Brahmanbaria ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Last News :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপুল পরিমান ভারতীয় মোবাইল আটক! ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক গ্রামীন নারী দিবস পালিত আখাউড়ায় ভারতীয় নাগরিকসহ ২ জন আটক! ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন সভাপতি এম এ খালেক ও সম্পাদক শ্যামল  বিজয়নগরে পরকিয়ার নামে মিথ্যা প্রচারের দাবি ভুক্তভোগীর! ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেলটা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানীর স্বামীর মৃত্যুর দাবীর চেক প্রধান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেতু এন্টারপ্রাইজ প্রাইজমানি ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনালে কসবা বিজয়ী ভারতে যাওয়ার সময় মা-ছেলে আটক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহে আলোচনা  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার

বিজয়নগরে পরকিয়ার নামে মিথ্যা প্রচারের দাবি ভুক্তভোগীর!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:২৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
  • ৩২ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে বিজয়নগর থানার এক পুলিশ সদস্যের পরকীয়ার নামে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে যা মিথ্যার দাবি ভুক্তভোগীর। এ সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে পরকিয়া প্রেমের বাঁধা দেওয়ার সাংবাদিক এস এম গোলাম কিবরিয়াকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। 

বিজয়নগরের চান্দুরা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের প্রবাসী গোলাম মোস্তাফা বাবুলের স্ত্রী রোমা আক্তার ও বিজয়নগর থানার এএস আই মোঃ আব্দুল করিমের কথোপকথনের স্কিনশর্ট সোস্যাল মিডিয়াতে প্রচার করা হয়। গোলাম কিবরিয়া মোস্তফা বাবুলের আপন ছোট ভাই ও রোমা আক্তার ও গোলাম কিবরিয়া সম্পর্কে দেবর ভাবি সম্পর্ক। গত ৭ মাস আগে মোস্তাফা বাবুলের স্ত্রী ও গোলাম কিবরিয়ার পারিবারিক ঝামেলা  চলছে।

এ বিষয়ে রোমা আক্তার বলেন, কিবরিয়া প্রায়ই আমাকে কু-প্রস্তাব দিতো, টাকা চাইতো আমি দেয়নি বলে আমাকে মারধর করে। পরবর্তীতে আমি আমার স্বামী মোস্তাফা বাবুলকে জানাই ও গোপনে ভিডিও ফোনে সব দেখাইলে আমার স্বামী আমাকে বলে কিবরিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার জন্য। এসব ঘটনায় একাধিকবার পারিবারিক ভাবে শালিস হলেও কিবরিয়া তা মানেনি। একদিন রাত ১ টার দিকে ধর্ষণ চেষ্টা করলে আমি জোরে জোরে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা আমাকে উদ্ধার করে। এর আগেও ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ এসে আমাকে কিবরিয়ার হাত থেকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে আমি বাদী হয়ে কোর্টে মামলা করি।
গত কয়েকদিন আগে কিবরিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তার পর থেকেই কিবরিয়ার সহকর্মীরা আমার এবং পুলিশের মাঝে পরকিয়া আছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে যা মিথ্যা।
আরো জানান, এএসআই করিমের সাথে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে উনার সাথে আমার কয়েকবার কথা হয়েছে এবং এ বিষয়ে আমার স্বামী অবগত আছেন। এএসআই করিমের সাথে আমার ফোন থেকে লেখার স্কিনশর্ট কিবরিয়া নিজেই লিখেছে এবং ভিডিও কলের স্কিনশর্টটি কিবরিয়া জোরপূর্বক ভাবে কল দেওয়ায় আমাকে। এ সময় আমার স্বামী মোস্তফা বাবুল আমার অন্য একটি মোবাইল দিয়ে ভিডিও কলে ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতি:পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোঃ বিল্লাল হোসেন এর কাছে এসব বিষয়ে  লিখিতভাবে জবানবন্দি দিয়েছি।

এ ঘটনায় বিষয়ে এএসআই আব্দুল করিম বলেন, একটি অভিযোগের বিষয়ে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। বাদী রোমা আক্তারের সাথে অভিযোগের বিষয়ে কথা হয়েছিল। পরকিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বাদীর স্বামী মোস্তাফা বাবুল প্রবাস থেকে আমাকে কল দিয়ে অনুরোধ করে যে কিবরিয়া তার স্ত্রীর রুমে ঢুকার চেষ্টা করছে এ বিষয় গুলো দেখার জন্য, বাদীর ফোনে ভিডিও কল দিয়ে কথা বলি এবং এ সময় বাদীর স্বামী মোস্তাফা বাবুলও অন্য একটি ফোন দিয়ে কলে ছিলেন। এ বিষয়ে কিবরিয়া আমার বিরুদ্ধে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ করেছে।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, একটি নারী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় বিজ্ঞ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার গোলাম কিবরিয়াকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটা লেখালেখি হয় এএসআই আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে কিন্তু এ বিষয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Al Mamun

জনপ্রিয় খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপুল পরিমান ভারতীয় মোবাইল আটক!

বিজয়নগরে পরকিয়ার নামে মিথ্যা প্রচারের দাবি ভুক্তভোগীর!

Update Time : ০৭:২৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে বিজয়নগর থানার এক পুলিশ সদস্যের পরকীয়ার নামে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে যা মিথ্যার দাবি ভুক্তভোগীর। এ সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে পরকিয়া প্রেমের বাঁধা দেওয়ার সাংবাদিক এস এম গোলাম কিবরিয়াকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। 

বিজয়নগরের চান্দুরা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের প্রবাসী গোলাম মোস্তাফা বাবুলের স্ত্রী রোমা আক্তার ও বিজয়নগর থানার এএস আই মোঃ আব্দুল করিমের কথোপকথনের স্কিনশর্ট সোস্যাল মিডিয়াতে প্রচার করা হয়। গোলাম কিবরিয়া মোস্তফা বাবুলের আপন ছোট ভাই ও রোমা আক্তার ও গোলাম কিবরিয়া সম্পর্কে দেবর ভাবি সম্পর্ক। গত ৭ মাস আগে মোস্তাফা বাবুলের স্ত্রী ও গোলাম কিবরিয়ার পারিবারিক ঝামেলা  চলছে।

এ বিষয়ে রোমা আক্তার বলেন, কিবরিয়া প্রায়ই আমাকে কু-প্রস্তাব দিতো, টাকা চাইতো আমি দেয়নি বলে আমাকে মারধর করে। পরবর্তীতে আমি আমার স্বামী মোস্তাফা বাবুলকে জানাই ও গোপনে ভিডিও ফোনে সব দেখাইলে আমার স্বামী আমাকে বলে কিবরিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার জন্য। এসব ঘটনায় একাধিকবার পারিবারিক ভাবে শালিস হলেও কিবরিয়া তা মানেনি। একদিন রাত ১ টার দিকে ধর্ষণ চেষ্টা করলে আমি জোরে জোরে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা আমাকে উদ্ধার করে। এর আগেও ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ এসে আমাকে কিবরিয়ার হাত থেকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে আমি বাদী হয়ে কোর্টে মামলা করি।
গত কয়েকদিন আগে কিবরিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তার পর থেকেই কিবরিয়ার সহকর্মীরা আমার এবং পুলিশের মাঝে পরকিয়া আছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে যা মিথ্যা।
আরো জানান, এএসআই করিমের সাথে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে উনার সাথে আমার কয়েকবার কথা হয়েছে এবং এ বিষয়ে আমার স্বামী অবগত আছেন। এএসআই করিমের সাথে আমার ফোন থেকে লেখার স্কিনশর্ট কিবরিয়া নিজেই লিখেছে এবং ভিডিও কলের স্কিনশর্টটি কিবরিয়া জোরপূর্বক ভাবে কল দেওয়ায় আমাকে। এ সময় আমার স্বামী মোস্তফা বাবুল আমার অন্য একটি মোবাইল দিয়ে ভিডিও কলে ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতি:পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোঃ বিল্লাল হোসেন এর কাছে এসব বিষয়ে  লিখিতভাবে জবানবন্দি দিয়েছি।

এ ঘটনায় বিষয়ে এএসআই আব্দুল করিম বলেন, একটি অভিযোগের বিষয়ে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। বাদী রোমা আক্তারের সাথে অভিযোগের বিষয়ে কথা হয়েছিল। পরকিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বাদীর স্বামী মোস্তাফা বাবুল প্রবাস থেকে আমাকে কল দিয়ে অনুরোধ করে যে কিবরিয়া তার স্ত্রীর রুমে ঢুকার চেষ্টা করছে এ বিষয় গুলো দেখার জন্য, বাদীর ফোনে ভিডিও কল দিয়ে কথা বলি এবং এ সময় বাদীর স্বামী মোস্তাফা বাবুলও অন্য একটি ফোন দিয়ে কলে ছিলেন। এ বিষয়ে কিবরিয়া আমার বিরুদ্ধে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ করেছে।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, একটি নারী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় বিজ্ঞ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার গোলাম কিবরিয়াকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটা লেখালেখি হয় এএসআই আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে কিন্তু এ বিষয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি।