নিজস্ব প্রতিবেদক:ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মাননা পেলেন আবৃত্তি শিল্পী সোহেল আহাদ। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী’ সম্মাননা পদক তার হাতে তুলে দেন ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদ এর সভাপতি ড. দেবব্রত দেবরায়।
জানা যায়, সাহিত্য একাডেমি থেকে বেড়ে ওঠা সোহেল আহাদ দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ থেকে সংস্কৃতি অঙ্গনে আবৃত্তি চর্চা করছে। আবৃত্তির পাশাপাশি নাটকেও তার দীর্ঘ পদচারণা রয়েছে। সংস্কৃতি তার এই স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মাননা দেয়া হয়। সম্মাননা পেয়ে আবৃত্তি শিল্পী সোহেল আহাদ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, দীর্ঘ দুই যুগ থেকে সংস্কৃতি চর্চা করছি। এর স্বীকৃতিস্বরূপ বিদেশের মাটিতে প্রথমবারের মত সম্মাননা পেয়েছি। এ এক অন্যরকম অনুভূতি। আমার এই সাম্মাননা আমার স্ত্রী, সন্তানকে সাথে নিয়ে উপভোগ করেছি। ভারত থেকে পাওয়া সম্মাননাটি আমার শিকড়, আমার অস্তিত্ব ও আমার প্রিয় সংগঠন সাহিত্য একাডেমিকে উৎসর্গ করেছি। সোহেল আহাদ ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে সম্মাননা পেয়েছে অনুকাব্যের জনক সাংবাদিক সাইদুজ্জামান রওশন, জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়ার রেহানা পারভীন, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অমিত ভৌমিক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদস্য সচিব সঞ্জিব ভট্টাচার্য্য, তিতাস বার্তার সম্পাদক এম এ মতিন শানু। ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদের সভাপতি ড. দেবব্রত দেবরায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনাররের প্রথম সচিব এবং দূতালয় প্রধান রেজাউল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনাররের প্রথম সচিব আল আমিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদের সাধারণ সম্পাদক ড. মোজাহিদ রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুনন্দা দেবনাথ। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু বিষয়ক আবৃত্তি, দলীয় নৃত্য, একক নৃত্য ও একক সঙ্গীতায়োজন ছিল মনোমুগ্ধকর।