ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ৮ টা থেকে ১৩২টি কেন্দ্রে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ আসনটিতে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর উপ-নির্বাচন হচ্ছে দ্বিতীয়বারের মতো।
তবে প্রায় সবকটি কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি কম। যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সরাইলের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ভোটারদের উপস্থিতি একেবারেই কম। কিছুক্ষণ পর পর দু-একজন করে ভোটার আসছেন। ফলে কেন্দ্রটিতে ভোট পড়ছে কম। কেন্দ্রটিতে সকাল সোয়া ৯টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৮২টি।
সকাল সোয়া ৯টায় আশুগঞ্জের সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েও একই চিত্র দেখা গেছে।
অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার শাহাদাৎ হোসেন জানান, তার কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। ভোটার কম আসায় ভোট কম পড়ছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারও বাড়বে।
সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, কেন্দ্রটিতে ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ২৯৭। এর মধ্যে সকাল ৮টা থেকে সোয়া ৯টা পর্যন্ত কেন্দ্রটিতে ৮৭টি ভোট পড়েছে।
এ দিকে, নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। ভোটকেন্দ্র ও আশপাশের এলাকার নিরাপত্তায় ৮ শতাধিক পুলিশ সদস্য, ৭ প্লাটুন বিজিবি সদস্যসহ র্যাব, আনসার, জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে।
নির্বাচনে মোট ৪ লাখ ১০ হাজার ৭২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আর প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৫ জন প্রার্থী। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম, জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. রাজ্জাক হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা।
উল্লেখ্য,
প্রসঙ্গত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভুইয়া মৃত্যুবরণ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। বিএনপির দলছুট নেতা আব্দুস সাত্তার ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) থেকে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে গত বছরের ডিসেম্বরে দলীয় সিদ্ধান্তে পদত্যাগ করেন তিনি। এরপর গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাত্তার।