নিজস্ব প্রতিবেদক:ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগরের পত্তন ইউনিয়নে হারুন মিয়ার উপর হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার পর দায়ের করা মামলাটিতে ৩০২ ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে। হারুন মিয়ার মৃত্যু ওই হামলার ফলে হয়েছে, তা তদন্ত রিপোর্টে প্রমাণিত হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে এই ধারায় রূপান্তরিত হয়েছে। গত ডিসেম্বরে ১৯ তারিখ হত্যার ধারাটি যুক্ত করতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক জুয়েল রানা ভূইয়া আদালতে আবেদন করেছিলেন।
এরপরই বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিজ্ঞ ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত (বিজয়নগর) আদলতে ৮ জন আসামী হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে, ম্যাজিস্ট্রেট শাখাওয়াত হোসেন তাদেরকে আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন৷
আটককৃতরা হলেন, করিম মিয়া (৫০), মোতালিব মিয়া (৪০) লিলু মিয়া (৩২), লিটন (২০), সুমন মিয়া (২০), আব্দুল আহাদ (৪০), হেবজু মিয়া (৪০), আলমগীর মিয়া (৪০)।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের মধ্যে জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের আরও ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করেন। এই ঘটনায় বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করায় করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন৷ পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু-পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপোষ করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়ার তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে শেখ হাসিনার সড়কে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিত ভাবে তাদের উপর হামলা করেন৷ এতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। এই ঘটনায় হারুন মিয়ার স্ত্রী বাদি হয়ে বিজয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। পাশাপাশি আহত অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে হারুন মিয়ার গুরুত্বর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসা চলে। পরে ১০ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
পরবর্তীতে এই মামলায় তদন্তে হারুন মিয়া হামলার কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া তদন্তকারী কর্মকর্তা তার তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় মাজেদা বেগমের দায়ের করা মামলাটিতে ৩০২ ধারা যুক্ত হয়ে হত্যা রূপান্তরিত হয়েছে। যা আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জুয়েল রানা।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারনে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে৷ আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে বাদি পক্ষের আইনজীবী ওসমান গণি জানান, মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে। আসামীরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
Last News :
বিজয়নগরে হারুন মিয়া হত্যা মামলায় ৮ আসামীকে জেলহাজতে প্রেরণ
- Reporter Name
- Update Time : ০১:৩৪:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- ১১২০ Time View
Tag :
জনপ্রিয় খবর