নিজস্ব প্রতিবেদক 
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে গত ২৬ শে জুন (বুধবার) নিজ হাতে রূপসী বাংলা যুব স্পোর্টিং ক্লাব ও প্রধানমন্ত্রীর ও বঙ্গবন্ধুর ছবি অবমাননা করে ভাঙচুরের অভিযোগ। ৪ জুলাই ক্লাবের ১৫জন সদস্যের স্বাক্ষরে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, নেতা কাউছারের কুকীর্তি ও বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে দুর্নীতি করে টাকা আদায় জায়গা দখল করে আসছে। গত ২৬শে জুন এলাকার খোকন ও সুজন তাদের পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাদেরকে জনসম্মুখে কুপিয়ে আহত করে। পাশাপাশি প্রতিপক্ষ খোকন ও সুজনকে ফাঁসানোর জন্য কাউছার তার নিজ হাতে আমাদের রাষ্ট্রীয় অনুমোদিত রূপসী বাংলা যুব স্পোর্টিং ক্লাব ও পাশে থাকা প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করে আইনগতভাবে ন্যাক্কারজনক অন্যায় করেছেন।
এ ঘটনার জন্য আমরা ক্লাবের সাবেক ও বর্তমান কমিটি তীব্র নিন্দা জানায়। সাথে সাথে রূপসী বাংলা স্পোর্টিং ক্লাব ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি করার কারণে কাউছারে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, ৬ বছর যাবত নিয়ম বহির্ভূত ভাবে সভাপতির পর দখল করে আছেন।
রূপসী বাংলা স্পোর্টিং ক্লাব ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০১৮ সালে সরকারি রেজিস্টার ভুক্ত হয়ে ২০১৯ সালে সরকারি অনুদান হিসেবে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাই। অল্প দিনের ব্যবধানে ওই টাকা কাওছার উত্তোলন এবং ২০২০-২০২৪ সাল পর্যন্ত সরকারি অনুদানের ক্লাবে যৌথ অ্যাকাউন্ট প্রায় দুই লক্ষ টাকা অর্থ সম্পাদকের স্বাক্ষর জাল করে উত্তোলন করে ক্লাবের কাজে না লাগিয়ে, নিজে আত্মসাৎ করেন। ক্লাবের নাম ব্যবহার করে প্রবাসী ও আমতলী বাজার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ইচ্ছামত চাঁদা আদায় সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। উল্লেখিত অপকর্মের বিরুদ্ধে তদন্ত ও নিয়ম বহির্ভূত ৬বৎসর যাবত আসনে জোরপূর্বক দখলে থাকায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহ অফিসার সৈয়দ মাহাবুবুল হক জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
