ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং দুইটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। গত রোববার রাতে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রামকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির বহিস্কৃত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ. কে. একরামুজ্জামান। তিনি কলার ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট। আর সংগ্রাম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬ হাজার ১৮৯ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মঈন উদ্দিন ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা ঈগল পাখি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৩১ ভোট। এ আসনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী ছিল না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৩৭ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাহীন খান পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোবারক হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৮ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী, বর্তমান সংসদ সদস্য এ. বি. তাজুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি হয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মোঃ আমজাদ হোসেন পেয়েছেন ২৮১৭ ভোট।