নিজস্ব প্রতিবেদক : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ.কে.এম. নাজমুল হাসান বলেন, মাদক, চোরাচালানসহ সীমান্তে হত্যা কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।
আজ বুধবার (১ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় আখাউড়া সীমান্ত পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করছি, সীমান্ত দিয়ে যেন কোনভাবে আমাদের দেশে মাদক প্রবেশ করতে না পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন মাদকের মাধ্যমে ধ্বংস না হয়ে যায় সেইটি আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে। সীমান্ত দিয়ে মাছের বিনিময়ে মাদক আসে এই বিষয়টি অনাকাঙ্খিত। আমরা চাই কোন অবস্থাতেই যেন কোন মাদক না আসে।
এ সময় সীমান্ত হত্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, সীমান্ত হত্যা কারোরই কাম্য নয়, একটা জীবন মেরে ফেলুক, তারাও চাই না আমরাও চাই না। তারাও চাই আমরাও চাই সীমান্ত হত্যা যতটুকু কমিয়ে আনা যায়।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনি (বিএসএফ)এর বাধার মুখে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ভবন, কসবা রেলস্টেশন ও সালদা নদীর ব্রিজের কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন,২০১৬ সালে কাজটি শুরু হয়ে ২০২০ সালে কাজটা বন্ধ হয়ে পরেছিল। এখন আমরা চেষ্টা করছি দ্রæত যেন সমাধান হয়ে যায়। আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমার পক্ষে থেকে বিএসএফ সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সবার সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রæত একটি পজিটিভ ফলাফল আসবে এবং কসবা ও সালদা নদীর রেলওয়ে যে প্রজেক্ট আছে সেগুলোতে খুব দ্রæত এর কর্যক্রম শুরু হবে।
আখাউড়া আইসিপি পরিদর্শনকালে তার সাথে ছিলেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম. এম. খায়রুল কবির, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কে. এম. আজাদ, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শহিদুল ইসলাম (সরাইল রিজন কমান্ডার), বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কে. এম. আজাদ ব্যুরো চিপ বিএসবি ব্যুরো সদর, মো: আবুল কালাম শামস উদ্দিন রানা (সেক্টর কমান্ডার কুমিল্লা), সুলতানপুর ৬০ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহসহ বিজিবি’র বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফের) সাথে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের শূন্য রেখাই সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় ভারতীয় বিএসএফের আইজি সুমিত সরণ (ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার কমান্ডার), ডিআইজি আরএস কর্নওয়াল (গুকুলনগর সেক্টর কমান্ডার), শ্রী রাথনেশ কুমার ১২০ বিএসএফ অধিনায়কসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।