আকলিমা আক্তার অসহায় ও হতদরিদ্র কৃষক কুদ্দুছ মিয়ার মেয়ে। আকলিমা পরিবারের লোকালয়ে গিয়ে আরাফাত মিয়া নামের এক যুবকের প্রেমে আসক্ত হয়ে প্রতারণার শিকার হয়। এমন একটি ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উলজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের থলিয়ারা গ্রামে।
অভিযুক্ত ও সৌদি প্রবাসী আরাফাত মিয়া একই ইউনিয়নের থলিয়ারা গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। আকলিমাকে লোভ দেখিয়ে কাবিন ছাড়ায় বিয়ে করে আরাফাত৷ আকলিমাকে ব্লাকমেইল করে দীর্ঘদিন শারিরীক সম্পর্ক সহ অবাধ মিলামেশা করে আরাফাত। স্ত্রীর দাবীর জন্য আরাফাতকে চাপ প্রয়োগ করলে সে পালিয়ে সৌদি আরব চলে যায়। বিপাকে পড়েন আকলিমা। স্বামী ও বাপের বাড়ির জায়গা মিলেনি আকলিমার।
কাবিন ছাড়া আরাফাত বিয়ে করলে আকলিমার সাথে তার জৈবিক চাহিদা মিটিয়েছেন। স্ত্রীর মর্যাদা দাবি ও যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় একাধিকবার মার খেতে হয়েছে। মোকাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে (শুভ বিবাহের হলফনামা) করলে প্রতারিত হয় আকলিমা।
ভিকটিম আকলিমা আক্তার বলেন, আরাফাতের সাথে আকলিমার দুই বছরের সম্পর্ক ছিল। তারপর তাকে হুজুর দিয়ে বিয়ে করেন আরাফাত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আশগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে আকলিমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে তার স্বামী আরাফাত৷ জোরপূর্বক ভাবে তার সাথে অবাধে সম্পর্ক করার একাধিক প্রমাণ রয়েছে। তার গর্ভের ৪ মাসের একটা বাচ্চাও নষ্ট করেছে। কাবিনের জন্য চাপ দিলে সে আকলিমাকে মারধরের পর পালিয়ে সৌদি আরবে চলে যায়।
আকলিমা আরও বলেন, আরাফাতের বিরুদ্ধে তাকে মারধোর অভিযোগে মোকাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। যার মামলা নং- ১৫/২৩ এবং একই আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩, ধারায় আরও একটি মামলা করেন, যার মামলা নং- ১৮১৩/২৩। তিনি সঠিক বিচারের দাবি করেন।
এব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, দুইটি মামলা তদন্ত চলছে৷ আদালত থেকে ফাইনাল প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য চিঠি হাতে পেয়েছি। এ ঘটনার সাথে জড়িত আরাফাত সৌদি আরব চলে গেছে যেকারনে আসামীকে আটক করা সম্ভব হচ্ছেনা৷ খুব দ্রুত ফাইনাল প্রতিবেদন পাঠানো হবে।