয়ে গেছি তবু দেশি মুরগি পাওয়া যায় না।এছাড়া সোনালী ও বয়লার মুরগী আমাদের পাইকারদের কাছ থেকে কিনতে হচ্ছে বেশি দামে তাই আমাদের কিছু করার নেই।একটু বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

আনন্দবাজারের খাসির মাংস বিক্রেতা মাসুদুর রহমান জানান, খাসি, ছাগল ও বেড়া আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হোসেন মিয়া জানান, গরুর দাম বেড়ে গেছে যেকারনে মাংস বেশী দামে বিক্রি করতেছি। তারপরও আমাদের লোকসান হচ্ছে।

ফারুকি বাজারে মুরগি কিনতে আসা গৃহবধু কাজল আক্তার জানান,রমজান সামনে থাকায় প্রত্যেক জিনিসের দাম বেড়েছে।তবে মুরগি ও মাংসের দাম বেশি বেড়েছে।গত সপ্তাহের তুলনায় আজ সব মুরগির দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৮০ টাকা বেড়েছে।

আনন্দবাজারে গরুর মাংস কিনতে আসা সাংবাদিক বাহাদুর জানান,গত সপ্তাহে গরুর মাংস নিয়েছি ৭০০ টাকা কেজি আজ এসে দেখি ৮০০ টাকা কেজি।দুইকেজি নিতে এসেছিলাম বাধ্যহয়ে ১ কেজি নিলাম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জাতীয় ভোক্তা অধিকার রংক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, সম্রতি ব্যবসায়ীকদের সাথে মিটিং করেছি। প্রতিটি বাজারই মনিটরিং করা হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কোন ছাড় দেয়া হবেনা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Al Mamun

জনপ্রিয় খবর

সৌদি আরবে এক বাংলাদেশিকে গলা কেটে হত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গরু,খাসি ও মুরগীর মাংস

Update Time : ০২:১২:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র রমজান মাস আসার আগেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন বাজারে বেড়েছে গরু,খাসি ও মুরগীর মাংসের দাম।তবে দেশি, সোনালি ও বয়লার মুরগির দাম গত দুই সপ্তাহ ধরেই বেশি।

বুধবার (২২ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের আনন্দবাজার, মেড্ডাবাজার, ফারুকি বাজার, বর্ডারবাজার ও কাউতলী বাজার  ঘুরে দেখা যায়গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে। আর খাসির মাংসের দর প্রতি কেজি ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, ফার্মের মুরগি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, সোনালি জাতের ককমুরগি ৩৬০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ নিয়ে ক্রেতারা বলছেন, রমজানের শুরুতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হয়, তাই এবার মাংস বিক্রেতারা রমজানের আগেই ব্যবসয়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলছেন বেশি দামে গরু,খাসি,মুরগি কেনার কারণে বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে।

বর্ডার বাজারের মাংস বিক্রেতা ঈমাম হোসেন বলেন, শবেবরাতের আগে ৭০০ টাকা দরে গরুর মাংস বিক্রি করেছি, গরুর দাম বেড়েছে তাই ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করছি।

মেড্ডাবাজারের বিসমিল্লাহ মাংসের দোকানের মালিক বুট্টু মিয়া জানান, ক্রেতা কম, গরুর দাম বেশী হওয়ায় বিক্রিও বেশি দামে করতে হচ্ছে।

মুরগী বিক্রেতা নুর নবী জানান,গ্রামে গ্রামে ঘুরে পেরেশান হয়ে গেছি তবু দেশি মুরগি পাওয়া যায় না।এছাড়া সোনালী ও বয়লার মুরগী আমাদের পাইকারদের কাছ থেকে কিনতে হচ্ছে বেশি দামে তাই আমাদের কিছু করার নেই।একটু বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

আনন্দবাজারের খাসির মাংস বিক্রেতা মাসুদুর রহমান জানান, খাসি, ছাগল ও বেড়া আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হোসেন মিয়া জানান, গরুর দাম বেড়ে গেছে যেকারনে মাংস বেশী দামে বিক্রি করতেছি। তারপরও আমাদের লোকসান হচ্ছে।

ফারুকি বাজারে মুরগি কিনতে আসা গৃহবধু কাজল আক্তার জানান,রমজান সামনে থাকায় প্রত্যেক জিনিসের দাম বেড়েছে।তবে মুরগি ও মাংসের দাম বেশি বেড়েছে।গত সপ্তাহের তুলনায় আজ সব মুরগির দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৮০ টাকা বেড়েছে।

আনন্দবাজারে গরুর মাংস কিনতে আসা সাংবাদিক বাহাদুর জানান,গত সপ্তাহে গরুর মাংস নিয়েছি ৭০০ টাকা কেজি আজ এসে দেখি ৮০০ টাকা কেজি।দুইকেজি নিতে এসেছিলাম বাধ্যহয়ে ১ কেজি নিলাম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জাতীয় ভোক্তা অধিকার রংক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, সম্রতি ব্যবসায়ীকদের সাথে মিটিং করেছি। প্রতিটি বাজারই মনিটরিং করা হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কোন ছাড় দেয়া হবেনা।