রান্নার কাজে ব্যবহৃত এলপিজি গ্যাস এখন ব্যবহার হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় সিএনজি চালিত অটোরিকশায়। সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত গ্যাস বন্ধ থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এ পথ বেছে নিয়েছে অনেক সিএনজি চালক। এতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মতো বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সিএনজি চালিত অটোরিকশায় স্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীর সিটের পেছনে ক্যারিয়ারে উন্মুক্তভাবে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার রাখা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ভূইশ্বহর বাজার ও অরুয়াইল ইউনিয়নের অরুয়াইল বাজারে বেশি দেখা গেছে।
সিএনজি ফিলিং স্টেশন সূত্রে জানা যায়, হাইওয়ে পুলিশের নির্দেশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোডের আশপাশ এলাকার চারটি সিএনজি চালিত ফিলিং স্টেশন থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় দৈনিক ১৫ ঘণ্টা (সকাল ৮টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত) গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে পাম্প মালিকেরা।
ভূইশ্বহর থেকে অরুয়াইল আসা সিএনজির যাত্রী হৃদয় বলেন, এই সড়কে অন্য কোন গাড়ির ব্যবস্থা না থাকায়, আমরা ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। গ্যাস সিলিন্ডার দেখেছি, কিন্তু ফিলিং স্টেশনে সিএনজির জন্য গ্যাস বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
একাধিক সিএনজি চালকসহ জুয়েল বলেন, সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত আমাদের সিএনজির জন্য গ্যাস বন্ধ রাখা হয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডারের খরচ বেশি। উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে এই ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। আমাদের কিস্তি আছে, বউ ছেলে মেয়ের খরচ চালাতে হবে। তাই জীবনের ঝুঁকি জেনেও গাড়ি চালাই। না হলে সংসার চলবে কি করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশীষ কুমার সান্যালের লিখিত নির্দেশে শনিবার (২৯ জুন) থেকে পাম্প মালিকরা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এতে করে কয়েক হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক চরম বিপাকে পড়েছেন।
এ বিষয়ে সরাইল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার রিয়াজ আহমেদ বলেন, সিএনজিতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করলে দূর্ঘটনার সম্ভবনা আছে।
সিএনজিতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের বিষয়টি অবগত করলে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ মেজবাহ উল আলম ভূঁইয়া জানান, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।