লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অনিয়ম প্রমাণিত হলে দুটি আসনের ক্ষেত্রে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে ইসি।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসির কক্ষের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। ওই নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে শাহজাহান আলম সাজু এবং লক্ষ্মীপুর-৩ উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন গোলাম ফারুক পিংকু।
ইসি সচিব বলেন, চলতি বছর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২-এর যে সংশোধনী হয়েছে সেখানে ৯১ (এ.এ) নতুন ধারা সংযুক্ত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক ফল ঘোষণা হওয়ার পরে যদি সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নির্বাচনে অনিয়মের সঠিক তথ্য উপাত্ত নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করেন অথবা যদি কোনো অনিয়ম নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়, নির্বাচন কমিশন ওই আসনের গেজেট প্রজ্ঞাপন স্থগিত রেখে ওই অভিযোগ আমলে নিয়ে যথাযথ তদন্ত করবে। সেই তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, আইনে নির্বাচন কমিশনকে যে ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে সে ক্ষমতা অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এবং লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে যে অনিয়মের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে তা আমলে নিয়ে তদন্ত করতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা সরজমিনে তদন্ত করে যে প্রতিবেদন দেবে সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে একজনের নৌকা প্রতীকে একাধিক সিল মারার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ৫৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে তাকে ৪৩টি সিল মারতে দেখা গেছে। সিলমারা ওই ব্যক্তিকে ভোটের ফল ঘোষণার পর নৌকার প্রার্থীকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনাও দিয়েছেন।