নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের মাসিক সভায় চেয়ারম্যানের সঙ্গে সদস্যদের আবারো বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে। পরিষদের সদস্যদের অভিযোগ, রেজুলেশনে স্বাক্ষর না করায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তাদের বেরিয়ে যেতে বলেন। এই সময় দুই পক্ষ তর্কে জড়িয়ে পরে। রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরে জেলা পরিষদের চতুর্থ মাসিক সভায় এ ঘটনা ঘটে। এরআগের সভায়ও সদস্যদের বেড়িয়ে যেতে বলেন চেয়ারম্যান। ওই সভাটি কেন্দ্র করে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিলো জেলা পরিষদে। ওই সভা থেকেও রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে বলেছিলেন চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার। অর্থ বন্টনে অনিয়ম ও প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচনে অনিয়মের কারনে সদস্যরা রেজুলেশনে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত রয়েছেন।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন পরিষদের ১২ সদস্যের ৮ জন। তাঁরা হচ্ছেন–আখাউড়ার সাইফুল ইসলাম, সরাইলের পায়েল হোসেন মৃধা, নাসিরনগরের সামসুল কিবরিয়া, আশুগঞ্জে বিল্লাল মিয়া, বাঞ্ছারামপুরের আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগরের বাবুল আক্তার, সদর উপজেলার বাবুল মিয়া ও সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ।
সূত্র জানায়, জেলা পরিষদের মাসিক সভা রবিবার দুপুর দেড়টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় আড়াইটায়। শুরুতে পূর্বের সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের রেজুলেশনে সদস্যদের স্বাক্ষর করতে বলেন চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার। এতে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান তাদের সভা থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এ নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে তার তুমুল বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এই সময় জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ ও জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
জেলা পরিষদের সদস্য বাবুল মিয়া জানান চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার শুরুতেই বলেন, কথা বলতে চাইলে আগে রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেন, না হলে বেরিয়ে যান। এই সময় বাকবিতন্ড হয়। চেয়ারম্যানের পক্ষে থাকা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ জানান সভাতে কতো কথা হয়। তিনি আরও জানান তারা প্যানেল চেয়ারম্যান একবার মানবে, আবার মানবে না। এসময় এই বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে।
এই ব্যাপারে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার একাধিকার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেনি। তবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব তাদের স্বাক্ষর করতে বলেছিল। কিন্তু তাঁরা করেনি। এই নিয়ে তর্ক বির্তক হয়েছে। আমি উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা সমাধানের চেষ্টা করছি। এই সময় তার বক্তব্য কোড না করার অনুরোধ জানান।
এদিকে চতুর্থ মাসিক সভাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।