Brahmanbaria ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Last News :
বিজয়নগরে মানব পাচারের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা আওয়ামী লীগ এক নেতাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সরাইলে অসহায় পরিবার পেল তারুণ্যের সংগঠনের গরু আখাউড়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হলেন রফিকুল সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ও তার স্ত্রীকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরো একটি মামলা  সৌদি আরবে এক বাংলাদেশিকে গলা কেটে হত্যা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির কামনায় বিজয়নগর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা  বিজয়নগরে সাড়ে ৪ কোটির অধিক মূল্যের ভারতীয় শাড়ীসহ ট্রাক আটক প্রেসক্লাব বিজয়নগর এর পক্ষ থেকে সদ্য বদলিকৃত ইউএনও এর বিদায় সংবর্ধনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গভ. মডেল গার্লস হাইস্কুলে নানা অনিয়ম দুনীর্তির অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা পরিষদ সভায় আবারো বাকবিতন্ড

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:২৬:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩
  • ১০০৮ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের মাসিক সভায় চেয়ারম্যানের সঙ্গে সদস্যদের আবারো বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে। পরিষদের সদস্যদের অভিযোগ, রেজুলেশনে স্বাক্ষর না করায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তাদের বেরিয়ে যেতে বলেন। এই সময় দুই পক্ষ তর্কে জড়িয়ে পরে। রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরে জেলা পরিষদের চতুর্থ মাসিক সভায় এ ঘটনা ঘটে। এরআগের সভায়ও সদস্যদের বেড়িয়ে যেতে বলেন চেয়ারম্যান। ওই সভাটি কেন্দ্র করে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিলো জেলা পরিষদে। ওই সভা থেকেও রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে বলেছিলেন চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার। অর্থ বন্টনে অনিয়ম ও প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচনে অনিয়মের কারনে সদস্যরা রেজুলেশনে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত রয়েছেন

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন পরিষদের ১২ সদস্যের ৮ জন। তাঁরা হচ্ছেন–আখাউড়ার সাইফুল ইসলাম, সরাইলের পায়েল হোসেন মৃধা, নাসিরনগরের সামসুল কিবরিয়া, আশুগঞ্জে বিল্লাল মিয়া, বাঞ্ছারামপুরের আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগরের বাবুল আক্তার, সদর উপজেলার বাবুল মিয়া ও সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ।
সূত্র জানায়, জেলা পরিষদের মাসিক সভা রবিবার দুপুর দেড়টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় আড়াইটায়। শুরুতে পূর্বের সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের রেজুলেশনে সদস্যদের স্বাক্ষর করতে বলেন চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার। এতে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান তাদের সভা থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এ নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে তার তুমুল বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এই সময় জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ ও জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
জেলা পরিষদের সদস্য বাবুল মিয়া জানান চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার শুরুতেই বলেন, কথা বলতে চাইলে আগে রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেন, না হলে বেরিয়ে যান। এই সময় বাকবিতন্ড হয়। চেয়ারম্যানের পক্ষে থাকা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ জানান সভাতে কতো কথা হয়। তিনি আরও জানান তারা প্যানেল চেয়ারম্যান একবার মানবে, আবার মানবে না। এসময় এই বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে।
এই ব্যাপারে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার একাধিকার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেনি। তবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব তাদের স্বাক্ষর করতে বলেছিল। কিন্তু তাঁরা করেনি। এই নিয়ে তর্ক বির্তক হয়েছে। আমি উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা সমাধানের চেষ্টা করছি। এই সময় তার বক্তব্য কোড না করার অনুরোধ জানান।
এদিকে চতুর্থ মাসিক সভাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Al Mamun

জনপ্রিয় খবর

বিজয়নগরে মানব পাচারের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা পরিষদ সভায় আবারো বাকবিতন্ড

Update Time : ০৬:২৬:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের মাসিক সভায় চেয়ারম্যানের সঙ্গে সদস্যদের আবারো বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে। পরিষদের সদস্যদের অভিযোগ, রেজুলেশনে স্বাক্ষর না করায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তাদের বেরিয়ে যেতে বলেন। এই সময় দুই পক্ষ তর্কে জড়িয়ে পরে। রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরে জেলা পরিষদের চতুর্থ মাসিক সভায় এ ঘটনা ঘটে। এরআগের সভায়ও সদস্যদের বেড়িয়ে যেতে বলেন চেয়ারম্যান। ওই সভাটি কেন্দ্র করে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিলো জেলা পরিষদে। ওই সভা থেকেও রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে বলেছিলেন চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার। অর্থ বন্টনে অনিয়ম ও প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচনে অনিয়মের কারনে সদস্যরা রেজুলেশনে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত রয়েছেন

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন পরিষদের ১২ সদস্যের ৮ জন। তাঁরা হচ্ছেন–আখাউড়ার সাইফুল ইসলাম, সরাইলের পায়েল হোসেন মৃধা, নাসিরনগরের সামসুল কিবরিয়া, আশুগঞ্জে বিল্লাল মিয়া, বাঞ্ছারামপুরের আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগরের বাবুল আক্তার, সদর উপজেলার বাবুল মিয়া ও সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ।
সূত্র জানায়, জেলা পরিষদের মাসিক সভা রবিবার দুপুর দেড়টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় আড়াইটায়। শুরুতে পূর্বের সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের রেজুলেশনে সদস্যদের স্বাক্ষর করতে বলেন চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার। এতে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান তাদের সভা থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এ নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে তার তুমুল বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এই সময় জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ ও জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
জেলা পরিষদের সদস্য বাবুল মিয়া জানান চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার শুরুতেই বলেন, কথা বলতে চাইলে আগে রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেন, না হলে বেরিয়ে যান। এই সময় বাকবিতন্ড হয়। চেয়ারম্যানের পক্ষে থাকা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ জানান সভাতে কতো কথা হয়। তিনি আরও জানান তারা প্যানেল চেয়ারম্যান একবার মানবে, আবার মানবে না। এসময় এই বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে।
এই ব্যাপারে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার একাধিকার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেনি। তবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব তাদের স্বাক্ষর করতে বলেছিল। কিন্তু তাঁরা করেনি। এই নিয়ে তর্ক বির্তক হয়েছে। আমি উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা সমাধানের চেষ্টা করছি। এই সময় তার বক্তব্য কোড না করার অনুরোধ জানান।
এদিকে চতুর্থ মাসিক সভাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।