Brahmanbaria ১০:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Last News :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক গ্রামীন নারী দিবস পালিত আখাউড়ায় ভারতীয় নাগরিকসহ ২ জন আটক! ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন সভাপতি এম এ খালেক ও সম্পাদক শ্যামল  বিজয়নগরে পরকিয়ার নামে মিথ্যা প্রচারের দাবি ভুক্তভোগীর! ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেলটা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানীর স্বামীর মৃত্যুর দাবীর চেক প্রধান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেতু এন্টারপ্রাইজ প্রাইজমানি ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনালে কসবা বিজয়ী ভারতে যাওয়ার সময় মা-ছেলে আটক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহে আলোচনা  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার পূজা মন্ডবের পরিচালনা পরিষদের সাথে মতবিনিময় – ইন্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুমের মামলা না নেওয়ায় বিক্ষোভ-মানববন্ধন

Oplus_0

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আতিকুল ইসলাম নামে এক বিএনপি কর্মীর গুমের অভিযোগে মামলা না নেওয়ায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। আজ রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এই মানববন্ধনে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজিপাড়ার মুমিনুল ইসলামের ছেলে আতিকুল ইসলামকে ২০১২ সালের ১৩ অক্টোবর তুলে নিয়ে গুম করার অভিযোগ ওঠে। আতিক বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
মানববন্ধনে গুম হওয়া আতিকুল ইসলামের স্ত্রী নাছিমা ইসলাম বলেন, আমার স্বামীকে দুইটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি তাকে বেঁধে রেখেছে। এরপর থেকে একযুগেও তার আর কোনো সন্ধান মেলেনি। মামলা দিতে গেলে নেওয়া হয়নি। এখন দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। থানায় মামলা নিয়ে গিয়ে গত ৪ দিন ধরে ঘুরছি, কিন্তু নিচ্ছে না। মামলাটি দ্রুত নিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হোক, আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
আতিকের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তানিয়া ইসলাম বলেন, আতিক ভাইকে গাড়িতে ওঠানোর পর আমরা গেলে তখন তারা বলেছিলেন উনাকে একটু মোকতাদির চৌধুরীর বাড়িতে যেতে হবে। এরপর নিয়ে যাওয়ার পর আর তার সন্ধান পাইনি। আমরা সাবেক এমপির সঙ্গে দেখা করেছিলাম, তখন তিনি বলেছিলেন চুপ থাকতে এবং জিডি পর্যন্ত করতে নিষেধ করেন। তখন জিডি পর্যন্ত করতে পারিনি। এখন মামলা নিয়ে টালবাহানা করছেন সদর মডেল থানার ওসি।
গুম হওয়া আতিকের মেয়ে বলেন, আমি যখন ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ি তখন আমার বাবাকে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নির্দেশে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। দীর্ঘদিন বাবাকে দেখি না। আমার বাবাকে ফেরত চাই।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, আমরা তাদের আরও কিছু কাগজের কথা বলেছি। কাগজগুলো দিলে মামলাটি নেবো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোকতাদির চৌধুরীর নাম থাকায় মামলাটি নেয়নি তা সম্পূর্ণ ভুল। তার নামে যতগুলো মামলা যথাযথভাবে দিয়েছে আমরা সব মামলা আমলে নিয়েছি, রুজু করেছি। কাগজগুলো দিলে আমরা এই মামলাও নেবো।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Al Mamun

জনপ্রিয় খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক গ্রামীন নারী দিবস পালিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুমের মামলা না নেওয়ায় বিক্ষোভ-মানববন্ধন

Update Time : ০১:৫৭:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আতিকুল ইসলাম নামে এক বিএনপি কর্মীর গুমের অভিযোগে মামলা না নেওয়ায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। আজ রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এই মানববন্ধনে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজিপাড়ার মুমিনুল ইসলামের ছেলে আতিকুল ইসলামকে ২০১২ সালের ১৩ অক্টোবর তুলে নিয়ে গুম করার অভিযোগ ওঠে। আতিক বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
মানববন্ধনে গুম হওয়া আতিকুল ইসলামের স্ত্রী নাছিমা ইসলাম বলেন, আমার স্বামীকে দুইটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি তাকে বেঁধে রেখেছে। এরপর থেকে একযুগেও তার আর কোনো সন্ধান মেলেনি। মামলা দিতে গেলে নেওয়া হয়নি। এখন দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। থানায় মামলা নিয়ে গিয়ে গত ৪ দিন ধরে ঘুরছি, কিন্তু নিচ্ছে না। মামলাটি দ্রুত নিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হোক, আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
আতিকের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তানিয়া ইসলাম বলেন, আতিক ভাইকে গাড়িতে ওঠানোর পর আমরা গেলে তখন তারা বলেছিলেন উনাকে একটু মোকতাদির চৌধুরীর বাড়িতে যেতে হবে। এরপর নিয়ে যাওয়ার পর আর তার সন্ধান পাইনি। আমরা সাবেক এমপির সঙ্গে দেখা করেছিলাম, তখন তিনি বলেছিলেন চুপ থাকতে এবং জিডি পর্যন্ত করতে নিষেধ করেন। তখন জিডি পর্যন্ত করতে পারিনি। এখন মামলা নিয়ে টালবাহানা করছেন সদর মডেল থানার ওসি।
গুম হওয়া আতিকের মেয়ে বলেন, আমি যখন ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ি তখন আমার বাবাকে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নির্দেশে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। দীর্ঘদিন বাবাকে দেখি না। আমার বাবাকে ফেরত চাই।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, আমরা তাদের আরও কিছু কাগজের কথা বলেছি। কাগজগুলো দিলে মামলাটি নেবো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোকতাদির চৌধুরীর নাম থাকায় মামলাটি নেয়নি তা সম্পূর্ণ ভুল। তার নামে যতগুলো মামলা যথাযথভাবে দিয়েছে আমরা সব মামলা আমলে নিয়েছি, রুজু করেছি। কাগজগুলো দিলে আমরা এই মামলাও নেবো।