Brahmanbaria ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় পুকুর জলাশয়ের তথ্য নেই কোন দপ্তরে!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৫৬:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
  • ১০৯৩ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক : একসময়ে পুকুর জলাশয়ের শহর বলা হত ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরকে। কালের বিবর্তনে পুকুর জলাশয় অবৈধ দখল ও ভরাটে তার সংখ্যা এখন আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে। ১৯৬৮ সনে শহরের দক্ষিণে বৃহত্তর ভাদুঘর থেকে শহরের উত্তরে বৃহত্তর মেড্ডাসহ ছোট বড় ত্রিশটি মহল্লা নিয়ে ৪টি ওয়ার্ডে ঘটিত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা। পৌরসভা গঠন হওয়ার শুরু থেকে ১৯৯৩ সন পর্যন্ত ১২০ বর্গকিলোমিটারের শহরটি ৪টি ওয়ার্ডে বিভক্ত ছিল। ১৯৯৯ সনের পৌরসভার নির্বাচনে শহরে জনবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন চাহিদা দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ৪টি ওয়ার্ডকে বিভক্ত করে ১২টি ওয়ার্ড করা হয়। প্রবীণদের মতে সত্তরের দশকে পৌর শহরের পুরাতন ৪টি ওয়ার্ডে প্রায় চার শতাধিক পুকুর ও জলাশয় ছিল যা এখন দুই শতেরও নিচে নেমে এসেছে।
সরেজমিনে সোহেল আহাদের জড়িপে দীর্ঘ দেড় বছরের জরীপে শহরে জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও ব্যক্তি মালিকানাধীনসহ মোট ১৮৬ টি পুকুর, ছোট বড় প্রায় ২৬টি খাল ও জলাশয়ের তথ্যে বেরিয়ে এসেছে। যার মধ্যে গোকর্ণঘাট মহল্লায়-৬টি, আমিনপুর-২টি, বৃহত্তর মেড্ডা-২২টি, শরীফপুর-২টি, শেরপুর-৫টি, উত্তর মৌড়াইল-৬টি, দক্ষিণ মৌড়াইল-৬টি, দাতিয়ারা-৪টি, পুনিয়াউট-১৫টি, কলেজপাড়া-৫টি, উত্তর পৈরতলা-৯টি, দক্ষিণ পৈরতলা-৭টি, ছয়বাড়িয়া-২টি, নয়নপুর-২টি, কাজীপাড়া-৭টি, কান্দিপাড়া-৩টি, শিমরাইলকান্দি-৪টি, পাইকপাড়া-১৫টি, কালাইশ্রীপাড়া-২টি, ফুলবাড়িয়া ও মোন্সেফপাড়া-৫টি, বাগানবাড়ি-৩টি, বৃহত্তর মধ্যপাড়া-১২টি, মৌলভীপাড়া ও হালদারপাড়া-৬টি ও বৃহত্তর ভাদুঘর-৩৭টি পুকুর রয়েছে। এর মাঝে পশ্চিম মেড্ডার আইন কলেজ সংলগ্ন সিকদার পুকুর, টেঙ্কেরপাড় লোকনাথ দীঘি, ফুলবাড়িয়া রামা পুকুর, শেরপুর পুকুর, রামকানাই হাই স্কুল সংলগ্ন পুকুর, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন পুকুর, মধ্যপাড়া মহেশ্বরী দীঘি, পৌর ভবন পুকুর, কাজীপাড়া পুকুর ও পাওয়ার হাউজ রোডের ভবদেব পুকুরসহ মোট ১০টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নিজস্ব পুকুর বলে দাবি করলেও অধিকাংশ পুকুরই এখন পৌর কর্তৃপক্ষের দখলে নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ তাদের ৭টি পুকুরের দাবি তোলেন। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ, জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ, উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের কয়টি পুকুর রয়েছে তার কোন তথ্য নেই এসব দপ্তরে। খাল জলাশয়ের জরীপে মোট ২৬টি ছোটবড় খাল জলাশয় রয়েছে যা এখন সবগুলোই প্রায় বিলুপ্তির পথে। এর মাঝে তিতাস নদী সংলগ্ন মেড্ডা সার গুদাম থেকে উৎপত্তি খালটি মেড্ডা মহল্লা দিয়ে বয়ে গেছে, তিতাস সংলগ্ন মেড্ডা বাজার দক্ষিণ থেকে উৎপত্তি খালটি বিরাসার বাস্ট্যান্ড লেগেছে যা এখন বিলুপ্ত, তিতাস সংলগ্ন পূর্ব পাইকপাড়া বান্নীঘাট থেকে উৎপত্তি খালটি কুমারশীল মোড়ে লেগেছে যা এখন বিলুপ্ত, তিতাস সংলগ্ন আনন্দ বাজার ঘাট থেকে উৎপত্তি খালটি সদর হাসপাতালে লেগেছে যা এখন বিলুপ্ত, ভাদুঘর মহল্লায় ৮টি ছোটবড় খাল, মধ্যপাড়া ২টি, জেল রোড ১টি, মৌলভীপাড়া ১টি, শিমরাইলকান্দি পাওয়ার হাউজ রোড ১টি, উত্তর পৈরতলা ১টি, ফুলবাড়িয়া ১টি, বৃহত্তর টাউনখাল ১টি, গোকর্ণঘাট ২টি, ছয়বাড়িয়া ১টি, আমিনপুর ১টি, কান্দিপাড়া ২টি, কাজীপাড়া ১টি, মসজিদ রোড ১টি খালের তথ্য কাগজে থাকলেও সরেজমিনে তা দেখার জন্য অনুবিক্ষণ যন্ত্রের সহযোগিতার প্রয়োজন হতে পারে। সবগুলো খাল বিভিন্ন দপ্তরের যোগসাজসে এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কতিপয় ভূমিখেকুরা দিনদিন দখল করে পুকুর খাল জলাশয়গুলো বিলীন করে দিচ্ছে। তথ্যানুযায়ী শহরের মেড্ডা মহল্লায় পোদ্দার বাড়ির পুকুরটি মাটি ভরাটে দখল নিতে পায়তারা স্থানীয় প্রভাবশালীরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। সিলেট রোডের পাশে অবস্থিত রাম ঠাকুর আশ্রমের পুকুরটি মামলায় সরকারি হলেও প্রশাসনের নাকের ডগায় সেখানে ভরাট করে বৃহৎ অট্টালিকা গড়ে উঠেছে। মধ্যপাড়া বর্ডার বাজার পুকুরটি দখল, মধ্যপাড়া ধোপাবাড়ির পুকুরটি দখল, শান্তিবাগ সফর আলী মেম্বার বাড়ির পুকুরটি দখল, পশু হাসপাতালের পিছনের পুকুরটি দখল, মধ্যপাড়া বসাকপাড়া পুকুরটি ভরাট, মদিনা মসজিদ পুকুরটি ভরাট, লোকনাথ দীঘি সংলগ্ন পূর্ব পাড় অবস্থিত পুকুটি ভরাট করেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। পরিবেশবাদী শামীম আহমেদ বলেন, পুকুর জলাশয়ের তথ্যগুলো সকল দপ্তরে থাকা উচিত। ব্যক্তি উদ্যোগে শহরের যে পুকুরের তালিকা করা হয়েছে তা গ্যাজেট আকারে প্রকাশ করার জন্য দাবি তোলেন। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেনের সাথে। তিনি এসব বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এক সময় মানুষের সুস্বাদু পানির প্রধান উৎস ছিল পুকুর। পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করে পানি পান করা, নারীদের সাংসারিক কাজে পুকুরের পানি ব্যবহার, মানুষের গোসল করাসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হতো। কিন্তু এখন তা আর হচ্ছে না, দিনদিন পুকুরের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. খালেদ হাসান জানান, পুকুরের জলাশয়ের তালিকা আমাদের কাছে থাকার কথা নয়, এগুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা এবং উপজেলা ভূমি অফিস করবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, আমাদের মাত্র ৭টি পুকুর রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য পুকুর কতটি রয়েছে তা আমার জানা নেই। তিনি আরো জানান, আমরা গত ফেব্রুয়ারি মাসে শহরের কাজীপাড়া মহল্লার তিনটি পরিত্যক্ত পুকুর পরিষ্কার করেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আ. কুদদূস বলেন, আমাদের মোট ১০টি পুকুর রয়েছে। তবে অনেকগুলো পুকুরই ভূমি দস্যুদের দখলে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি পুকুরগুলো দখল মুক্ত করার জন্য।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Al Mamun

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় পুকুর জলাশয়ের তথ্য নেই কোন দপ্তরে!

Update Time : ০৮:৫৬:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক : একসময়ে পুকুর জলাশয়ের শহর বলা হত ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরকে। কালের বিবর্তনে পুকুর জলাশয় অবৈধ দখল ও ভরাটে তার সংখ্যা এখন আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে। ১৯৬৮ সনে শহরের দক্ষিণে বৃহত্তর ভাদুঘর থেকে শহরের উত্তরে বৃহত্তর মেড্ডাসহ ছোট বড় ত্রিশটি মহল্লা নিয়ে ৪টি ওয়ার্ডে ঘটিত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা। পৌরসভা গঠন হওয়ার শুরু থেকে ১৯৯৩ সন পর্যন্ত ১২০ বর্গকিলোমিটারের শহরটি ৪টি ওয়ার্ডে বিভক্ত ছিল। ১৯৯৯ সনের পৌরসভার নির্বাচনে শহরে জনবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন চাহিদা দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ৪টি ওয়ার্ডকে বিভক্ত করে ১২টি ওয়ার্ড করা হয়। প্রবীণদের মতে সত্তরের দশকে পৌর শহরের পুরাতন ৪টি ওয়ার্ডে প্রায় চার শতাধিক পুকুর ও জলাশয় ছিল যা এখন দুই শতেরও নিচে নেমে এসেছে।
সরেজমিনে সোহেল আহাদের জড়িপে দীর্ঘ দেড় বছরের জরীপে শহরে জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও ব্যক্তি মালিকানাধীনসহ মোট ১৮৬ টি পুকুর, ছোট বড় প্রায় ২৬টি খাল ও জলাশয়ের তথ্যে বেরিয়ে এসেছে। যার মধ্যে গোকর্ণঘাট মহল্লায়-৬টি, আমিনপুর-২টি, বৃহত্তর মেড্ডা-২২টি, শরীফপুর-২টি, শেরপুর-৫টি, উত্তর মৌড়াইল-৬টি, দক্ষিণ মৌড়াইল-৬টি, দাতিয়ারা-৪টি, পুনিয়াউট-১৫টি, কলেজপাড়া-৫টি, উত্তর পৈরতলা-৯টি, দক্ষিণ পৈরতলা-৭টি, ছয়বাড়িয়া-২টি, নয়নপুর-২টি, কাজীপাড়া-৭টি, কান্দিপাড়া-৩টি, শিমরাইলকান্দি-৪টি, পাইকপাড়া-১৫টি, কালাইশ্রীপাড়া-২টি, ফুলবাড়িয়া ও মোন্সেফপাড়া-৫টি, বাগানবাড়ি-৩টি, বৃহত্তর মধ্যপাড়া-১২টি, মৌলভীপাড়া ও হালদারপাড়া-৬টি ও বৃহত্তর ভাদুঘর-৩৭টি পুকুর রয়েছে। এর মাঝে পশ্চিম মেড্ডার আইন কলেজ সংলগ্ন সিকদার পুকুর, টেঙ্কেরপাড় লোকনাথ দীঘি, ফুলবাড়িয়া রামা পুকুর, শেরপুর পুকুর, রামকানাই হাই স্কুল সংলগ্ন পুকুর, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন পুকুর, মধ্যপাড়া মহেশ্বরী দীঘি, পৌর ভবন পুকুর, কাজীপাড়া পুকুর ও পাওয়ার হাউজ রোডের ভবদেব পুকুরসহ মোট ১০টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নিজস্ব পুকুর বলে দাবি করলেও অধিকাংশ পুকুরই এখন পৌর কর্তৃপক্ষের দখলে নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ তাদের ৭টি পুকুরের দাবি তোলেন। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ, জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ, উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের কয়টি পুকুর রয়েছে তার কোন তথ্য নেই এসব দপ্তরে। খাল জলাশয়ের জরীপে মোট ২৬টি ছোটবড় খাল জলাশয় রয়েছে যা এখন সবগুলোই প্রায় বিলুপ্তির পথে। এর মাঝে তিতাস নদী সংলগ্ন মেড্ডা সার গুদাম থেকে উৎপত্তি খালটি মেড্ডা মহল্লা দিয়ে বয়ে গেছে, তিতাস সংলগ্ন মেড্ডা বাজার দক্ষিণ থেকে উৎপত্তি খালটি বিরাসার বাস্ট্যান্ড লেগেছে যা এখন বিলুপ্ত, তিতাস সংলগ্ন পূর্ব পাইকপাড়া বান্নীঘাট থেকে উৎপত্তি খালটি কুমারশীল মোড়ে লেগেছে যা এখন বিলুপ্ত, তিতাস সংলগ্ন আনন্দ বাজার ঘাট থেকে উৎপত্তি খালটি সদর হাসপাতালে লেগেছে যা এখন বিলুপ্ত, ভাদুঘর মহল্লায় ৮টি ছোটবড় খাল, মধ্যপাড়া ২টি, জেল রোড ১টি, মৌলভীপাড়া ১টি, শিমরাইলকান্দি পাওয়ার হাউজ রোড ১টি, উত্তর পৈরতলা ১টি, ফুলবাড়িয়া ১টি, বৃহত্তর টাউনখাল ১টি, গোকর্ণঘাট ২টি, ছয়বাড়িয়া ১টি, আমিনপুর ১টি, কান্দিপাড়া ২টি, কাজীপাড়া ১টি, মসজিদ রোড ১টি খালের তথ্য কাগজে থাকলেও সরেজমিনে তা দেখার জন্য অনুবিক্ষণ যন্ত্রের সহযোগিতার প্রয়োজন হতে পারে। সবগুলো খাল বিভিন্ন দপ্তরের যোগসাজসে এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কতিপয় ভূমিখেকুরা দিনদিন দখল করে পুকুর খাল জলাশয়গুলো বিলীন করে দিচ্ছে। তথ্যানুযায়ী শহরের মেড্ডা মহল্লায় পোদ্দার বাড়ির পুকুরটি মাটি ভরাটে দখল নিতে পায়তারা স্থানীয় প্রভাবশালীরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। সিলেট রোডের পাশে অবস্থিত রাম ঠাকুর আশ্রমের পুকুরটি মামলায় সরকারি হলেও প্রশাসনের নাকের ডগায় সেখানে ভরাট করে বৃহৎ অট্টালিকা গড়ে উঠেছে। মধ্যপাড়া বর্ডার বাজার পুকুরটি দখল, মধ্যপাড়া ধোপাবাড়ির পুকুরটি দখল, শান্তিবাগ সফর আলী মেম্বার বাড়ির পুকুরটি দখল, পশু হাসপাতালের পিছনের পুকুরটি দখল, মধ্যপাড়া বসাকপাড়া পুকুরটি ভরাট, মদিনা মসজিদ পুকুরটি ভরাট, লোকনাথ দীঘি সংলগ্ন পূর্ব পাড় অবস্থিত পুকুটি ভরাট করেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। পরিবেশবাদী শামীম আহমেদ বলেন, পুকুর জলাশয়ের তথ্যগুলো সকল দপ্তরে থাকা উচিত। ব্যক্তি উদ্যোগে শহরের যে পুকুরের তালিকা করা হয়েছে তা গ্যাজেট আকারে প্রকাশ করার জন্য দাবি তোলেন। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেনের সাথে। তিনি এসব বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এক সময় মানুষের সুস্বাদু পানির প্রধান উৎস ছিল পুকুর। পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করে পানি পান করা, নারীদের সাংসারিক কাজে পুকুরের পানি ব্যবহার, মানুষের গোসল করাসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হতো। কিন্তু এখন তা আর হচ্ছে না, দিনদিন পুকুরের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. খালেদ হাসান জানান, পুকুরের জলাশয়ের তালিকা আমাদের কাছে থাকার কথা নয়, এগুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা এবং উপজেলা ভূমি অফিস করবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, আমাদের মাত্র ৭টি পুকুর রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য পুকুর কতটি রয়েছে তা আমার জানা নেই। তিনি আরো জানান, আমরা গত ফেব্রুয়ারি মাসে শহরের কাজীপাড়া মহল্লার তিনটি পরিত্যক্ত পুকুর পরিষ্কার করেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আ. কুদদূস বলেন, আমাদের মোট ১০টি পুকুর রয়েছে। তবে অনেকগুলো পুকুরই ভূমি দস্যুদের দখলে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি পুকুরগুলো দখল মুক্ত করার জন্য।