ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কানের ভিতর বিশেষ কায়দায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে নকল করার সময় এক নিয়োগ পরীক্ষার্থীসহ দুই জনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। আজ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রী কলেজে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটক পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার জেলার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের টুকচানপুর এলাকার আব্দুল মালেকের মেয়ে ও পরিক্ষার্থীর ভাই আব্দুল জলিল।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০টায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ পরীক্ষা শুরু হয়। এ সময় কেন্দ্রের ১০১নং কক্ষে পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার পরীক্ষা শুরু হলেও ১ ঘন্টার পরীক্ষা সময়ের মধ্যে প্রায় আধা ঘন্টা যাবত প্রশ্নের উত্তর পত্রে কোন কিছু না লিখে বসে থাকে। এ সময় পরীক্ষা কেন্দ্রে ডিউটিরত কেন্দ্র পরিদর্শকের সন্দেহ হলে তার দেহ তল্লাশি করে বিশেষ কায়দায় কানের ভিতরে লুকিয়ে রাখা খুব ছোট একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। পরে কলেজের অধ্যক্ষ সদর ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখকে খবর দেন। শিক্ষার্থীর দেওয়া তথ্য মতে পরে তার ভাইকেও আটক করা হয়। পরে সদর ইউএনও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী সদর ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রী কলেজে শুক্রবার সকালে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ছিল। উক্ত নিয়োগ পরীক্ষায় পৌর কলেজে ১০১ নম্বর কক্ষে রিনা আক্তার নামে এক পরীক্ষার্থী অবৈধ পন্থা (কানের ভিতর বিশেষ কায়দায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস) নিয়ে প্রবেশ করে। পরীক্ষা চলাকালীন সময় ওই পরীক্ষার্থী উত্তর পত্রে কোন কিছু না লিখে বসে থাকে। এতে তাকে সন্দেহ হয়, পরে তাকে তল্লাশি করে তার কান থেকে খুবই ছোট একটি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, ডিভাইসের মাধ্যমে পরিক্ষার্থী হয়তো পরীক্ষার শেষ দশ মিনিট আগে উত্তর লেখার চেষ্টা করতো। এটি একটি বিশাল চক্র। সে তার ভাইয়ের মাধ্যমে এই ডিভাইসটি সংগ্রহ করে। পরে তার ভাইকেও আটক করা হয়। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার মাধ্যমে এই চক্রের সাথে জড়িত সবাইকে আটকের চেষ্টা করা হবে