স্টাফ রিপোর্টার: সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা ও সংস্কৃতি আন্দোলনে দীর্ঘ চার দশকে পদার্পণ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ঐতিহ্যবাহী সংগঠন সাহিত্য একাডেমি। নাটক, আবৃত্তি ও সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চায় ব্রত সংগঠনটি ১৯৮৩ সনের ৪ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে বিভিন্ন চড়াই উৎরাই পেরিয়ে সাহিত্য একাডেমি জেলার এক বটবৃক্ষে রূপ নিয়েছে। মুক্ত নাটক আন্দোলন, ৯০এর স্বৈরাচারী আন্দোলনে জেলায় অগ্রণী ভূমিকায় সংগঠনটি দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আজ এই সংগঠনটি চল্লিশে পা বাড়িয়েছে। শহরের ঐতিহ্যবাহী অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে সংগঠনের নবীন ও প্রবীন সদস্যদের মিলনমেলায় রূপ নিয়েছে। সকাল সাড়ে নটায় অধিবেশন শুরু প্রথমে প্রয়াত সদস্য মনোয়ারা বেগম, পার্থ গুহ সারথী ও সাইফুল ইসলাম রিপনের স্মরণে করা হয়েছে। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অধিবেশনের শুরুতে তাঁদের কর্মজীবনী পাঠ করেন সাহিত্য একাডেমির প্রশিক্ষক নির্জয় হাসান সোহেল, নুসরাত জাহান বুশরা ও রিপন দেবনাথ। বিগত বছরে হারিয়ে যাওয়া দেশের প্রখ্যাত ব্যক্তিদের শোক নামে প্রস্তাব পাঠ করেন পরিচালক মণ্ডলীর সদস্য ফারুক আহমেদ ভুইয়া। সংগঠনের বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ করেন পুন:নির্বাচিত হওয়া সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আ. কুদদূস। বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপদেষ্টা এডভোকেট আবু তাহের। সঞ্চালনায় ছিলেন মানিকরতন শর্মা।
সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর কমিটি করার বিধান থাকায় এবারের কমিটিতে সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিনকে পুনর্বহাল রেখে সাহিত্য একাডেমির সদস্য অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীনকে উপদেষ্টা মণ্ডলী পরিষদে যুক্ত করা হয়।