নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রানার্স কমিউনিটির উদ্যোগে হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারী) ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে এই প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হাফ ম্যরাথন প্রতিযোগীতায় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বয়সের দুই ২৫০ জন দৌড়বিদ প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়।
সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভুতি ভূষন দেবনাথ ম্যারাথন প্রতিযোগীতা উদ্বোধন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ২১ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার এবং ৫ কিলেমিটার ক্যাটাগরিতে হাফ ম্যারাথন দৌড় শুরু হয়। দৌড়বিদরা শহরের শিমরাইলকান্দি হয়ে শেখ হাসিনা সড়ক ( সিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক) দিয়ে বিজয়নগর উপজেলা ঘুরে আবারো শেখ হাসিনা সড়কের তিতাস সেতুতে ফিনিসিং পয়েন্টে এসে শেষ হয়।
আয়োজকরা জানান, ভোরে হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করতে রাশিয়া, জাপান, ভারত, নেপালসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন বয়সী ২৫০জন দৌড়বিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে এসে জড়ো হয়। পরে সেখান থেকে তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হাফ ম্যরাথন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।
ম্যারাথনে অংশ গ্রহণকারীকারীরা জানান, সুস্থ দেহ ও সবল মনের জন্য দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই। সিলেট থেকে আসা দৌড়বিদ গোলাম রাহাত তোফায়েল বলেন, আমি দেশের বিভিন্ন জেলায় ম্যারাথন প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করে থাকি।
পটুয়াখালী জেলা থেকে আসা দৌড়বিদ মশিউর রহমান পলাশ বলেন, আমি প্রথমবারের মতো ম্যারাথন প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করেছি। ম্যারাথনে অংশ গ্রহণ করে আমার খুব ভালো লাগছে। আগামীতে দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ের ম্যারাথনে যাওয়ার চেষ্টা করবো।
ফারজানা খানম নামে এক নারী দৌড়বিদ বলেন, জীবনের প্রথমবারের মতো আমি ৫কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করে নারীদের মধ্যে আমি প্রথম হয়েছি। শরীরকে ফিট ও সুস্থ রাখার জন্য প্রতিটা মানুষের দৌড়ানো উচিত।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভুতি ভূষন দেবনাথ বলেন, আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে প্রথমবারের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগীতায় আমাদের দেশসহ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষসহ ২৫০ জন দৌড়বিদ অংশ গ্রহণ করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির এডমিন অলি আহাদ রতন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমরা প্রথমবারের মতো হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছি। আমাদের সুস্থতার জন্য দৌড়ানো উচিত। আগামীতে সকলের সহযোগীতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল্টা বা ফুল ম্যারাথন প্রতিযোগীতা করার চেষ্টা করবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর উৎস দাস গুপ্ত জানান, প্রতিযোগীরা যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় না পড়ে সেজন্য প্রতিযোগীতা শুরুর সময় সড়কে যানচলাচল বন্ধ রাখা হয়। ম্যারাথন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারীদের নিরাপত্তার জন্যও আমরা কাজ করেছি।
প্রতিযোগীতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা।